ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

উদ্বোধনের দিন থেকেই পদ্মা সেতুতে রেল চলবে ॥ রেলমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৬:১০, ২১ জুন ২০১৫

উদ্বোধনের দিন থেকেই পদ্মা সেতুতে রেল চলবে ॥ রেলমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পদ্মা সেতুতে যান চলাচলের দিন থেকেই ট্রেন চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যেদিন থেকে যানবাহন চলবে একই সঙ্গে একই দিন থেকেই রেলও চলবে। রেললাইন ছাড়া পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করা হবে না। সরকারের এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে রেলভবনে সম্পূর্ণ আলাদা একটি কক্ষ থেকে পদ্মা সংযোগের কাজ আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। শনিবার রাজধানীর গে-ারিয়া রেলওয়ে স্টেশনে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের (ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা) কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। রেলমন্ত্রী পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প ঘুরে দেখেন ও সেখানকার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় রেলের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। রেলমন্ত্রী বলেন, প্রথম পর্যায়ে আমরা ঢাকা-মাওয়া, পদ্মা সেতু-জাজিরা হয়ে ফরিদপুরের ভাঙা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের কাজ শেষ করব। পদ্মার ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচলের জন্য রেললাইন নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। মন্ত্রী বলেন, চীন সরকারের অর্থায়নে এই রেলপথটি নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) তৈরি করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। তাই আগামী বছরের জানুয়ারিতে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে ২০১৮ সালের জুনে রেলপথটি নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। রেলওয়ে সূত্র জানায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এক-চতুর্থাংশ মানুষ ও দেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিপুল অবদান রাখবে এই রেল যোগাযোগ। এর সঙ্গে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে রেল যোগাযোগ সমন্বয়ের মাধ্যমে বাণিজ্য ও সহযোগিতা ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে। প্রকল্প দুটি বাস্তবায়ন হলে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে। রাজধানীর গে-ারিয়া থেকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া হয়ে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার এই রেলপথ নির্মাণ করা হবে। প্রথম পর্যায়ে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের জন্য তিন শ’ ষাট দশমিক পঁচানব্বই হেক্টর জমি প্রয়োজন হবে। ভাঙ্গা পর্যন্ত নতুন সাতটি স্টেশন নির্মিত হবে। স্টেশনগুলো হলো কেরানীগঞ্জ, নিমতলা, শ্রীনগর, মাওয়া, জাজিরা, শিবচর ও ভাঙ্গা। এ ছাড়া গে-ারিয়া স্টেশন ভবন রিমডেলিং ও ইয়ার্ড রিমডেলিং এবং ঢাকা স্টেশন ইয়ার্ড রিমডেলিং করা হবে। এছাড়া দ্বিতীয় পর্বে ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ করা হবে।
×