ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

আইসিডিডিআরবির আবিষ্কৃত পথ্যের বিরোধিতা

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ১৯ জুন ২০১৫

আইসিডিডিআরবির আবিষ্কৃত পথ্যের বিরোধিতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আইসিডিডিআর’বির আবিষ্কৃত পথ্যের বিরোধিতা করেছে বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের পুষ্টিবিজ্ঞানীরা। তাঁরা অভিযোগ করেন, মারাত্মক তীব্র অপুষ্টির শিকার শিশুদের চিকিৎসার জন্য দেশী উপাদানে যে পথ্য আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) তৈরি করেছে তা শিশুদের জন্য ক্ষতিকর এবং এ নিয়ে চালানো প্রচার মিথ্যা। গুঁড়ো দুধ শিশুপুষ্টির জন্য যেমন হুমকি হয়ে আছে, আইসিডিডিআর’বির তৈরি আরইউটিএফও একই হুমকি তৈরি করবে। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স হলে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ তোলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের চেয়ারপারসন পুষ্টিবিদ ড. এস কে রায়, উপদেষ্টা প্রফেসর এম কিউ কে তালুকদার, ড. আলমগীর আহমেদ প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আইসিডিডিআর’বির তৈরি নতুন পথ্যটি নিয়ে চালানো প্রচারণা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা এবং এ প্রচার সাধারণ মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করবে। তাঁরা বলেন, বাংলাদেশের তীব্র অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোন ধরনের উপাদান দ্বারা তৈরি আরইউটিএফ’র কোন দরকার নেই। দেশী উপাদানে ঘরে তৈরি স্বাভাবিক খাবার খাইয়ে খুব কম সময়ে তীব্র অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের অপুষ্টি দূর করা যাবে। আর এটা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও প্রমাণিত। ব্রেস্টফিডিংয়ের সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, আরইউটিএফ উচ্চ মাত্রার শক্তিদায়ক খাবার। এরমধ্যে ৬০ শতাংশ আসে চর্বি থেকে, যা বৈজ্ঞানিকভাবে অস্বাভাবিক ও অপ্রয়োজনীয় একটি খাদ্য। এটি শরীরে অতিদ্রুত চর্বি জমা করে। ফলে শিশুর স্বাস্থ্য ভাল দেখা গেলেও তার স্বাভাবিক বৃদ্ধিকে বিকৃত করে। যা তীব্র অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের অপুষ্টি দূর করতে একটি ভুল পথ্য ব্যবস্থাপনা। ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশন জানায়, স্থানীয় উপাদানে ও খাদ্যাভ্যাসে তথা বাড়িতে তৈরি ফিরনি, পায়েস, বুটের হালুয়া, ডিমের হালুয়া, খিচুড়ি ইত্যাদি খাবার খাইয়ে যে কোন ধরনের অপুষ্টি দূর করা যায়। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, জীবনের প্রথম ৬ মাস শুধু মায়ের বুকের দুধ পান করলে শিশুর যথাযথ শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটে। এতে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। আর জন্মের ৬ মাস পর শিশুকে বাড়তি খাবার খাওয়াতে শুরু করতে হবে।
×