ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘অংকুর’ নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন আজ

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ১১ জুন ২০১৫

‘অংকুর’ নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন আজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে কয়েক বছর ধরে মঞ্চনাটকের দর্শক সঙ্কট চলছে। বলা হচ্ছে যানজটের নগরী ঢাকার নাট্য মিলনায়তনে দর্শকদের নিরাপত্তাহীনতা এবং চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা মঞ্চনাটকের দর্শক সঙ্কটের জন্য দায়ী। দর্শক সঙ্কটের কারণে চলতি বছরে হাতে গোনা কয়েকটি দল ছাড়া নতুন উল্লেখযোগ্য নাটক মঞ্চে আসেনি। এই অবস্থায় ঢাকার মঞ্চে আরও একটি নতুন নাটক আসছে। ঢাকা মৌলিক নাট্যদলের দ্বিতীয় প্রযোজনা ‘অংকুর’ নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হবে আজ বৃহস্পতিবার। আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে নাটকটির মঞ্চায়ন হবে। ‘অংকুর’ নাটকটি রচনা করেছেন দেশের বরেণ্য ও জনপ্রিয় নাট্যকার কাজী রফিক। নাটকের নির্দেশনায় দিয়েছেন ঢাকা মৌলিক নাট্যদলের সভাপতি সাজু আহমেদ। উদ্বোধনী মঞ্চায়নে আজ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন ওহী চৌধুরী, অলিউল্লাহ অলি, মনি বেগম, তুষার খান, জাভেদ আকাশ, নিলয় রহমান, জিএম স্পর্শ, নিপা, সাজু আহমেদ, হিরা, অপু, ফারুক, ইমরান, পরান, হিমেল, রাহাত, আনিস নিলয়, সুমন, সবুজ, রানা মল্লিক প্রমুখ। নাটকের সঙ্গীত পরিচালনায় হাসান সিদ্দিকী, কোরিওগ্রাফী করেছেন নিলয় রহমান, পোশাক মনি বেগম, সেট ডিজাইন করেছেন অলি উল্লাহ অলি। নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন প্রসঙ্গে দলের সহ-সভাপতি এবং নাটকের অন্যতম অভিনেতা অলিউল্লাহ অলি জানান, সমসাময়িক রাজনীতিসহ অনান্যা বিষয়কে ‘অংকুর’ নাটকে তুলে ধরা হয়েছে। উদ্বোধনী প্রদর্শনী উপলক্ষে খুব অল্প সময়েই দলের শান্তিনগর কার্যালয়ে পুরাদমে মহড়া করছেন তারা। তিনি বলেন, ঢাকার নাট্যাঙ্গনে ‘অংকুর’ নাটকটি অন্যতম প্রযোজনা হবে বলে আমার বিশ্বাস। অংকুর নাটকের গল্পে তুলে ধরা হয়েছে এক রূপবানের জীবন। গ্রামের এক গরিব চাষার ঘরে যার জন্ম রূপবানের। কিন্ত মেধাবী। চাষার ঘরে জন্ম হলেও সব ছিল রপবানের। ধানী জমি, থাকার ঘর। পুকুর ভরা মাছ। এক সময় দিন বদলায়। নদী ভাঙ্গনের পর সুদের কারবারিদের খপ্পরে পরে তার পরিবার। সুদের দেনায় জমি যায় মাতবরের কবজায়। বাড়ি যায়, মাথা গুজনের ঠাঁইও যায়। রাইত দুপুরে বাড়ির বেড়া কেটে তুলে নিয়ে যায় কিশোরী রূপভানকে। আট দশজন পশু ছিন্ন ভিন্ন করে কচি দেহ। মোল্লা পুরুতের ফতোয়াবাজিতে গ্রাম ছাড়া হয়। বস্তির ঘুট ঘুটা অন্ধকার ঘরে ধুঁকে ধুঁকে মরে। বিবাহ করার লোভ দেখিয়ে বেচা কেনা করে শরীর। তারপর সে হয় অন্ধকার জগতের বাসিন্দা। তবে রূপবতী রূপবানের প্রশংসায় ছড়িয়ে পরে চারদিকে। আস্তানায় হাজির হয় জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রিয় কবি, এমনকি স্বয়ং একজন মোল্লাও। তাদের তিনজন নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতায় নামে রূপবানকে একাই ভোগ করার জন্য। রূপবানের আশ্রিতা পরি। সে ভালবাসে আরেক আশ্রিত প্রহরীকে। যে রূপবানের নষ্ট জীবনকে ঘৃণা করে কিন্ত সে ভালবাসে রূপবানকে। কারণ জন্মের পর থেকে সে তাকেই কেবল চেনে। একসময় রাজনৈতিক নেতা, কবি আর মোল্লার ঔরশে রূপবানের গর্ভে জন্ম নেয় এক অংকুর। কিন্ত সে অংকুরের দায় দায়িত্ব কেউ স্বীকার করতে চায়না।
×