ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জামালপুরে বেড়িবাঁধ ॥ ৭০ ফুট যমুনায় বিলীন

প্রকাশিত: ০৪:১০, ২ জুন ২০১৫

জামালপুরে বেড়িবাঁধ ॥ ৭০ ফুট যমুনায় বিলীন

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর, ১ জুন ॥ যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইসলামপুর উপজেলার হাড়গিলায় প্রায় ৭০ ফুট বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যমুনার শাখা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এতে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে নদীর দুই পাড়ের আট গ্রামের বাসিন্দা। বন্যার আগেই বাঁধটি মেরামত করা না হলে চরের ফসল আনা-নেয়াসহ যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের শিকার হবেন এসব গ্রামের মানুষ। এতে অর্থনৈতিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তারা। ইসলামপুর উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বাদল জানিয়েছেন, অতি বৃষ্টি এবং যমুনার পানি বৃদ্ধিতে হাড়গিলা-তারতাপাড়া বেড়িবাঁধটি ভেঙ্গে যমুনার শাখা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। যমুনার এই শাখা নদীর দুই পাড়ে তারতাপাড়া, নতুনপাড়া, বীর মালপাড়া, ভাংবাড়ি, রায়েরপাড়া, মাইজবাড়ি, ব্রহ্মোত্তোর ও রাজনগর এই আট গ্রামের মানুষের বসবাস। যমুনার পানির তোড়ে বাঁধের একাংশ নদীতে বিলীন হওয়ায় এসব গ্রামের মানুষের যাতায়াত এবং চরের ফসল আনা-নেয়ার একমাত্র পথটি বন্ধ হয়ে যায়। এতে বিপাকে নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দারা। রবিবার থেকে এসব গ্রামের মানুষরা কেউ নৌকা দিয়ে আবার অনেকেই সাঁতরে পারাপার হচ্ছে। বন্যার আগেই বাঁধের ভেঙ্গে যাওয়া অংশটি মেরামত করা না হলে নদীর দুই পাড়ের মানুষের যাতায়াতে দুর্ভোগের পাশাপাশি পুরো বাঁধটি নদী গর্ভে বিলীন এবং তীব্র নদী ভাঙ্গনের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুমুর রহমান বলেন, ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধটি মেরামতের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষ হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। গ্রীষ্মেই তিস্তা বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই স্টাফ রিপোর্টার নীলফামারী থেকে জানান, বর্ষার আগেই ভারি বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সোমবার তিস্তায় এক মিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার দশমিক ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যে কোন সময় তিস্তার পানি নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। এদিকে উজানের ঢল অব্যাহত থাকায় দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ স্লুইস গেট খুলে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি তিস্তা নদীর চর এলাকাগুলো প্লাবিত হতে শুরু করেছে। সোমবার দুপুরে দেখা যায় উজান থেকে তিস্তা নদী বাংলাদেশের প্রবেশপথ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের কালীগঞ্জ জিরো পয়েন্ট দিয়ে স্রোতধারায় হু-হু করে পানি বাংলাদেশে সীমানার তিস্তা নদীতে ধেয়ে আসছে, যা দ্রুত প্রবাহে চলে যাচ্ছে ভাটির দিকে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, রবিবার তিস্তা নদীর পানি ৫১ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সোমবার সকাল ৬টা থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৫২ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৪০) ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
×