ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাজেটের প্রভাব নেই পুঁজিবাজারে

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ৯ জুন ২০১৫

বাজেটের প্রভাব নেই  পুঁজিবাজারে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০১৫-১৬ সালের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখবর থাকলেও এর কোন প্রভাব দেখা নেই পুঁজিবাজারে। সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে বেশি পুঁজিবাজার সহায়ক বাজেট ঘোষণার পরও উল্টো পথেই হাঁটছে পুঁজিবাজার। সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৩ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়েছে। লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। এতে তিনি টেলিকম ও টোব্যাকো ছাড়া সব কোম্পানির কর্পোরেট কর ২ দশমিক ৫০ শতাংশ কমানোর কথা বলেন। বাড়ানো হয় করমুক্ত লভ্যাংশ আয়ের সীমা। আর এমন ইতিবাচক খবরের পর পুঁজিবাজার গতিশীল হবে এমনটাই প্রত্যাশা ছিল বিনিয়োগকারীদের। কিন্তু বাজেটের পর রবিবার প্রথম লেনদেনে সূচকের খুব বেশি উত্থান হয়নি। আর সোমবারও বড় পতনের মধ্যে দিয়েই লেনদেন শেষ হলো পুঁজিবাজারে। বাজারের এই আচরণকে একেবারেই অপরিপক্ব বলছেন বাজার বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, এবারে অর্থমন্ত্রী উদার হাতে পুঁজিবাজারকে গুরুত্ব দিয়েছেন। কিন্তু বাজারে তার প্রভাব পড়ে সামান্যই। কারণ বিনিয়োগকারীদের দ্রুত মুনাফা তোলার প্রবণতাই এর জন্য দায়ী। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সোমবার ডিএসইতে ৫৮৬ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে; যা আগের দিনের তুলনায় ৬২ কোটি ২৭ লাখ টাকা বা ১০ শতাংশ কম। আগের দিন এ বাজারে লেনদেন হয়েছিল ৬৪৮ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩১৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৫টির, কমেছে ২৩২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির শেয়ার দর। সকালে সূচকের ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে শুরুর পরে মাত্র ১৫ মিনিট পরেই শেয়ার বিক্রির চাপ বেড়ে যায়। এরপরে থেকেই সূচকের তীর নিচে নামতে থাকে। দিনশেষে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্য সূচক ৭৫ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৫৪২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ১০৩ পয়েন্টে। ডিএস-৩০ সূচক ২৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৪৮ পয়েন্টে। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হচ্ছে- খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, বেক্সিমকো, সামিট পাওয়ার, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, বেক্সিমকো ফার্মা, ইউপিজিডিসিএল, এএফসি এ্যাগ্রো, বাংলাদেশ সাব মেরিন কেবল কোম্পানি এবং বারাকা পাওয়ার। দর বৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : আলহাজ টেক্সটাইল, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, হাক্কানী পার্ল্প, প্রাইম আইসিবি ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, জেমিনি সী ফুড, ইউনাইটেড এয়ার, উত্তরা ফাইন্যান্স, দেশ গামের্ন্টস ও মিথুন নিটিং। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো : পূরবী জেনারেল, রহিমা ফুড, ট্রাস্ট ব্যাংক, সামিট পোর্ট, সামিট পাওয়ার, আইসিবি ১ম এনআরবি, সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ও সাইফ পাওয়ার টেক।
×