স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৪ ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৪ এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের ফাইনালে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনালে সিলেটের করগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩-০ গোলে কক্সবাজারের ফয়জুন্নেসা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে (করগ্রামের হয়ে একটি করে গোল করেন নাজিম, জিয়া ও মামুন) এবং বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের ফাইনালে ময়মনসিংহের কলসিন্দুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১-০ গোলে রংপুরের পলিচরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হারায় (কলসিন্দুরের হয়ে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করে রোজিনা আক্তার)। কলসিন্দুর স্কুল এ আসরে ২০১৩ সালের শিরোপা জিতেছিল। ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ী ও বিজিতি দলগুলোর হাতে ট্রফি তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। টুর্নামেন্টের বিজয়ী দলকে ১ লাখ টাকার প্রাইজমানি, রানার্সআপ দলকে ৭৫ হাজার টাকার প্রাইজমানি এবং তৃতীয় স্থান অধিকারী দলকে ৫০ হাজার টাকার প্রাইজমানি প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে অংশ নেয় ৬৩ হাজার ৪১৪ স্কুলের ১০ লাখ ৭৮ হাজার ৩৮ ফুটবলার এবং বঙ্গমাতা গোল্ডকাপে অংশ নেয় ৬২ হাজার ৭৩৪ স্কুলের ১০ লাখ ৬৬ হাজার ৪৭৮ ফুটবলার। সংখ্যার দিক থেকে বিবেচনা করলে এ টুর্নামেন্ট দুটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ টুর্নামেন্ট। ‘ছোটদের বিশ্বকাপ’ও বলা যেতে পারে!
এ ছাড়া প্রথম ম্যাচ শেষ হওয়ার পর মাঠে স্কুলের শিক্ষার্র্র্থীদের এক ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়। এই মনোজ্ঞ ডিসেপ্লে চলার সময় গ্যালারি থেকে (মাঠে খেলা দেখতে উপস্থিত ছিল প্রায় ১৫ হাজারের মতো স্কুল শিক্ষার্থী) কিছু উৎসাহী শিক্ষার্থী মাঠে নেমে আসে। তাতেই ক্ষান্ত হয়নি তারা। মনের আনন্দে তারা সারা মাঠ ও এ্যাথলেটিক ট্র্যাকের ওপর দাপাদাপি করে, কজন তো গোলপোস্টে বেয়ে ওঠে শাখামৃগের মতো! তখন নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা ছিলেন, তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার পরিচয় দেন। শুধু তাই নয়, দুটি ফাইনাল ম্যাচেই দেখা গেছে মাত্র একটি বল দিয়েই খেলা হয়েছে। বল মাঠের বাইরে চলে গেলে সেই বল আনার পর আবারও খেলা শুরু হয়েছে। ছিল না কোন বাড়তি বলের ব্যবস্থা। শুধু তাই নয়, স্টেডিয়ামের পাশে বিডিবিএল ভবনের ওপরে টাঙানো হয় বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের দুটি বিশাল আকৃতির ব্যানার। কিন্তু নিম্নমানের ব্যানার হওয়ায়, দুটি ব্যানারেরই একাংশ ছিঁড়ে বাতাসে উড়ে যায়, ফলে সেগুলো দেখতে ভীষণ দৃষ্টিকটু লেগেছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: