ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

যশোরে বজ্রপাতে পিতা-পুত্রের মৃত্যু ॥ অন্যত্র ৭

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ১৪ জুন ২০১৫

যশোরে বজ্রপাতে পিতা-পুত্রের মৃত্যু ॥ অন্যত্র ৭

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে কমপক্ষে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। যশোরের কেশবপুরে বজ্রপাতে পিতা-পুত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এছাড়া অন্যত্র সাতজন মারা যায়। এর মধ্যে বগুড়ায় দুইজন, মানিকগঞ্জ, হবিগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জে একজন করে মারা যায়। শুক্রবার রাত ও শনিবার এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের। যশোরের কেশবপুরে শনিবার দুপুরে কৃষক আব্দুল হামিদ ফকির (৪৫) গোবিন্দপুর মাঠে কাজ করছিল। দুপুরে ছেলে আবু হুরাইরা (১৩) পিতার জন্য ভাত নিয়ে যায়। বৃষ্টি শুরু হলে তারা একটি গাছের নিচে আশ্রয় নেয়। এ সময় ভারি বর্ষণের সঙ্গে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই পিতা ও পুত্রের মৃত্যু হয়। মানিকগঞ্জ ॥ সদর উপজেলার বারাহিরচর এলাকায় শনিবার বিকেলে বজ্রপাতে আব্দুল হালিম (৪৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আব্দুল হালিম বারাহিরচর গ্রামের হযরত আলী মাতবরের ছেলে। দুপুরে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে বাড়ির পাশের জমিতে কাজ করছিলেন হালিম। এসময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। বগুড়া ॥ ধুনট সদর ইউনিয়নের পাকুরিহাট গ্রামের নূর আলমের ছেলে রফিকুল ইসলাম বৃষ্টির মধ্যে সকাল সাড়ে আটটার দিকে মাঠে গরু চড়াতে গেলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। অন্যদিকে নন্দীগ্রাম উপজেলার হাটকড়ই গ্রামের জামুলি রায় সকাল সাড়ে সাতটার দিকে গরু মাঠে গেলে বজ্রপাতে তিনি মারা যান। হবিগঞ্জ ॥ শুক্রবার সন্ধ্যায় নোয়াপাড়া বাজার থেকে সন্তোষ সাইকেলে বাড়ি ফেরছিলেন। এ সময় তিনি বজ্রপাতে গুরুতর আহত হলে তাঁকে তিতাস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে মধ্যরাতে তাঁর মৃত্যু হয়। একই রাতে বানিয়াচংয়ের উত্তর সাঙ্গর গ্রামে বজ্রপাতে আরও দুই যুবক গুরুতর আহত হয়। তাদের হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা ॥ দামুড়হুদার দর্শনায় বজ্রপাতে আবু সাইদ (৩০) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছে। তিনি পরানপুর গ্রামের আলী ম-লের ছেলে। নিহতের বাবা আলী ম-ল জানান, শনিবার সকালে আবু সাইদ বাড়ির পাশের মাঠে কৃষি কাজ করছিলো। এ সময় বজ্রপাতে তিনি গুরুতর আহত হলে তাঁকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন । সিরাজগঞ্জ ॥ সলঙ্গায় মালতিনগর মাঠে শনিবার সকালে বজ্রপাতে নার্গিস খাতুন (৩৫) নামে এক নারী মারা গেছেন। তিনি সলঙ্গা থানার ধুবিল ইউনিয়নের মালতিনগর গ্রামের জিল্লুর রহমানের স্ত্রী। নার্গিস সকালে মালতিনগর মাঠে গরু নিয়ে গেলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
×