ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

‘ভারতবিরোধিতা না করার ওয়াদা করেই মোদির সাক্ষাত পান খালেদা’

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ১৬ জুন ২০১৫

‘ভারতবিরোধিতা না করার ওয়াদা করেই মোদির সাক্ষাত পান খালেদা’

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ভারত বিরোধিতা না করার অঙ্গীকার করে খালেদা জিয়া নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। কিন্তু এখন আবার ভারত বিরোধিতা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, চারদেশীয় সড়ক যোগাযোগ নিয়েও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন বেগম জিয়া। শুধু তাই নয়, খালেদা জিয়া প্রণব মুখার্জীর সঙ্গে দেখা না করার বিষয়েও অসত্য কথা বলছেন। সোমবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের কারণে দীর্ঘদিনের অনিষ্পত্তি বিষয়গুলো নিষ্পত্তি হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো খালেদা জিয়া তো প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কোন দিন ল্যান্ড বাউন্ডারি (স্থলসীমান্ত) চুক্তি নিয়ে কথা বলেছেন? অথচ একটা সাক্ষাতকারের জন্য ভারতের কাছে নতজানু হয়ে, ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করে, ভারতের বিরোধিতা করব না এই অঙ্গীকার করে তারপর মোদির সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছেন। ভারত তার কাছ থেকে এ অঙ্গীকার আদায় করেছে। বিএনপির ভারত বিরোধিতার প্রসঙ্গ টেনে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির জন্মই ভারত বিরোধিতা আর ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার জন্য। বিএনপির শাসনামলে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দেশে প্রশ্রয় দেয়া হয়। খালেদা জিয়ার উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার লজ্জিত হওয়া উচিত ছিল। চার দেশের সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ফি দিতে হবে-খালেদা জিয়ার এ দাবির বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মাশুল তো দিতেই হবে। খালেদা জিয়া কোথায় পেলেন টোল দিতে হবে না। ডব্লিউটিও’র (বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা) নিয়ম অনুযায়ী মাশুল ধার্য করা হবে। পৃথিবীর সব দেশে যে নিয়ম বাংলাদেশেও সেই নিয়ম করা হবে। খালেদা জিয়াকে পরাজিত সৈনিক উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি রাজনীতিতে হেরে গেছেন। তিনি এখন কঠিন সময় পার করছেন। বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু সবাই এক কাতারে শামিল হয়ে মোদির সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর সঙ্গে দেখা করায় তার প্রাণনাশের ঝুঁকি ছিল খালেদা জিয়ার এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এটা মিথ্যাচার ও অসত্য। খালেদা জিয়ার প্রাণনাশের ঝুঁকি কখনো ছিল না। ওই প্রসঙ্গ টেনে বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, জামায়াত হরতাল দিয়েছে। তিনি গাড়িতে করে আসলে হরতাল ভেঙে যায়, সে কারণে তিনি আসেননি। কিংবা ভারত বিরোধিতার কারণে তিনি আসেননি। তিনি নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করতে কীভাবে এলেন। তারা যে অবরোধ দিয়েছিলেন তা তো আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো প্রত্যাহার করেননি। তার স্বামী (জিয়াউর রহমান) যেমন সারাবছর কার্ফু রাখত, খালেদা জিয়াও বাংলাদেশের মানুষের জীবনে সারাবছরের জন্য অবরোধ আরোপ করে রেখেছেন।
×