ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সিদ্ধিরগঞ্জে ব্রিজ ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ৩১ মে ২০১৫

সিদ্ধিরগঞ্জে ব্রিজ ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা

নিজস্ব সংবাদদাতা, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ২৯ মে ॥ সিদ্ধিরগঞ্জের মধ্য সানারপাড়ের আলেক মার্কেট এলাকায় ডিএনডি’র নিষ্কাশন খালের ওপর নির্মিত ব্রিজটি এখন মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্রিজটিতে কোন রেলিং নেই। দু’দিকেই খোলা। ব্রিজটি যে কোন মুহূর্তে ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ফলে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। কিন্তু এ বিষযে কর্তৃপক্ষের কোন সাড়া নেই। জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৩নং ওয়ার্ড এলাকার মধ্য সানারপাড়ের আলেক মার্কেট এলাকায় ডিএনডি খালের ওপর ১৯৬৮-৭০ সালে (৪৫/৪৭ বছর আগে) মাত্র ১০ ফুট চওড়া করে একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। তখন সানারপাড় এলাকায় পুরাতন কয়েকটি বসত বাড়ি ছাড়া আর কিছুই ছিল না। জাতীয় পার্টির আমলে শিমরাইল মোড় থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক নির্মাণ করার পর থেকে সানারপাড় এলাকায় বাড়িঘর নির্মাণের হিড়িক পড়ে যায়। শুরু হয় গণবসতি। বর্তমানে সানারপাড় এলাকা লোকারণ্যে পরিণত হয়েছে। অথচ সানারপাড়ের আলেক মার্কেট এলাকায় নির্মিত ব্রিজটি পুনর্নির্মাণ, সংস্কার কিংবা সম্প্রাসরণ করা হয়নি। ইতোমধ্যে ব্রিজটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ব্রিজটির ইট সুরকি ও রড বের হয়ে এসেছে। ব্রিজটির নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ডিএনডি’র অভ্যন্তরের নর্দমা, ময়লা-আর্বজনা ও মিল কারখানার বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশ্রিত পঁচা পানি। খবর নিয়ে জানায়, সানারপাড় এলাকায় গড়ে উঠেছে বহু দোকানপাট, গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন মিল কারখানা, স্কুল-কলেজ, কিন্ডার গার্টেন, মসজিদ, মাদ্রাসা ও অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের অফিস। সানারপাড় এলাকায় তৈরি হয়েছে বহুতল বিশিষ্ট অসংখ্য পাকা ইমারত। এখানকার লোকজনের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এছাড়াও এ ব্রিজটি দিয়ে সারুলিয়ার পূর্ব ডগাইরের গ্রীন সিটি আবাসিক এলাকা, কোদাল ধোয়া, বক্সনগর, টেংরা, পূর্ব ডগাইর, পাড়া ডগাইর, নিমাইকাশারী, বাঘমারা, রসুলবাগ, বড় ভাঙ্গা, মনু মিয়া মার্কেট, তুষারধারা, সানারপাড় লন্ডন মার্কেট ও পশ্চিম সানারপাড়সহ বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার লোকজন প্রতিনিয়ত চলাচল করছে। জরাজীর্ণ এ ব্রিজটি দিয়ে মালামাল নিয়ে ভারী যানবাহনসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে। শুক্রবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সানারপাড় বাসস্ট্যান্ড থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজের আগ পর্যন্ত ৩০ ফুট চওড়া করে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে আর সিসি ঢালাই দিয়ে রাস্তা নির্মাণের জোর প্রস্তুতি চলছে। ড্রেন নির্মাণ শেষ হয়েছে। অথচ ব্রিজটি মাত্র ১০ ফুট চওড়া। কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে খুলনায় আঞ্চলিক সেমিনার অনুষ্ঠিত স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ ‘টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষার ভূমিকা : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আঞ্চলিক সেমিনার শনিবার খুলনা মহানগরীর হোটেল রয়্যালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্কিলস এ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (এসটিইপি) এই সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে খুলনা বিভাগের শিক্ষা বিষয়ক কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, শিল্পপতিরা অংশ গ্রহণ করেন। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আব্দুস সামাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফারুক হোসেন, বিশ্বব্যাংকের সনিয়র অপারেটরস অফিসার ড. মোঃ মোকলেসুর রহমান, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক এ এন এম সালাহ উদ্দিন খান। সভাপতিত্ব ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক (এসটিইপি) মোঃ ইমরান। বক্তব্য রাখেন স্টেপ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক এ জেড এম আব্দুল্লাহেল বাকী ও খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোঃ সিদ্দিকুর রহমান। সঞ্চালনা করেন প্রকল্পের কমিউনিকেশন কনসালটেন্ট মোঃ জিল্লুর রহমান। সেমিনারে বক্তারা বলেন, দেশের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন। আর দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। বক্তারা বিজ্ঞান শিক্ষাকে আরও জনপ্রিয় করা এবং ভোকেশনাল ও টেকনিক্যাল শিক্ষাকে অধিক গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানান।
×