ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৪:৫৯, ৮ জুন ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

শ্রীনগর সংযোগ খালের ওপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ হতে পাকা সড়কটি আঁকাবাঁকা পথে উপজেলা ভবন হয়ে ষোলঘর ৬০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল হয়ে পুনরায় ঢাকা-মাওয়া বিশ্বরোড। উপজেলার একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ষোলোঘরে অবস্থিত। ষোলঘর বাসস্ট্যান্ড থেকে সড়কটির যাত্রা শুরু। এটি ষোলোঘর বাাজরের মধ্য দিয়ে সরাসরি হাসপাতাল ও শ্রীনগর উপজেলা সদর হয়ে ঐতিহাসিক শ্রীনগর বাজার হয়ে ঢাকা-দোহার বিশ্বরোডে বাইপাস সড়কে মিলিত হয়েছে। একটি শাখা শ্রীনগর হতে ছনবাড়ি বিশ্বরোডে সংযুক্ত হয়েছে। চতুর্মুখী জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি শ্রীনগর বাজার পাকা সেতুর নিচ থেকে উপজেলা সদর হয়ে হাসপতাল, ষোলোঘর বাজার থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সাত কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। খানাখন্দে ভরা যানবাহন চলাচলের অযোগ্য। এর ফলে প্রতিদিন শত শত রোগী হাসপাতালে আসা-যাওয়া করছে যন্ত্রণা ও কষ্ট স্বীকার করে। ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াতে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। জনসাধারণ হাট-বাজার করতে পারছে না। রিক্সা, ভ্যান ও অন্যান্য যানবাহন চলাচলের অযোগ্য জনগুরুত্বপূর্ণ বিশ্বরোডের সংযোগ হাসপাতাল সড়কটির আশু মেরামত জরুরী। সংসদ সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষ সড়কটি সংস্কারে যথাযথ তাগিদ দিয়ে আসছেন। যোগাযোগমন্ত্রী প্রায়ই এই সড়কের পাশ দিয়ে মাওয়া যাতায়াত করেন। দয়া করে তিনি এসে একবার দেখে যান এবং অতিসত্বর সংস্কারের ব্যবস্থা নিন। মেছের আলী মুন্সীগঞ্জ। লোডশেডিং পূর্বে পুরান ঢাকায় লোডশেডিং এত প্রকট ছিল না। এখন দিনে-রাতে ফরিদাবাদ, মিলব্যারাক, গে-ারিয়া, সূত্রাপুর, ফরাশগঞ্জ, লালকুঠি, নারিন্দা, দয়াগঞ্জ ও পোস্তাগোলা এলাকায় এই লোডশেডিং চরমে। সামান্য বৃষ্টি হলেই বিদ্যুতের বেহাল অবস্থা অথচ এলাকার বাসাবাড়িতে মাস শেষে ডিপিডিসি যে হারে বিদ্যুত বিল দেয় তাতে এলাকাবাসী বিস্মিত ও হতবাক। অধিক টাকার বিদ্যুত বিল দিয়ে ডিপিডিসি লাভবান অথচ গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো আজ না খেয়ে এই বিদ্যুত বিল পরিশোধ করছে। মিটার ও বিলের সঙ্গে নেই কোন সম্পর্ক। নয়-ছয় বুঝ দিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে ডিপিডিসি আজ মোটা তাজা হচ্ছে আর পুরান ঢাকার বিদ্যুত গ্রাহকদের পরিবারে সর্বনাশ নেমে এসেছে। বিদ্যুত অফিসের মারপ্যাঁচে জনগণ আজ অসহনীয় এবং ক্ষুব্ধ। এলাকাতে যে হারে বিদ্যুত থাকে না তাতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার বেশি ক্ষতি হচ্ছে। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী ফরিদাবাদ, ঢাকা। নাম হোক সত্যেন্দ্রনাথ রায় চৌধুরী পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে নিয়ে দেশের কতিপয় রাজাকার আমাদের হাজারো স্বাধীনতাকামীর বাড়ি লুট করে জ্বালিয়ে দিয়েছিল। ওরাই পিরোজপুরের রায়েরকাঠির রাজা সত্যেন্দ্রনাথ রায় চৌধুরীর সমাধিসৌধ ভেঙ্গে ফেলে ও সেখানে পরবর্তীকালে গড়ে ওঠে পিরোজপুর মহিলা কলেজ। রায়েরকাঠির রাজাদের সহায় সম্পত্তি ছিল পিরোজপুরজুড়ে। ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ ভাগ হলে রাজাদের বাড়িঘরের দখল নেয় তৎকালীন পাকিস্তান সরকার এবং সেখানে গড়ে ওঠে স্কুল-কলেজসহ অন্যান্য স্থাপনা। স্থানীয় অনেকে মনে করেন, সত্যেন্দ্রনাথ রায় চৌধুরীর কাছারিবাড়ি ও সমাধিসৌধের ওপরে পিরোজপুর সরকারী মহিলা কলেজ স্থাপিত হয়েছে। তাই এই কলেজটির নাম ‘সত্যেন্দ্রনাথ রায় চৌধুরী সরকারী মহিলা কলেজ’ হওয়া উচিত। লিয়াকত হোসেন খোকন রূপনগর, ঢাকা।
×