ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রমজান সামনে রেখে গাইবান্ধায় মুড়িপাড়া সরগরম

প্রকাশিত: ০৭:০২, ১৬ জুন ২০১৫

রমজান সামনে রেখে গাইবান্ধায় মুড়িপাড়া সরগরম

আবু জাফর সাবু, গাইবান্ধা ॥ রমজানে ইফতারের অপরিহার্য হচ্ছে মুড়ি। ইফতারের আইটেমে যত উপাদানই থাক সাদা ফুরফুরে সুস্বাদু মুড়ি ছাড়া অতৃপ্তি থেকে যায় রোজাদারদের। এছাড়া গ্রামবাংলার ঐহিত্যবাহী নাস্তা এবং অতিথি আপ্যায়নের অন্যতম উপাদান হিসেবে মুড়ির প্রচলন এদেশে প্রাচীনকাল থেকেই। তবে সে মুড়ি হালের মেশিনে বানানো ক্ষতিকর কেমিক্যাল মিশ্রিত এবং বিস্বাদ মুড়ি নয়। মুড়ির কারিগরদের মাটির খোলায় লবণ পানি মেশানো চাল দিয়ে গরম বালুতে ভাজা হাতে তৈরি মুড়ি। রমজানকে ঘিরে তাই মুড়ির অতিরিক্ত চাহিদা পূরণে তৎপর হয়ে উঠেছে এ জেলার মুড়ির কারিগররা। গাইবান্ধা জেলা শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার হাট-বাজারে মুড়ির প্রধান যোগানদাতা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের জগৎরায় গোপালপুরের বৈরাগীপাড়ার মুড়ির কারিগররা। দেশী মুড়ি সরবরাহের কারণেই এই গ্রামটিকে এখন সবাই ‘মুড়ির গ্রাম’ হিসেবে চেনে। কেননা, মুড়ি যাদের জীবন-জীবিকার উৎস, সেই মুড়িওয়ালা নামের মুড়ি তৈরির অখ্যাত কারিগরদের এই গ্রামে কারবার ও বসবাস। গাইবান্ধা শহর থেকে পাঁচ কিমি দূরে বালুয়া-নাকাইহাট-গোবিন্দগঞ্জ সড়কে সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের জগৎরায় গোপালপুরের বৈরাগীপাড়া গ্রাম। এই গ্রামে মুসলমান, হিন্দু ও বৈষ্টমী সম্প্রদায়ের পরিবার ৩০ থেকে ৩৫ বছর ধরে মুড়ি ভেজে তা বাজারে বিক্রি করে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে খেয়ে পড়ে বেঁচে আছে। প্রথমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শুধু হিন্দু ও বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের লোকজনই পেশাদারিত্বের ভিত্তিতে বংশপরম্পরায় এই মুড়ির কারবারে জড়িত ছিল। সে কারণে এই গ্রামটির নামও হয়েছে বৈরাগীপাড়া। বৈরাগীপাড়ার এই মুড়ির কারবারীদের গৃহবধূরাই গ্রামে গ্রামে গিয়ে ভাল মুড়ি করার উপযোগী ধান কিনে আনে এবং জ্বালানি সংগ্রহ করে। সরিষাবাড়ী বিদ্যুত অফিসে চলছে হরিলুট নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর, ১৫ জুন ॥ জামালপুরের পিডিবি সরিষাবাড়ী বিদ্যুত সরবরাহ অফিসের কর্মচারীদের কোয়ার্টার, মালামাল, পুরনো ইট ও মূল্যবান গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। বিদ্যুত অফিসের কর্মকর্তাÑ কতিপয় কর্মচারীর যোগসাজশে অফিস ক্যাম্পাসের ভিতর থেকে মূল্যবান এসব স্থাপনা ও গাছ হরিলুটের ঘটনা ঘটলেও কিছুই জানেন না আবাসিক প্রকৌশলী মশিউর রহমান। পিডিবি সরিষাবাড়ী বিদ্যুত সরবরাহ অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রাইভেট সৌরবিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনে ওই কোম্পানিকে ২০ বছরের জন্য আট একর জমি লীজ দেয় বিদ্যুত বিভাগ। এই সৌরবিদ্যুত কোম্পানি তিন মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষম সাব-স্টেশন তৈরির কাজ শুরু“করে। এ কোম্পানির মাটি ভরাটের কাজ নেয় ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় তিন প্রভাবশালী ঠিকাদার। সরিষাবাড়ী বিদ্যুত সরবরাহ অফিসের ক্যাম্পাসের ভিতরে এ আট একর জমির ওপর পিডিবির কর্মচারীদের থাকার জন্য চার কক্ষবিশিষ্ট ও রান্নাঘর বাথরুমসহ ৬০ ফুট লম্বা ও ৩০ ফুট টিনশেড হাফ বিল্ডিং, মালামাল, পুরনো ইট ও ৪০ বছর বয়সী প্রায় অর্ধশত ফল এবং বনজ গাছ ছিল। ঠিকারদার নামধারী ওইসব প্রভাবশালী ব্যক্তি পুকুরে মাটি ভরাটের কাজ শুরু না করে প্রকাশ্যে বিদ্যুত অফিসের কোয়ার্টার ও মালামালসহ পুরনো ইট ও গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে । অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যুত অফিসের আবাসিক প্রকৌশলী মশিউর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী শামছুল আরেফিনসহ কতিপয় কর্মচারীর যোগসাজশে প্রভাবশালীরা বিদ্যুত অফিসের লাখ লাখ টাকা মূল্যের স্থাপনা, মালামাল ও গাছ হরিলুট করায় স্থানীয় লোকজন ও কর্মচারীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ বিষয়ে পিডিবি সরিষাবাড়ী বিদ্যুত সরবরাহের আবাসিক প্রকৌশলী মশিউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে।
×