ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অসিদের নিয়ন্ত্রণ, স্মিথের আফসোস

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ১৪ জুন ২০১৫

অসিদের নিয়ন্ত্রণ, স্মিথের আফসোস

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ব্যাট হাতে আকাশে উড়লেও মাত্র ১ রানের আফসোসে পুড়তে হলো স্টিভেন স্মিথকে। ১৯৯ রানে আউট হলেন অসি-সেনশেসন। প্যাভিলিয়নে ফিরলেন ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির নিশ্বাস ছোঁয়া দূরত্বে। টেস্ট ইতিহাসের অষ্টম ও অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে এমন দুর্ভাগ্যের খাঁড়ায় কাটা পড়লেন স্মিথ। তবে জ্যামাইকায় সিরিজ নির্ধারণী টেস্টে ঠিকই চালকের আসনে তার দল অস্ট্রেলিয়া। স্মিথের দুরন্ত ব্যাটিংয়ে অলআউট হওয়ার আগে প্রথম ইনিংসে মাইকেল ক্লার্কদের সংগ্রহ ৩৯৯। অতিথিদের চালকের আসনে বসিয়েছেন মূলত বোলাররা। ১৪৩ রানেই স্বাগতিক উইন্ডিজের ৮ উইকেট তুলে নিয়েছেন তারা। দ্বিতীয় দিন শেষে ক্যারিবীয়রা পিছিয়ে ২৫৬ রানে। প্রথম দিনই সেঞ্চুরির পথে ২০১৪-২০১৫ টানা দুই বছর মিলিয়ে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ২০০০ বা তার বেশি রানের অনন্য নাজির স্থাপন করেছিলেন স্মিথ। দ্বিতীয় দিন মাঠে নেমেছিলেন ১৩৫ রান নিয়ে। বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউ বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও ছোট ছোট সহায়তায় ডাবল সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যক্তিগত ১৯৯ রানে দলের নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে স্বাগতিক পেসার জেরোমে টেইলরের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন স্মিথ! ৩৬১ বলে ২১ চার ও ২ ছক্কায় এ রান করেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা প্রতিভাবান এ পেসার। টেস্ট ইতিহাসের অষ্টম ও অস্ট্রেলিয়ার মাত্র তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ১ রানের জন্য ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পেলেন না ২৬ বছর বয়সি নিউসাউথওয়েলস হিরো। ১৯৯ রানে আউট হওয়া অপর ৭ ক্রিকেটার পাকিস্তানের মুদাসসর নজর, ইউনুস খান, অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু এলিয়ট, স্টিভ ওয়াহ, ভারতের মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন, শ্রীলঙ্কার সনাথ জয়সুরিয়া ও ইংল্যান্ডের ইয়ান বেল। স্মিথের আগে সর্বশেষ ২০০৮ সালে লর্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এমন দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছিলেন বেল। অসিদের ইনিংসটি ছিল কেবলই স্মিথময়। আর কেউ ন্যূনতম হাফ সেঞ্চুরির দেখা পাননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৭ রান ক্লার্কের। জেসন হোল্ডারের শিকারে পরিণত হন ফর্ম নিয়ে ঝুঝতে থাকা অধিনায়ক। শেষ ২০ টেস্ট ইনিংসে দুটি মাত্র হাফ সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া ব্যাটসম্যানের এ সময়ে মোট রান ৫৫৭! গড় ৩৩। যা তার নামের পাশে বড় বেমানান। উন্ডিজের হয়ে পেসার জেরোমে টেইলর ৬ ও জেসন হোল্ডার নেন ২টি করে উইকেট। ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ের পথে ইনিংসে টেইলরের ফিগার ২৫-১০-৪৭-৬! অপর পেসার কেমার রোচ ও স্পিনার বিরাস্বামী পারমল নেন ১টি করে উইকেট। অর্থাৎ তিন পেসার মিলে ৯ উইকেট, গত দশ বছরে দেশটির পেসারদের মাত্র এমন পঞ্চম সাফল্য এই প্রথম! টেইলরের সাফল্য ম্লান হয়ে যায় ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায়। প্রথম ইনিংসে জবাব দিতে নেমে ৪৭ ওভারে ১৪৩ রান তুলতেই ৮ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা ক্যারিবীয়রা। সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন ছয় নম্বরে নামা জার্মেইন ব্ল্যাকউড। শাই হোপ ২৬ ও ডোয়াইন ব্রাভোর ১৪ উল্লেখ্য। ৩টি করে উইকেট নিয়ে স্বাগতিক শিবিরে ধস নামান পেসার জস হ্যাজলউড ও স্পিনার নাথান লেয়ন। সংক্ষিপ্ত স্কোর ॥ অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস ৩৯৯/১০ (১২৬.৫ ওভার; স্মিথ ১৯৯, ক্লার্ক ৪৭, ভোগস ৩৭, ওয়াটসন ২৫, হ্যাজলউড ২৪, হ্যাডিন ২২; টেইলর ৬/৪৭, হোল্ডার ২/৬৪, রোচ ১/১১৩, পারমল ১/১২৪) ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস ১৪৩/৮ (৪৭ ওভার; ব্ল্যাকউড ৫১, হোপ ২৬, ব্রাভো ১৪, হোল্ডার ১৩*, ডরিখ ১৩; হ্যাজলউড ৩/১৫, লেয়ন ৩/৩৫, স্টার্ক ১/৩৩) ** দ্বিতীয় দিন শেষে
×