ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মোদির ঢাকা সফরে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলো অত্যন্ত ইতিবাচক ॥ বার্নিকাট

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ১৫ জুন ২০১৫

মোদির ঢাকা সফরে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলো অত্যন্ত ইতিবাচক ॥ বার্নিকাট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলোকে অত্যন্ত ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। রবিবার হোটেল ওয়েস্টিনে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) সঙ্গে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত বলেন, দুইদেশের প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর করা চুক্তিগুলো আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি ইতিবাচক দিক নির্দেশ করেছে। গত ৬ ৭ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের পর নিয়ে কোন অনুষ্ঠানে প্রথম মন্তব্য করলেন বার্নিকাট। অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানান, এশিয়ার সঙ্গে যুক্টরাষ্ট্রের সম্পর্ক উন্নয়নের কৌশলকে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক করিডোরের (আইপিইসি) মাধ্যমে দক্ষিণ ও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে উন্নততর যোগাযোগের প্রচেষ্টাকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সমর্থন দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে এফআইসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট রুপালি চৌধুরী, নির্বাহী পরিচালক জামিল ওসমান এবং নির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তৈরি পোশাক শিল্পের নারী শ্রমিকদের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাফল্যের নির্মাতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ নাগরিকদের পূর্ণ অর্থনৈতিক সম্ভাবনার উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে গুরুত্ব দেয়। ক্তরাষ্ট্র এর সঙ্গে একমত প্রকাশ করে। বাংলাদেশের প্রচেষ্টার মধ্যে নারীর কল্যাণ ও পেশাগত সম্ভাবনার উন্নয়নকে গুরুত্ব দেয়া প্রশংসনীয়। আক্ষরিক অর্থেই এই দেশের অর্থনৈতিক সাফল্যের নির্মাতা হলেন তৈরি পোশাক শিল্পের নারীরা। তিনি বলেন, জ্বালানি উৎপাদন বৃদ্ধি, বাণিজ্যিক বাধা দূরীকরণ, যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র আইপিইসিকে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে কাজ করেন এমন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে অন্যতম আন্ডার সেক্রেটারি ক্যাথেরিন নোভেলির লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে-বাণিজ্য বিষয়ক সমর্থন ও বাণিজ্য কর্মসূচী বৃদ্ধি, সমুদ্র অর্থনীতির উন্নয়ন এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টেকসই জ্বালানির সমর্থন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কয়েকটি ক্ষেত্রে প্রচুর সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে- দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক জ্বালানি বাজার উন্নয়ন। এটা পরিবেশবান্ধব। এটা নবায়নযোগ্য বিদ্যুত সরবরাহ করবে যেমন করে থাকে নেপাল এবং ভুটানের বিশাল জলবিদ্যুত সম্পদ। এটি দক্ষতারও বিকাশ ঘটাবে। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক জ্বালানি সমন্বয় উদ্যোগ (সারি) প্রসারে ভূমিকা রাখে। তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে শিক্ষা ও কারিগরি বিষয়ে যোগাযোগ তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্র। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র শিক্ষাবিদ, নাগরিক সমাজ, যুবক, নারী-পুরুষ সাম্যতা কার্যকলাপের মাধ্যমে ব্যবসায়িক সম্প্রদায়কে একসঙ্গে করে কাজ চালিয়ে যাবে। এতে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্কের উন্নয়ন হয়। বৃহত্তম আঞ্চলিক সম্পর্কের বাধাও দূর হয়।
×