ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফরিদপুরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত সর্দার নিহত

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ১৪ জুন ২০১৫

ফরিদপুরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত সর্দার নিহত

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর, ১৩ জুন ॥ পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত সর্দার সেলিম শেখ (৩৫) নিহত হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নে হাসান বিশ্বাসের মালিকানাধীন কেবি ইটভাঁটির কাছে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সেলিম মধুখালীর গোপালপুর মহল্লার মৃত মনিরউদ্দিন শেখ ও সফুরা বেগমের ছেলে। জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান জানান, ওই গ্রামে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গোপনসূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় সেলিম শেখের মাথায় গুলি লাগলে ঘটনাস্থলেই সে নিহত হয়। এ সময় অন্য ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পুলিশ নিহত সেলিমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, একটি সুটারগান, একটি ম্যাগাজিন, একটি গুলি ও একটি রামদা উদ্ধার করে পুলিশ। মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমীন জানান, গোলাগুলির সময় এসআই সাইফুল সামনে এগিয়ে গেলে ডাকাতদের রামদায়ের কোপে আহত হন। সাইফুলের বাম হাতের কব্জির ওপরে কোপ লাগে। তাকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সেলিম শেখের বিরুদ্ধে মধুখালী থানায় পাঁচটি ডাকাতি, ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি ধর্ষণ ও একটি অপহরণ এবং মানিকগঞ্জ থানায় এক পুলিশ অপহরণসহ দেশের বিভিন্ন থানায় মোট ১০টি মামলা রয়েছে। এদিকে নিহত সেলিমের বোন ময়না বেগমের দাবি, ‘আমার ভাই ডাকাত ছিল না। সে মধুখালীতে আচার ও লজেন্স ফেরি করে জীবিকা নির্বাহ করত।’ তিনি বলেন, আমার ভায়ের তিন স্ত্রী। সে শুক্রবার গোপালগঞ্জে তৃতীয় স্ত্রীর বাড়িতে যায়। সেখান থেকে বেলা ১১টার দিকে গোয়ালন্দ এলে গোয়ালন্দ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। রাতে তাকে ফরিদপুরে এনে হত্যা করা হয়। ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মোহসীনুল হক জানান, এ ঘটনায় ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় হত্যা ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ নিহত পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
×