ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সংবাদ প্রকাশের পর

রাজাকার লিয়াকতকে নিয়ে হবিগঞ্জে তোলপাড়

প্রকাশিত: ০৬:২০, ২৭ মে ২০১৫

রাজাকার লিয়াকতকে নিয়ে হবিগঞ্জে তোলপাড়

নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ, ২৬ মে ॥ আলোচিত রাজাকার কমান্ডার আওয়ামী লীগ নেতা ‘লিয়াকত আলীকে রক্ষায় প্রভাবশালীদের দৌড়ঝাপ’ শিরোনামে সংবাদ দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশের পর হবিগঞ্জ জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে দৈনিক জনকণ্ঠে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হবার খবর পেয়ে কপি কিনতে অনেকেই এজেন্সি ও ফুটপাথের হকারের কাছে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। তবে অনেকেই চাহিদামতো জনক- হাতে না পেয়ে ফটোকপি করে বাসায় যেমন নিয়ে যান তেমনি বিভিন্ন স্থানে বসে এ নিয়ে নানান আলোচনায়ও লিপ্ত হন। এই রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ায় প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও পড়েছেন বেকাদায়। তাদের মাঝে চলছে নানা কথোপকথন। ৭১’ সালে কৃষ্ণপুর ও ফান্ডাউকে সংঘটিত ঘটনায় নির্যাতিত পরিবার ও প্রগতিশীল সাধারণ মানুষ ওই রিপোর্টকে ও বাস্তবসম্মত উল্লেখ করে স্বাগত জানানো শুধু নয়, রাজাকার লিয়াকতকে দেশ ত্যাগে সহায়তা করার নেপথ্যে জড়িত প্রধান হোতাকে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় এনে তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া হবিগঞ্জের ডিসির কাছে কৃষ্ণপুর গ্রামবাসীর দেয়া অভিযোগ পত্রে রাজাকার লিয়াকতকে দেশ ত্যাগে সহায়তাকারী হিসেবে উল্লেখ করা প্রধান অভিযুক্ত অহিন্দ্র দত্ত চৌধুরীর বিষয়টি জনসম্মুখে তুলে ধরার জন্যও জনকণ্ঠ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তারা। জেলার আলোচিত গ্রাম মোড়াকরিতে রাজাকার কমান্ডার লিয়াকত আলীর পৈত্রিক বসতবাড়ি। তারই বাল্যবন্ধু একই গ্রামের বাসিন্দা ওই অহিন্দ্র দত্ত চৌধুরী। আর এই অহিন্দ্র দত্তসহ মুসলিম-হিন্দু সম্প্রদায়ের কতিপয় প্রভাবশালী অর্থলোভী ব্যক্তি রাজাকার লিয়াকতকে সম্প্রতি দেশ ত্যাগে সহায়তা করেন। এমনকি এই রাজাকারকে দেখার জন্য সম্প্রতি তিনি নাকি ভারতেও যান। বর্তমানে লিয়াকতের সঙ্গে প্রতিনিয়তই ফোনালাপ হচ্ছে তার। শুধু তাই নয়, ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তদন্ত সংস্থা কর্তৃক রাজাকার লিয়াকতের বিরুদ্ধে পরিচালিত তদন্তে ব্যাঘাত সৃষ্টি ও তাকে মামলা থেকে বাঁচাতে সংশ্লিষ্ট দফতর, বিভিন্ন এজেন্সির কর্মকর্তাদের কাছে অহিন্দ্র দত্ত গং দৌড়ঝাপ অব্যাহত রেখেছেন।
×