ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাজেটের সঠিক বাস্তবায়নই বড় চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ১৫ জুন ২০১৫

বাজেটের সঠিক বাস্তবায়নই বড় চ্যালেঞ্জ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার ব্যাপক প্রত্যাশা ও সময়ের বাস্তবতা মোকাবেলায় বাজেটে করের পরিধি বাড়লেও বাজেট সঠিক বাস্তবায়নই হবে বড় চ্যালেঞ্জ। আজ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবনস্থ মন্ত্রী হোস্টেলের কনফারেন্স কক্ষে সুপ্র আয়োজিত বাজেট ঘোষণা পরবর্তী পর্যালোচনা সভায় বক্তারা এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। সুপ্র’র চেয়ারপার্সন আহমেদ স্বপন মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন মীর শওকাত আলী বাদশা এমপি, নাজমুল হক প্রধান এমপি, বেগম সানজিদা খানম এমপি, রুস্তম আলী ফরাজী এমপি, নাভানা আক্তার এমপি এবং মোসাম্মৎ সেলিনা জাহান লিটা এমপি। মুখ্য আলোচক হিসেবে সিপিডির অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুপ্র’র পরিচালক এলিসন সুব্রত বাড়ৈ এবং বাজেট পর্যালোচনা পত্র উপস্থাপন করেন সুপ্র’র ক্যাম্পেইন সমন্বয়কারী সাকেরা নাহার। বাজেট পর্যালোচনায় বলা হয়, বাজেটের পূর্ণ ও সঠিক বাস্তবায়নই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান দিতে রাজস্ব ব্যবস্থাপনার দক্ষতা যেমন জরুরী তেমনি দুর্নীতি হ্রাস, কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ অত্যাবশ্যক। বাজেট বাস্তবায়নের জন্য উন্নয়ন প্রশাসনকে গতিশীল এবং স্থানীয় সরকার কাঠামোকেও শক্তিশালী করাসহ সকল পর্যায়ে স্থানীয় সরকারকে সম্পৃক্ত করতে হবে। কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে জেলা বাজেট বাস্তবায়ন করতে হবে। দারিদ্র্য বিমোচন এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা মেয়াদে ঘোষিত গড় প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ কী ভাবে অর্জিত হবে সেই বিষয়ে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা বাজেটে থাকতে হবে। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অগ্রাধিকারভিত্তিতে কৃষি ও গ্রামীণ খাত এবং মানবসম্পদ উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম এ মান্নান বলেন, আমাদের দেশ দুর্যোগপূর্ণ একটি দেশ। এখানে প্রযুক্তির অভাব রয়েছে এবং শিশু মৃত্যুর হারও বেশি। এ সকল সমস্যার সমাধানে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। বাজেটের সবচেয়ে বড় সমস্যা অপচয় ও দুর্নীতি। তাই এগুলো সঠিকভাবে মোকাবেলা করতে না পারলে বাজেটের বাস্তবায়ন কখনোই পূর্ণাঙ্গতা পাবে না। ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাজেটে সুশাসনের বিষয়টি আসছে তবে সেটি আরও জোরালোভাবে আসলে আরও ভাল হয়। ১৫ শতাংশ মূসক প্রদান করা সকলের পক্ষে সম্ভব নয়, তাই মূসকের হার বৃদ্ধি না করে করের জাল আরও প্রসারিত করা উচিত। আয়কর রিটার্ন দাখিল করার ব্যাপারে বলেন, সকলকে এ ব্যাপারে আরও উদ্বুদ্ধ হতে হবে। মানবসম্পদ উন্নয়নে বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা এবং ছাত্র-শিক্ষকের অনুপাত কমানোর কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
×