ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৩:৫৩, ৪ জুন ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

উচ্ছেদ করুন রেললাইন ঘিরে দোকান-বাজার, ঝুপড়ি ঘর থাকায় অহরহ ট্রেনে কাটা পড়ে মানুষ মারা যাচ্ছে। এ নিয়ে এক বৃদ্ধ জানালেন, এ জন্য দায়ী রেললাইন ঘিরে হাটবাজার বস্তি গড়ে তুলতে যারা উৎসাহিত করেছেন, যারা রেললাইনের পাশে দোকান-বাজার, বস্তি গড়ে তুলেছেন ও সংশ্লিষ্ট বিভাগও। কেননা, তারা তো ভাল করেই জানতেন, রেললাইন ঘিরে রয়েছে দোকান-বাজার-ঝুপড়ি ঘর। আগে কেন উচ্ছেদ করলেন না তাঁরা। তবে বিলম্বে হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবার কোন কোন জায়গার রেললাইন ঘিরে গড়ে ওঠা দোকানপাট, মাছের আড়ত উচ্ছেদ করতে শুরু করেছে। আবার কিছুদিন যেতেই হয়ত প্রভাবশালীরা উৎসাহিত করবেন স্বল্প আয়ের পরিবারকে রেললাইনের পাশে ঘরবাড়ি, দোকানপাট, বাজার গড়ে তুলতে। বাস্তবে এটাই হয়েছে বার বার। এদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মনে রাখতে হবে, শুধু ঢাকায় নয়, ঢাকার বাইরে বহু জায়গায় রেললাইনের পাশে রয়েছে বাড়িঘর, বাজার-দোকানপাট। এগুলোও অতিসত্বর উচ্ছেদের উদ্যোগ নিন। তা না হলে রেললাইনে, রেল ক্রসিং মরণফাঁদ হয়েই থাকবে। অপরদিকে ঢাকায় যত রেল ক্রসিং আছে এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে তেজগাঁও ক্রসিংয়ে। অন্যতম কারণ, বস্তি এবং বিশাল এলাকা দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে অবিলম্বে তেজগাঁও থেকে ট্রাকস্ট্যান্ড অন্যত্র স্থানান্তুর করাও জরুরী। এছাড়া দেশের সর্বত্র রেললাইনের পাশে গড়ে ওঠা বাড়িঘর, দোকানপাট অন্যত্র স্থানান্তুর করার ব্যবস্থা নিতে হবে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে। রেললাইনের পাশে বাড়িঘর দেখতে চাই না। শুনতে চাই না কখনও ট্রেনে কাটা পড়ে মানুষ মারা গেছে। শৈশবে দেবকী কুমার বসু পরিচালিত ‘কবি’ ছবিতে দেখেছিলাম ঠাকুরঝি অনুভা গুপ্তা তার প্রিয়তম রবীন মজুমদারকে না পেয়ে মনের কষ্টে ট্রেনের নিচে পড়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। সে তো রূপালী পর্দায় কাহিনী- বাস্তবে কেউ কোনদিন ট্রেনের নিচে পড়ে প্রাণ হারাক এটা আর কখনও শুনতে চাই না। লিয়াকত হোসেন খোকন রূপনগর, ঢাকা। জনবল বাড়ানো হোক দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী, বাণিজ্যিক রাজধানীখ্যাত বন্দরনগরী চট্টগ্রামে জনবল সঙ্কটের কারণে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। বাণিজ্যিক নগরী হওয়াতে প্রতিদিন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল হতে কাজের সন্ধানে কিংবা জীবন সংগ্রামের তাগিদে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ছুটে আসছে নানা পেশার মানুষ। প্রতিদিন আসছে মানুষ, বাড়ছে অপরাধ, বাড়ছে না পুলিশের জনবল। চারটি নতুন থানা বৃদ্ধি এবং কিছুটা জনবল বাড়ায় অপরাধ দমনে অনেকাংশে সহায়ক ভূমিকা পালন করছিল পুলিশ। কিন্তু নগরীতে মানুষের চাপ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে গেছে অপরাধও। সে তুলনায় পুলিশের সংখ্যা খুবই নগণ্য। যদিও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, বর্তমান সরকার পুলিশ বাহিনীতে আরও ৫০ হাজার জনবল বৃদ্ধির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ পুলিশকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম সরবরাহের কার্যক্রমও অব্যাহত রয়েছে। সরকারের এমন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কিন্তু তা বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা মনে করি এসব উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়ন এবং পুলিশ বাহিনীতে বিশেষ করে চট্টগ্রাম পুলিশে দ্রুত জনবল বাড়ানো হোক। এনামুল হক লিটন ও সাহেনা আক্তার হেনা চট্টগ্রাম। লোডশেডিং পূর্বে পুরান ঢাকায় লোডশেডিং প্রকট ছিল না। এখন দিনে-রাতে মিলব্যারাক, ফরিদাবাদ, গে-ারিয়া, সূত্রাপুর, ফরাশগঞ্জ, লালকুঠি, নারিন্দা, দয়াগঞ্জ ও পোস্তাগোলা এলাকায় এই লোডশেডিং চরমে। সামান্য বৃষ্টি হলেই বিদ্যুতের বেহাল অবস্থা অথচ এলাকার বাসাবাড়িতে মাস শেষে ডিপিডিসি যে হারে বিদ্যুত বিল দেয় তাতে এলাকাবাসী বিস্মিত ও হতবাক। অধিক টাকার বিদ্যুত বিল দিয়ে ডিপিডিসি লাভবান অথচ গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো আজ না খেয়ে এই বিদ্যুত বিল পরিশোধ করছে। মিটার ও বিলের সঙ্গে নেই কোন সম্পর্ক। নয়-ছয় বুঝ দিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে ডিপিডিসি আজ মোটা তাজা হচ্ছে আর পুরান ঢাকার বিদ্যুত গ্রাহকদের পরিবারে সর্বনাশ নেমে এসেছে। বিদ্যুত অফিসের মারপ্যাঁচে জনগণ আজ অসহনীয় এবং ক্ষুব্ধ। এলাকাতে যে হারে বিদ্যুত থাকে না তাতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার বেশি ক্ষতি হচ্ছে। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী ফরিদাবাদ, ঢাকা।
×