ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

খাদ্য ওষুধের দাম বৃদ্ধিতে লোকসানের মুখে মালিক

চাঁপাইয়ে দুই শতাধিক পোল্ট্রি খামার বন্ধ ॥ বেকার ১০ হাজার

প্রকাশিত: ০৪:১০, ৬ জুন ২০১৫

চাঁপাইয়ে দুই শতাধিক পোল্ট্রি খামার বন্ধ ॥ বেকার ১০ হাজার

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ গরুর মাংসের সঙ্গে বেড়েছে পোল্ট্রি মুরগির দাম। পাশাপাশি নানা কারণে একের পর এক বন্ধ হচ্ছে পোল্ট্রি খামার। খাদ্য, ওষুধসহ আনুষঙ্গিক সব কিছুর দাম বৃদ্ধির ফলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলে দুই শতাধিক পোল্ট্রি খামার একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। যে সব শিক্ষিত ও আধা শিক্ষিত বেকার যুবক খুবই উৎসাহ নিয়ে এ শিল্পের দিকে ঝুঁকেছিল তারা আবার বেকার হয়ে পড়েছে। এদের সঙ্গে বেকার হয়ে পড়েছেন শত শত সাধারণ মালিক ও শ্রমিক-কর্মচারী। এই সংখ্যা প্রায় ১০ হাজারের কাছাকাছি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে নব্বই দশকের শুরুতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভাসহ পুরো উপজেলার যত্রতত্র, শিবগঞ্জ, নাচোল, রহনপুর, গোমস্তাপুর, ভোলাহাটসহ সংলগ্ন এলাকায় শত শত নারী-পুরুষ বেকারত্ব দূর করতে পোল্ট্রি খামার করার দিকে ঝুঁকে পড়েছিল। উদ্যোগের কারণে প্রায় সহস্রাধিক ছোট-বড় এবং মাঝারি ধরনের পোল্ট্রি খামার গড়ে ওঠে। কিন্তু গত কয়েক বছরে রোগ-বালাই খাদ্য ও খামারসংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির কারণে সঙ্কটে পড়ে এ শিল্প। খরচের ভারে নুয়ে পড়া মালিকরা বন্ধ করে দিয়েছে প্রায় শতাধিক খামার। এক খামার মালিক জানান চার বছর আগে জেলায় বাচ্চার যে দাম ছিল তা বৃদ্ধি পেয়ে এখন কয়েকগুণ বেশি। একইভাবে সোনালিসহ সব জাতের বয়লার বাচ্চার দাম বেড়েছে। পাশাপাশি মুরগির খাবার রেডিফিড, ভুট্টা, সয়াবিন, বিটবোন মিল অধিক মূল্য দিয়ে কিনতে হয়। একই সঙ্গে রোগ-বালাই প্রতিরোধ ও টিকার দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। এক কথায় এই শিল্পে কোন ধরনের ভর্তুকি ও সরকারী সহযোগিতা না থাকায় খামার মালিকদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। মুরগির খাবারের মধ্যে এসে পড়েছে বড় ধরনের ভেজাল। প্রোটিন মালটিসি চড়া মূল্যে কিনে এনে দেখা যাচ্ছে কোন কাজে আসছে না। খামার মালিকদের বড় অভিযোগ সরকারী কোন নীতিমালা না থাকায় ভারতীয় ডিম, বাচ্চা ও ওষুধ বাজার দখল করে রেখেছে। ফলে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে খামার ছেড়েছুড়ে পালাচ্ছে। একাধিক স্থান থেকে অভিযোগ রয়েছে বেকার যুবকরা ঋণ নিয়ে খামার গড়ে তুলেছিল লাভের আশায়। এখন লোকসান গুনতে গুনতে তারা বেহাল হয়ে পড়েছে।
×