ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রজার ফেদেরারের বিদায়

প্রকাশিত: ০৪:৪৮, ৪ জুন ২০১৫

রজার ফেদেরারের বিদায়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে ১৭ গ্র্যান্ডস্লাম জিতেছেন রজার ফেদেরার। অসাধারণ সব পারফর্মেন্স উপহার দিয়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। কিন্তু কালক্রমে নিজেকে হারিয়ে খোঁজছেন ফেড এক্সপ্রেস। প্রায় তিন বছর আগে শেষ কোন গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্ট জিতেছিলেন তিনি। এর পরের সময়টা কেটেছে শুধুই হতাশা আর না পাওয়ার বেদনায়। তারপরও ফেদেরারের ভক্ত-অনুরাগীরা আশায় ছিলেন ফ্রেঞ্চ ওপেনের পারফর্মেন্স নিয়ে। কিন্তু এখানেও নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ হলেন সুইস টেনিসের এই জীবন্ত কিংবদন্তি। মৌসুমের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্ট ফ্রেঞ্চ ওপেপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিলেন তিনি। মঙ্গলবার পুরষ এককের কোয়ার্টার ফাইনালে স্বদেশী স্টানিস্লাস ওয়ারিঙ্কার কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিঁটকে পড়েন রজার ফেদেরার। ডেভিস কাপের সতীর্থ ওয়ারিঙ্কার কাছে ৬-৪, ৬-৩ এবং ৭-৬ গেমে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিঁটকে পড়েন ১৭ গ্র্যান্ডস্লামজয়ী ফেদেরার। সময়টা মোটেই ভাল যাচ্ছেন না রজার ফেদেরারের। টেনিস কোর্টে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে রীতিমতো হুমকি ছিলেন তিনি। আর সেই ফেদেরারই দীর্ঘ তিন বছর ধরে শিরোপাহীন। সর্বশেষ ২০১২ সালে উইম্বলডন ট্রফি জিতেছিলেন। আর ২০০৯ সালে প্রথম ও শেষবারের মতো ফরাসী ওপেনের শিরোপা জিতেছিলেন এই সুইস তারকা। এর আগে গ্র্যান্ডসøামে চারবারের সাক্ষাতের প্রতিবারই ওয়ারিঙ্কাকে হারান রজার ফেদেরার। কিন্তু দুর্ভাগ্য সুইস তারকার। মঙ্গলবার আর পেরে উঠলেন না ৩৩ বছর বয়সী টেনিসের এই জীবন্ত কিংবদন্তি। পারফর্মেন্সে নিষ্প্রভতা আর বয়সের ভারে নুইয়ে পড়া রজার ফেদেরারের জন্য স্বরূপে ফেরার এই ফ্রেঞ্চ ওপেনই ছিল দারুণ সুযোগ। কিন্তু এখানেও মেলে ধরতে পারলেন না নিজেকে। আর এটা আবারও নতুন করে প্রমাণ করে যে আসলেই ফুরিয়ে যাচ্ছেন ফেদেরার। ম্যাচ শেষে নিজের ব্যর্থতা ভুলে প্রতিপক্ষ স্টানিসøাস ওয়ারিঙ্কারই প্রশংসা করেছেন ফেদেরার। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আগে থেকেই জানতাম স্টানিসøাস এটা করতে পারে। আর এটা আসলেই তার জন্য খুব ভাল দিক। আমি মনে করি সে আজ অসাধারণ পারফর্মেন্স করেছে।’ ফ্রেঞ্চ ওপেনে এবারই প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে উঠেছেন স্টানিসøাস ওয়ারিঙ্কা। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো রোঁলা গাঁরোর শেষ চারে উঠে উচ্ছ্বসিত এই সুইস তারকা। আর এটাকেই ক্লে কোর্টের সেরা ম্যাচ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এ বিষয়ে তার অভিমত হলো, ‘ক্লে কোর্টে এটাই আমার সেরা ম্যাচ। আসলে আমার জন্য এটা অসাধারণ এক মুহূর্ত। এখানকার পরিবেশটা অনেক কঠিন ছিল। বাতাসের তীব্রতাটা বেশি ছিল। তবে আমার নিজের প্রতি বিশ্বাস ছিল। এই সময়ে আমি খুবই ভাল খেলছি। তাছাড়া প্রথমবারের মতো প্যারিসের সেমিফাইনালে উঠে আমি খুবই আনন্দিত।’ স্টানিসøাস ওয়ারিঙ্কা ফরাসী ওপেনের সেমিফাইনালে জো উইলফ্রেইড সোঙ্গার মুখোমুখি হবেন। নিশিকোরিকে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকেট কাটেন ফরাসী তারকা উইলফ্রেইড। কোয়ার্টার ফাইনালে জাপানী টেনিস তারকা নিশিকোরিকে ৬-১, ৬-৪, ৪-৬, ৩-৬, ৬-৩ গেমে পরাজিত করেন তিনি। এখন তার লক্ষ্য নিজেদের মাটিতে সেরাটা ঢেলে দেয়া।
×