ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

তামাকবিরোধী সেরা সংবাদদাতার পুরস্কার পেলেন জনকণ্ঠের হামিদ মামুন

প্রকাশিত: ০৬:০০, ২৯ মে ২০১৫

তামাকবিরোধী সেরা সংবাদদাতার পুরস্কার পেলেন জনকণ্ঠের  হামিদ মামুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ তামাকবিরোধী বেস্ট রিপোর্টিংয়ের জন্য ২০১৫ সালের টোব্যাকো কন্ট্রোল জার্নালিজম এ্যাওয়ার্ড পেলেন জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার হামিদ-উজ-জামান মামুন। প্রজ্ঞার (প্রগতির জন্য জ্ঞান) জুরিবোর্ড তামাকের কর অর্থনীতি নিয়ে তিন পর্বের ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশের জন্য তাকে এ পুরস্কারে ভূষিত করে। বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সম্মাননাপত্র, ক্রেস্ট ও ৫০ হাজার টাকার চেক তার হাতে তুলে দেয়া হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আরও তিনজনকে এ পুরস্কার দেয়া হয়। পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিকরা হলেন, ডেইলি স্টারের লালমনিরহাট প্রতিনিধি এস দিলীপ রায়, এনটিভির আশিকুর রহমান চৌধুরী ও স্থানীয় ক্যাটাগরিতে দৈনিক জালালাবাদ পত্রিকার আবু বক্কর সিদ্দিক। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঝিনাইদহ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য নবী নেওয়াজ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন মানস সভাপতি ডাঃ অরুপ রতন চৌধুরী। সকালের খবর সম্পাদক মোজ্জামেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের ও এ্যান্টি টোব্যাকো জার্নালিস্ট এ্যালায়েন্সের আহ্বায়ক মর্তুজা হায়দার লিটন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা চার কোটিরও বেশি। এ হার মহামারি আকারে বাড়ছে। প্রজ্ঞা পরিচালিত (২০১১) গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে প্রায় ২৬ শতাংশ সিগারেট-বিড়ি, চুরুট এবং ১৪ শতাংশ ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য অবৈধভাবে বিক্রি হয়। মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, ইংল্যান্ড, ভিয়েতনাম, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশসহ ৫০টিরও বেশি দেশ থেকে আসা শতাধিক ব্র্যান্ডের অবৈধ তামাকপণ্যের বাজার এখন বাংলাদেশ। অবৈধ সিগারেট ও চুরুটের অধিকাংশই আসে সমুদ্র ও বিমানপথে। ধোঁয়াহীন তামাকপণ্যের প্রায় পুরোটাই আসে স্থলপথে এবং প্রধানত পাশের দেশ ভারত থেকে। এ ছাড়া দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত তামাকপণ্যেরও একটা অংশ কর ফাঁকি দিয়ে বাজারজাত করা হয়। আন্তর্জাতিক সংস্থা ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন এ্যালায়েন্স (এফসিএ) ও হেলথ ব্রিজ পরিচালিত গবেষণা অনুযায়ী (২০১০) বাংলাদেশে তামাকের অবৈধ বাণিজ্যের পরিমাণ বছরে ৬৮৪ মিলিয়ন টাকা এবং এর ফলে প্রতিবছর সরকারকে ২ হাজার ৪৩২ মিলিয়ন টাকার রাজস্ব হারাতে হয়। গ্লোব্যাল এ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে অনুযায়ী (২০০৯) দেশে মাত্র ৫ বছরের (২০০৪ থেকে ২০০৯) ব্যবধানে তামাক ব্যবহারকারীর হার বেড়েছে ৬ শতাংশ (৩৭ থেকে ৪৩ শতাংশ)। বর্তমানে তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪ কোটিরও বেশি। অন্যদিকে তামাকের অবৈধ বাণিজ্যের পথ ধরে দেশব্যাপী বাড়ছে সংঘবদ্ধ চোরাকারবার, মাদকপাচার ও মানবপাচারের মতো ভয়াবহ ঘটনার ঝুঁকি।
×