ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পদ্মা সেতুতে বরাদ্দ ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা

প্রকাশিত: ০৬:০১, ৫ জুন ২০১৫

পদ্মা সেতুতে বরাদ্দ ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পদ্মা সেতুর কাজের দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চায় সরকার। এ জন্য আগামী (২০১৫-১৬) অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর (এডিপি) আওতায় এ বরাদ্দ দেয়া হয়। চলতি অর্থবছরে (২০১৪-১৫) বরাদ্দ ছিল ৮ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এছাড়া আরও কয়েকটি বিশেষ প্রকল্প বাস্তবায়নে বাজেটে গুরুত্ব দেয়া হবে। বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে যোগাযোগ খাতে। কিন্তু পরবর্তীতে সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ কমিয়ে করা হয়েছিল ৭ হাজার ৬০০ কোটি। সেখান থেকে অর্থবছর শেষে ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ফেরত দেয় সেতু বিভাগ। সূত্র জানায়, দ্রুত এগিয়ে চলছে দেশের সর্ববৃহৎ অবকাঠামো পদ্মা সেতুর কাজ। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত মূল সেতু, নদী শাসন, সংযোগ সড়ক, তদারকি ও পরিবেশ কার্যক্রমসহ অন্যান্য অংশ মিলে বাস্তবায়ন হয়েছে ৩৪ দশমিক ১২ শতাংশ কাজ। চলতি মাসের মধ্যেই শেষ হচ্ছে ভূমি অধিগ্রহণ, এর পরেই লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী শেষ হবে পুনর্বাসনের কাজও। পদ্মা সেতুর সময় ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা এবং অর্জিত ফলাফল শীর্ষক এক প্রতিবেদনে অগ্রগতির এ চিত্র উঠে এসেছে। পদ্মা সেতুর খাতভিত্তিক অগ্রগতি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, মূল সেতুর কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের নবেম্বর মাসে। এ পর্যন্ত এক শতাংশ কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে। ২০১৮ সালের নবেম্বরের মধ্যে এ কাজ সমাপ্ত করার লক্ষ্য নির্ধারিত রয়েছে। বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব পাওয়া প্রকল্পগুলো হচ্ছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত প্রকল্প, রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত প্রকল্প, গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ, এমআরটি-৬ প্রকল্প, এলএনজিন টার্মিনাল প্রকল্প, মাতারবাড়ি বিদ্যুত প্রকল্প এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর প্রকল্প। অন্যদিকে বাজেটে যোগাযোগ খাতের আওতায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে যানজট নিরসন ও নিরাপদ পরিবহনের ওপর। এজন্য পরিবহন খাতের ব্যবস্থাগত সংস্কারের পাশাপাশি সড়ক, সেতু ও রেলপথের উন্নয়ন করা হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের অংশ হিসেবে ভবিষ্যতে পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ অবস্থানে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরা হয়েছে। সড়ক পথে যাত্রীসেবার মান বাড়াতে ৩০০ দ্বিতল বাস ও ১০০ আর্টিকুলেটেড বাস সংগ্রহ করা হবে। রেল উন্নয়নে ২০ বছর মেয়াদী একটি রেলওয়ে মাস্টারপ্ল্যান গ্রহণ করেছে সরকার। এটি বাস্তবায়নে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। সে অনুযায়ী বাজেটে বরাদ্দের বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। ঢাকার যানজট নিরসনে মেট্রোরেলের কাজ ২০১৯ সালনাগাদ শেষ হবে বলে মনে করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এছাড়া ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, জাহাঙ্গীর গেট এলাকায় ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে কুতুবখালী পর্যন্ত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, গাজীপুর হতে বিমানবন্দর পর্যন্ত এবং বিমানবন্দর হতে ঝিলমিল পর্যন্ত বিআরটি রুট নির্মাণসহ বিভিন্ন উদ্যোগ এগিয়ে চলছে। এছাড়া মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার, কর্ণফুলি নদীর তলদেশে ট্যানেলসহ বিভিন্ন প্রকল্পে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বাজেটে যোগাযোগ খাতের আওতায় বন্দর ও নৌ-পথ উন্নয়ন এবং বিমানবন্দর উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের উদ্যোগের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
×