ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রসিডেন্ট শুলজের তীব্র সমালোচনা

ইইউ প্রশ্নে ব্রিটেন ‘ঘৃণা ও মিথ্যা’ ছড়াচ্ছে

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ২০ জুন ২০১৫

ইইউ প্রশ্নে ব্রিটেন  ‘ঘৃণা ও মিথ্যা’  ছড়াচ্ছে

ইইউতে সংস্কার আনার ডেভিড ক্যামেরনের জোর উদ্যোগে ‘ঘৃণা’ ‘মিথ্যা’ এবং ‘জাতীয় অসন্তোষ’ দ্বারা চালিত। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট বৃহস্পতিবার রাতে কঠোর ভাষায় এই সমালোচনা করেন। ব্রাসেলসের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের একজন মার্টিন শুলজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রাতঃরাশ বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা পর অভিবাসন প্রত্যাশীদের সুবিধা কেড়ে নেয়ার ব্রিটেনের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেন। ইউরোপে নতুন বসতি স্থাপনের ক্যামেরনের পরিকল্পনার মূল বিষয় হলো প্রদত্ত সুবিধার সংস্কার (বেনিফিট বিফর্ম)। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এটি দরিদ্রতর দেশগুলো থেকে অভিবাসনকে নিরুৎসাহিত করবে। জার্মান সমাজবাদী শুলজ বলেন, ‘ইউরোপের সাধারণ মানুষের মধ্যে এবং এদেশেও বিভিন্ন দেশের মধ্যে নতুন করে প্রতিবন্ধকতা আরোপের প্রচেষ্টা চালান হয়। ‘রুমানিয়া ও বুলগেরিয়ার তথাকথিত সুবিধাকামী পর্যটক (বেনিফিট ট্যুরিস্ট) প্রশ্নে আতঙ্কের মনোভাব জাগিয়ে বলা হচ্ছে তারা স্বাগতিক দেশের সামাজিক ব্যবস্থাকে লুণ্ঠন করতে চায়। তিনি বলেন, ‘প্রকৃত ঘটনা বিকৃত করা হয়েছে। ঢালাওভাবে সাধারণীকরণ করা হয়েছে। ডাহা মিথ্যা বলা হয়েছে। তারপর সেই মিথ্যা বারবার আওড়ানো হয়েছে, যতক্ষণ না লোকে সেগুলো বিশ্বাস করতে শুরু করেছে।’ ‘এসব বিতর্কে আমাকে যা দুঃখিত ও ক্রুদ্ধ করে তা হলো এর অন্তর্নির্হিত জাতীয় অসন্তোষের বিষয়টি। মানুষকে বলির পাঁঠার মতো ব্যবহার করা হয়েছে।’ ইউরোপীয় পার্লামেন্ট কোন চুক্তির পরিবর্তনকে অথবা ব্রিটেনের চাওয়া নতুন ইউরোপীয় আইন প্রণয়নকে বিপথে চালিত করার চেষ্টা করতে পারে এই পরামর্শ পাওয়ার পর ক্যামেরন শুলজকে সাগ্রহে গ্রহণ করতে চেয়েছিলেন। শুলজ বলেন, ক্যামেরনের ঘুনিষ্ঠতর সংঘ প্রতিষ্ঠার ইইউ নীতি থেকে ব্রিটেনকে অব্যাহতিদানের কোন সুযোগ নেই এবং মহাদেশ জুড়ে সর্বসম্মত সমর্থনের বিষয়টি মেনে নিলে চুক্তি পরিবর্তনের ‘খুব বেশি সুযোগ’ নেই। শুলজ বলেন, ইইউ চুক্তিসমূহের অধীনে অভিবাসনকামীদের প্রতি একটি দায়িত্ব রয়েছে, তারা যেন তাদের স্বাগতিক দেশের কল্যাণ ব্যবস্থায় একটি অযৌক্তিক বোঝা হয়ে না দাঁড়ায়। তাদের বিরাট ‘গরিষ্ঠ’ অংশ কাজের সন্ধানেই অন্যত্র গমন করে। তিনি তাদের ভ্রাম্যমাণ নাগরিক বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘সত্যি ঘটনা হলো কেউই কোন কাজছাড়া অন্য সদস্যরাষ্ট্রে ভ্রমণ এবং তাৎক্ষণিকভাবে সমাজিক সুবিধা দাবি করতে পারে না। ‘সত্য হলো পর্যাপ্ত আর্থিক সংস্থান থাকলে এবং কাজ পাওয়ার সত্যিকারভাবে কোন সুযোগ না থাকলে কেউই অনির্দিষ্টকালের জন্য বসবাসের অধিকার দাবি করতে পারবে না। সত্য হলো আমাদের দেশগুলো ভ্রাম্যমাণ ইইউ নাগরিকদের কাছ থেকে উপকৃত হচ্ছে।’ তিনি অবশ্য বলেন, ব্রিটেনের জোটত্যাগ করা উচিত নয়। ‘যুক্তরাজ্য ইইউর অন্তর্ভুক্ত। -টেলিগ্রাফ।
×