ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মোদির ঢাকা সফর

তিস্তাসহ ২শ’ কোটি ডলার ঋণ চুক্তি হবে

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ২৮ মে ২০১৫

তিস্তাসহ ২শ’ কোটি ডলার ঋণ চুক্তি হবে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে অনেকগুলো চুক্তি স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে। তিস্তার পানি বণ্টন, নতুন রুটে দুই দেশের মধ্যে বাস সার্ভিস চালু ও ২০০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তির সঙ্গে মানবপাচার প্রতিরোধেও দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হচ্ছে। কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের দেয়া একশ’ কোটি ডলার ঋণের পর বিজেপি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকাকে ভারতীয় ক্রেডিট লাইনের আওতায় দুইশ’ কোটি ডলার ঋণ দিতে যাচ্ছেন। মোদির সফরে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ক্রেডিট লাইনের আওতায় ২১৫ কোটি ডলার ঋণ চাইবে। তারই প্রেক্ষাপটে মোদি বাংলাদেশকে দুইশ’ কোটি ডলার ঋণ প্রদানের ঘোষণা দেবেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হবে। এছাড়া মানবপাচার প্রতিরোধ, উদ্ধার, দ্রুত প্রত্যাবাসন এবং প?ুনর্বাসন সহযোগিতার জন্যও দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হবে। পরবর্তীতে সমঝোতা স্মারকের আলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে দু’দেশের মধ্যে চুক্তিও স্বাক্ষর হবে। আগামী ৬ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে আসছেন। তার সফরের সময় এই সমঝোতা স্মারক সইয়ের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে সমঝোতা স্মারকের খসড়া। বুধবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই প্রথম বাংলাদেশ সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর ভারতের গুরুত্ব প্রদানেরই প্রতিফলন। আশা করা হচ্ছে এ সফর দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান আন্তরিক ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আরও বিস্তৃত এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার বন্ধুত্ব ও আস্থার সম্পর্ক আরও জোরালো করবে।’ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সফরকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন। রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাত ও তাঁর কর্মসূচীর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, মানবপাচার প্রতিরোধে উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে সমঝোতা স্মারক সই হবে। তবে বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মহলে মানবপাচার বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সমঝোতা স্মারকের বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে। বৈঠকে বলা হয়, নারী ও শিশুপাচার রোধ, উদ্ধার ও প?ুনর্বাসন সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ ও ভারত সরকার নিজ নিজ দেশে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের কক্সবাজারে গত ২০১২ সালের ৮ ও ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তৃতীয় দ্বি-পাক্ষিক সভায় পাচার হওয়া মানুষদের দ্রুত প্রত্যাবাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারকের খসড়া প্রস্তুত করা হয়। ওই সমঝোতা স্মারক খসড়া সইয়ের বিষয়টি মন্ত্রিসভায় উত্থাপনের জন্য পাঠানো হয়। গত বছর ১ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদনও করা হয়। এটি উভয় দেশ সইয়ের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
×