ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সার্ক দেশগুলোতে বাধার মুখে কৃষিপণ্য রফতানি

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ২৮ মে ২০১৫

সার্ক দেশগুলোতে বাধার মুখে কৃষিপণ্য রফতানি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সার্কভুক্ত দেশগুলোতে ব্যাপক বাধার মুখে পড়েছে কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াকরণ পণ্য রফতানি। নানারকম ট্যারিফ ও ননট্যারিফ (শুল্ক ও অশুল্ক বাধা) ব্যারিয়ারের কারণেই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সঙ্কট কাটাতে সরকারের প্রত্যক্ষ পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। ট্যারিফ এবং ননট্যারিফ ব্যারিয়ার ইন এগ্রো প্রসেসিং সেক্টর শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর সানরাইজপ্লাজায় বাপা অডিটরিয়ামে এ বৈঠকের আয়োজন করে বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস এ্যাসোসিয়েশন (বাপা) এবং এসএমই কমপিটিটিভনেস গ্রান্ট স্কিম। গোলটেবিল বৈঠকে বাপা, এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো (ইপিবি), ট্যারিফ কমিশন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। এতে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন, বাপার কোষাধ্যক্ষ ইকতাদুল হক। বক্তব্য রাখেনÑ সংস্থাটির উপদেষ্টা প্রফেসর মোসলেম আলী, স্কয়ার ফুড এ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের হেড অব এক্সপোর্ট খুরশীদ আহমেদ ফরহাদ, আকিজ ফুড এ্যান্ড বেভারেজের পুলক, প্রাণ গ্রুপসহ বিভিন্ন রফতানিকারণ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। গোলটেবিল বৈঠকে জানানো হয়, ৮ বছর আগে যেখানে মাত্র ১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কৃষিপণ্য রফতানি হতো, সেটি এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৩ দশমিক ৫৪ মিলিয়নে। এটি দেশের মোট রফতানির তুলনায় কম মনে হলেও এই খাত হিসেবে রফতানি প্রবৃদ্ধি অত্যন্ত উৎসাহজনক। কিন্তু বর্তমানে পার্শ¦বর্তী দেশ ভারতের এইট সিস্টারসহ পুরো ভারত, ভুটান নেপাল এবং শ্রীলঙ্কায় নানা ধরনের শুল্ক ও অশুল্ক বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। যেগুলো শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হচ্ছে। ফলে অন্য দেশের সঙ্গে রফতানি সক্ষমতা হারাচ্ছে বাংলাদেশ। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, ভুটানের সঙ্গে জিরো ট্যারিফ চুক্তি এখনও বলবত থাকলেও সেটি না মেনে থার্ড কান্ট্রি হিসেবে মনে করে ভাল ভাল পণ্যের ওপর ৮০ শতাংশ ট্যাক্স আরোপ করা হয়েছে। তাছাড়া তিন মাসের মধ্যে ৩০ হাজার ডলারের বেশি রফতানি করা যাবে না। আগে সরাসরি ভারত হয়ে বাই রোডে ভুটানে পণ্য নিয়ে যাওয়া গেলেও এখন শুধু প্লেনে ছাড়া পণ্য পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নেপারে ৩০ শতাংশ ডিউটি আরোপ করা হয়েছে, যা ভারতের জন্য একবারেই ফ্রি। এক্ষেত্রে সাফটা চুক্তি কার্যকর হচ্ছে না। মিয়ানমারে ট্যারিফ বেশি এবং পেমেন্ট সিস্টেমে জটিলতা রয়েছে। পেমেন্ট আসে সিঙ্গাপুর হয়ে। ভারতে ট্যারিফ ব্যারিয়ার নেই, কিন্তু এমআরপি বা দামের ওপর ডিউটি আরোপ করা হয়েছে। তাছাড়া ননট্যারিফ ব্যারিয়ার রয়েছে। এসব বাধা দূর করতে সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন রফতানির সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা।
×