ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হাই পারফর্মেন্স প্রোগ্রাম শুরু আজ

প্রকাশিত: ০৫:২১, ১ জুন ২০১৫

হাই পারফর্মেন্স প্রোগ্রাম শুরু  আজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) হাইপারফর্মেন্স (এইচপি) প্রোগ্রাম শুরু হচ্ছে আজ। এ জন্য রবিবার এইচপিতে সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটাররা মিরপুরের ক্রিকেট একাডেমিতে রিপোর্টও করেছেন। ২০০৪ সালে প্রথমবারের মতো হাইপারফর্মেন্স (এইচপি) ইউনিট গঠন করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। রিচার্ড ম্যাকিন্সের তত্ত্বাবধানেই সেই ইউনিট চলেছে। বাংলাদেশ পেয়েছিল সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম ও শাহরিয়ার নাফীসদের মতো ক্রিকেটারদের। সাকিব এখন বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার। আর মুশফিক হচ্ছেন ‘রান মেশিন’। কিন্তু ২০০৭ সালেই এইচপি ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ আট বছর পর আবার আজ সেই কার্যক্রম শুরু হচ্ছে কিছুটা ভিন্ন আঙ্গিকে। ২২ সদস্যের এইচপি স্কোয়াড গঠনের পাশাপাশি আরও ৪টি বিশেষায়িত বিভাগ গঠন করেছে বিসিবি। এ নিয়ে গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে দল ঘোষণা করেন বিসিবির সহসভাপতি ও এইচপি ইউনিটের চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম। এইচপির ডিরেক্টর হচ্ছেন পল টেরি ও ম্যানেজার স্টুয়ার্ট কারপিনানের। প্রাথমিক অবস্থায় চার মাস চলবে এ কার্যক্রম। প্রধান কোচ হিসেবে থাকছেন লয়। সঙ্গে গঠিত বিশেষায়িত বিভাগগুলোর কার্যক্রম চালাতে দেশের চার কোচও থাকবেন। গত মাসের শুরুতেই এইচপির ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব নিতে বাংলাদেশে আসেন জার্মান বংশোদ্ভূত ইংলিশ ৫৫ বছর বয়সী ভিভিয়ান পল টেরি। প্রায় ১ মাস দেশের ক্রিকেটের অবস্থা খতিয়ে দেখেছেন। এবার চূড়ান্ত কাজ শুরুর সময় এসে গেছে। আজ শুরু হয়ে যাচ্ছে কাজ। ভবিষ্যত ক্রিকেটার বের করার কাজ। প্রাথমিক ফিটনেস টেস্টের পর স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটাররা বগুড়ায় চলে যাবেন। সেখানে শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে এক সপ্তাহ কাটাবেন ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটারদের পরখ করতেই বগুড়া যাওয়ার পরিকল্পনা। বগুড়ায় তিন ফরমেটেই দুটি করে ম্যাচ খেলবেন ক্রিকেটাররা। টি২০, ওয়ানডে ও দু’দিনের ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে। ক্রিকেটারদের দেখা ও তাদের সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার সুযোগ মিলবে কোচদের বগুড়ায়। এটি পল টেরির পরিকল্পনা। তিনি ক্রিকেটারদের সঙ্গে স্থানীয় কোচদেরও পরখ করতে চান। এইচপিতে স্থানীয় কোচদের মধ্যে কাজ করবেন পেস বোলিংয়ে সারোয়ার ইমরান, ব্যাটিংয়ে জাফরুল এহসান, স্পিনে ওয়াহিদুল গণি এবং উইকেটকিপিং ও ফিল্ডিং গোলাম মর্তুজা। চারমাসের এই কার্যক্রমের পাশাপাশি বছরজুড়ে উদীয়মান ও জাতীয় দলের কয়েক ক্রিকেটারকে নিয়ে হাইপারফর্মেন্স ইউনিটের অধীনে থেকে ‘এলিট প্রোগাম’ নামে আলাদা একটি কর্মসূচী চালু করতে যাচ্ছে বিসিবি। এই কর্মসূচীর কাজ হবে পাঁচটি বিভাগ নিয়ে। বিভাগগুলো হলোÑ পেস বোলিং (৪ সপ্তাহ), স্পিন বোলিং (৬ সপ্তাহ), ব্যাটিং (৬ সপ্তাহ), ফিল্ডিং (২ সপ্তাহ) ও উইকেটকিপিং (২ সপ্তাহ)। এলিট প্রোগ্রাম নিয়ে মাহবুব আনাম বলেছিলেন, ‘যারা জাতীয় দলের বাইরে চলে যান তাদের আমরা হারিয়ে যেতে দিতে চাই না। এই প্রোগ্রামে বছরজুড়ে ক্রিকেটাররা স্কিল ট্রেনিং করার সুযোগ পাবে। কারও ইনজুরি থাকলে এই প্রোগ্রামের আওতায় থেকে নিজেকে সারিয়ে নিতে পারবে।’ হাইপারফর্মেন্স স্কোয়াড ॥ রনি তালুকদার, লিটন কুমার দাস, সাদমান ইসলাম, তাসামুল হক, মাহমুদুল হাসান, মেহেদী হাসান রানা, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোঃ মিঠুন, তৈয়বুর রহমান, জুবায়ের হোসেন, সাকলাইন সজীব, নাহিদুজ্জামান, নাসুম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি, শুভাশীষ রায়, কামরুল হাসান রাব্বি, দেওয়ান সাব্বির, নুরুল হাসান সোহান, জাবিদ হোসেন ও ইরফান শুক্কুর। এলিট কার্যক্রম পেস বোলার ॥ আবুল হাসান রাজু, আল আমিন হোসেন, রবিউল ইসলাম, শুভাশীষ রায়, শফিউল ইসলাম, মোহাম্মদ সোহেল, আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি, মেহেদি হাসান, কামরুল ইসলাম রাব্বি, দেওয়ান সাব্বির, তাসকিন আহমেদ, রুবেল হোসেন, আবু হায়দার রনি, মাশরাফি বিন মর্তুজা, অনিক ইসলাম, সোহাগ রেজা, মোস্তাফিজুর রহমান ও মুক্তার আলী। স্পিন বোলার ॥ জুবায়ের হোসেন, সাকলাইন সজীব, নাহিদুজ্জামান, নাসুম আহমেদ, নুরুল হোসেন মুন্না, সোহাগ গাজী, সাঞ্জামুল ইসলাম, ইফতেখার সাজ্জাদ, আহম্মেদ সাদিকুর ও রাহাতুল ফেরদৌস। ব্যাটসম্যান ॥ রনি তালুকদার, লিটন কুমার দাস, সাদমান ইসলাম, তাসামুল হক, মাহমুদুল হাসান লিমন, সাব্বির হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোঃ মিঠুন, তৈয়বুর রহমান, সৈকত আলী, আসিফ আহমেদ রাতুল, মেহেদী মারুফ, আরিফুল হক, মার্শাল আইয়ুব, মেহরাব হোসেন, মাইশুকুর রহমান, নাঈম ইসলাম, শামসুর রহমান শুভ, রকিবুল হাসান ও শাহরিয়ার নাফীস। উইকেটরক্ষক ॥ নুরুল হাসান সোহান, জুবায়ের হোসেন, ইরফান শুক্কুর, হামিদুল ইসলাম হিমেল, মোহাম্মদ জসীম, লিটন কুমার দাস ও মোহাম্মদ মিঠুন।
×