ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রোজা সামনে রেখে অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ১৩ জুন ২০১৫

রোজা সামনে রেখে অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রোজা সামনে রেখে সবজিসহ মাছ ও মাংসের দাম বেড়ে যাচ্ছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার নগরবাসী বাজার করতে এসেই বুঝলেন দরজায় কড়া নাড়ছে রোজা। ইফতারিতে বেশি ব্যবহার হয় এমন সব পণ্যের কেনাকাটার যেন উৎসব শুরু হয়েছে। এছাড়া যারা চাকরি করেন তাঁরা শুক্রবার বেশি করে আগাম মাছ, মাংস, সবজিসহ অন্যান্য পণ্য সামগ্রী কেনাকাটা করেছেন। ছোলা, ডাল, পেঁয়াজ, চিনি, ভোজ্যতেল এবং খেজুর সংগ্রহ করছেন ভোক্তারা। কারণ, আগামী বুধ বা বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে রোজা। শুক্রবার রাজধানীর কাপ্তান বাজার, কাওরান বাজার, ফকিরাপুল, পলাশী, মালিবাগ এবং নিউমার্কেট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রোজা সামনে রেখে অধিকাংশ ভোগ্যপণ্যের দাম কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে দু’দিন ধরে মৌসুমী বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় দেশের নিম্নাঞ্চলগুলোতে বন্যা দেখা দিয়েছে। এসব কারণে সবজির দাম বেড়ে যাচ্ছে। কাওরান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মোঃ জসিম এ প্রসঙ্গে জনকণ্ঠকে বলেন, দু’দিনের বৃষ্টিপাতের কারণে অনেক স্থানে আগাম বন্যা দেখা দিয়েছে। সবজি ক্ষেতগুলোতে পানি জমে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এসব কারণে বাজারে সবজি সরবরাহ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। ফলে বেড়ে যাচ্ছে দামও। তিনি বলেন, সামনে বর্ষাকাল শুরু হচ্ছে। এই সময়টাতে এমনি সবজি সরবরাহ কমে যায়। সবজি পচে যায়। তাই এ বছর রোজায় ক্রেতাদের বাড়তি দামেই সবজি খেতে হবে বলে জানান তিনি। এদিকে এখন বাজারে কেজিপ্রতি আলু ১৮ থেকে ২০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৪০, মিষ্টিকুমড়া ২০-২৫, শসা ২০-৩০, ঝিঙ্গা ৩০-৩৫, বরবটি ২৫-৩০, কচুরলতি ২০-৩০, চিচিঙ্গা ২২-২৮, পটোল ২০-৩০, ঢেঁড়স ২০-২৫, টমেটো ৩০-৩৫ এবং করল্লা ২৫-৩৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এদিকে নিত্যপণ্যের বাজারে কেজিপ্রতি মসুরের ডাল (দেশী/বিদেশী উন্নত) ১১৫-১২০, দেশী (সাধারণ) ১১০-১১২, বিদেশী (সাধারণ) ৯০-৯৫, মুগের ডাল (সরু) ১১৫-১২০, মোটা ৯৫-১০০, ছোলা (বিদেশী আস্ত) ৭০-৭৫, খেসারি ৫৫-৬০, মাষ ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এসব পণ্যের গত দুই সপ্তাহ ধরে দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। কাওরান বাজার ও ফকিরাপুল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজিপ্রতি সরু চাল (নাজিরশাইল) ৪৬ থেকে ৫২, (মিনিকেট) ৪২-৪৬, মাঝারি চাল (পারিজা, হাসকি, বিআর-২৮) ৩৪-৩৮, মোটা চাল (গুটি, স্বর্ণা) ৩০-৩২, সুগন্ধি চাল (কালিজিরা, চিনিগুঁড়া) ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া কেজিপ্রতি দেশী পেঁয়াজ ৪২-৪৫, আমদানিকৃত ৩২-৩৫, রসুন (দেশী) ৬০-৭৫, আমদানিকৃত ৯০-১০০, শুকনামরিচ (দেশী) ১৩৫-১৪৫, আদা (চায়না) ১৩০-১৪৫, ভারতীয়টি ১১০-১২০, হলুদ (দেশী লম্বা) ১৮০ থেকে ২০০, কাঁচামরিচ ২৫ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। কেজিপ্রতি চিনি খোলা) ৩৮ থেকে ৪০, গুড় (আখের) ৬০ থেকে ৭০ ও খেজুর ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিপ্রতি গরু ৩৭০ থেকে ৩৯০, খাসী ৫০০-৫৫০, দেশী মোরগ/মুরগি ৩৭০-৩৯০, কক ও সোনালী ২৫৫-২৬৫, ফার্ম ব্রয়লার ১৫৫-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি লিটার সয়াবিন (খোলা) ৮০, পাম তেল ৬০-৬২, সরিষার তেল ১২০-১৩০ টাকা, সয়াবিন ক্যান (৫ লিটার) ৪৬০ থেকে ৪৮০, এক লিটার ৯৫ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
×