ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

লেনদেন কমেছে ২.৬১ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ৩১ মে ২০১৫

লেনদেন কমেছে ২.৬১ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। সফটওয়ার বিভ্রাটজনিত কারণে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমলেও সব ধরনের সূচকই ছিল উর্ধমুখী। তবে সফটওয়ারের সমস্যার কারণে লেনদেন যথা সময়ে শুরু করা থেকে নানা জটিলতার কারণে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ২ দশমিক ৬১ শতাংশ। তবুও বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, গত সপ্তাহে বাজারে বাজারে বিনিয়োগকারীদের হতাশ করেনি। বিশেষ করে বাছাই করা কিছু কোম্পানির লেনদেন ও দরবৃদ্ধিতে প্রাধান্য ছিল চোখে পড়ার মতো। সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, রবিবারে লেনদেনে বিঘœ ঘটার কারণে লেনদেন শুরু হয়েছিল দুপুর দুইটার পরে। বিকেল সোয়া চারটা পর্যন্ত এই লেনদেন চলে। যার কারণে লেনদেন কমে যায়। পরদিন সোমবার দেরিতে শুরু হলেও নির্ধারিত চার ঘণ্টাই লেনদেন চলে। তবে লেনদেনের গতি কিছুটা শ্লথ থাকলেও বাকি তিনদিন পুরোটা সময়ই লেনদেন হয়েছে। এভাবে সপ্তাহ শেষে ডিএসইতে আগের সপ্তাহের চেয়ে লেনদেন কমেছে ১০০ কোটি ৫৮ লাখ টাকার। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৭৩৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৮৩৬ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার। গত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৮ দশমিক ২৩ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এদিকে ডিএসইর সার্বিক সূচক বা ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছে ৩ দশমিক ৯০ শতাংশ বা ১৬৮ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএস ৩০ সূচক বেড়েছে ৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ বা ৫৯ দশমিক ৭২ পয়েন্ট। অপরদিকে শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ বা ৩৬ দশমিক ৪৫ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩২৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৮টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ২০৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১১টির। আর লেনদেন হয়নি ২টি কোম্পানির শেয়ার। বিশ্লেষকদের মতে, বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন কমার প্রধান কারণ ছিল সফটওয়ার সমস্যা। গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার লেনদেন হয়েছিল মাত্র ১ ঘণ্টা ১৪০ মিনিট। দ্বিতীয় কার্যদিবসের শুরুতেও এ সমস্যা রয়ে যায়। ওই দুইদিনে লেনদেন অনেক কম হয়। যার প্রভাব পড়েছে সপ্তাহ শেষে লেনদেনে। ডিএসইতে সার্বিক লেনদেন কমলেও গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক কিছুটা বেড়েছিল। যার কারণে মোট বাজার মূলধনও বেড়েছে দশমিক ৮৩ শতাংশ। রবিবারে সপ্তাহ শুরুর দিনে ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ১৭ হাজার কোটি টাকা। আর শেষ দিনে বৃহস্পতিবারে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। সাপ্তাহিক লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্টিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড, বেক্সিমকো, সামিট এলায়েন্স পোর্ট লিমিটেড, সাইফ পাওয়ার টেক, আরএকে সিরামিক, এসিআই ফর্মূলেশন, সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড ও মবিল যমুনা বাংলাদেশ। দর বাড়ার সেরা কোম্পানিগুলো হলো : বিএসআরএম লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, কেয়া কসমেটিকস, সামিট এলায়েন্স পোর্ট লিমিটেড, এসিআই ফর্র্র্মূলেশন, সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি লিমিটেড, লঙ্কা বাংলা ফাইন্যান্স, এসিআই লিমিটেড ও বিএসআরএম স্টিল। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ফ্যামিলি টেক্স, কে এ্যান্ড কিউ, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, সিনো বাংলা ইন্ড্রাস্টিজ, জাহিন স্পিনিং, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, এক্সিম ব্যাংক ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, সিএ্যান্ডএ টেক্সটাইল, হাক্কানী পাল্প ও মুন্নু স্টাফলারস।
×