ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধায় প্রতিভাবান স্কুলছাত্রীর ভাগ্যে জোটেনি ভাতা

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ১ জুন ২০১৫

গাইবান্ধায় প্রতিভাবান স্কুলছাত্রীর ভাগ্যে জোটেনি ভাতা

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ৩১ মে ॥ শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধী প্রতিভাবান স্কুলছাত্রী বুশরা জাহানের ভাগ্যে জোটেনি এখনও প্রতিবন্ধী ভাতা। শ্রবণ ও কথা বলায় জন্মগত সমস্যা সত্ত্বেও বুশরা জাহান তার পিতা-মাতা ও নিজের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এখন গোবিন্দগঞ্জ বালিকা বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণীতে লেখাপড়া করছে। জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বকচর গ্রামের আব্দুল ওয়াহাব ও জাকিয়া ইয়াসমিন টফির একমাত্র মেয়ে বুশরা জাহান জন্ম থেকেই কানে শুনতে এবং কথা বলতে পারে না। তার পিতা আব্দুল ওয়াহাব গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। তার স্বল্প আয়ের ওপর নির্ভর করে বুশরা জাহানের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা তারা অব্যাহত রাখেন। নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ ডাঃ এমএ মতিনের তত্ত্বাবধানে টনসিলসহ কানে এবং গলায় তার পাঁচ দফা অপারেশন করা হয়। এতে তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়। কানে ঠিকমত শুনতে না পেলেও এখন সে সামান্য কথা বলতে পারে। তবে অনেক কথা সে এখনও স্পষ্ট করে বলতে পারে না। এই বিরূপ অবস্থার মোকাবেলা করেও বুশরা জাহান মা-বাবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং নিজের আগ্রহে সে তার লেখাপড়া অব্যাহত রেখেছে। এমনকি কবিতা আবৃত্তি করে শিশু একাডেমির পুরস্কারও লাভ করছে। কিন্তু এখনও তার শারীরিক নানা সমস্যা অব্যাহত রয়েছে। তাকে পরিপূর্ণভাবে সুস্থ করে তুলতে প্রয়োজন উন্নত চিকিৎসা। কিন্তু মধ্যবিত্ত এই পরিবারটির আর্থিক সামর্থ্য নেই, যা দিয়ে তারা তার প্রতিবন্ধী মেয়েটির উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারে। এজন্য উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের সমাজসেবা কর্মকর্তার অফিস, গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার মেয়র, ওই এলাকার জাতীয় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে তার পিতা-মাতা একাধিকবার ধরনা দিয়েও কোন সহায়তা পাননি। এমনকি তার নামে সরকার নির্ধারিত প্রতিবন্ধী ভাতাও মঞ্জুর হয়নি। সুতরাং এই অসহায় মেয়েটির পিতা-মাতার কামনা প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা দিয়ে প্রতিবন্ধী ভাতা মঞ্জুর করে বুশরা জাহানের জীবনকে প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করা। যাতে এই কিশোরী মেয়েটি তার প্রতিবন্ধী অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে।
×