ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সিটি নির্বাচন নিয়ে টিআইবির রিপোর্ট পর্যালোচনা করবে ইসি

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ২২ মে ২০১৫

সিটি নির্বাচন নিয়ে টিআইবির রিপোর্ট পর্যালোচনা করবে ইসি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সিটি নির্বাচন নিয়ে টিআইবি যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তা পর্যালোচনা করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, গত বুধবার সন্ধ্যায় টিআইবির রিপোর্ট ইসির হাতে এসেছে। রিপোর্ট এখনও দেখা সম্ভব হয়নি। সেটা দেখে বিবেচনা করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, ইতোমধ্যে প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে চিঠি দেয়া হয়েছে। তাদের ব্যয়ের হিসাব হাতে পেলেই টিআইবির রিপোর্টের সঙ্গেও পর্যালোচনা করে দেখা হবে। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান। গত ১৮ মে প্রকাশিত টিআইবির এক রিপোর্টে বলা হয়, সিটি প্রার্থী কর্তৃক অনুমোদিত ব্যয়সীমার অতিরিক্ত নির্বাচনী খরচ, ব্যাপকহারে নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন এবং তা প্রতিরোধে নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতার জন্য তিনটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বলা যায় না। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আইনের সংস্কার ও হালনাগাদেরও সুপারিশ করে প্রতিষ্ঠানটি। সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির এ রিপোর্ট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন কমিশন প্রত্যেক প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব নিয়ে থাকে। ইতোমধ্যে নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে প্রার্থীদের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে। এখনও নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়া সময় শেষ হয়ে যায়নি। প্রার্থীদের কাছ থেকে তাদের ব্যয়ের হিসাব হাতে পেলেও তা পর্যালোচনা করে দেখা হবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে কে কত গুণ বেশি খরচ করেছে বা না করেছে এটা একেকজন একেকভাবে বলবেন। প্রার্থীরা হিসাব দিলে বুঝতে বিষযটি বোঝা যাবে। তবে এটা দুরূহ ব্যাপার। সব রিপোর্ট হয়ত সঠিকভাবে করা হয় না। এ বিষয়ে কমিশন সতর্ক রয়েছে। ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ ও টিআইবির নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়া প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইলেকশন ওয়ার্কি গ্রুপ নিজেরা কোন পর্যবেক্ষণ করে না। তাদের সঙ্গে অনেক নিবন্ধিত সংস্থা রয়েছে। সিটি নির্বাচনে প্রত্যেক সংস্থাকে পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে দুটি সংস্থার রিপোর্ট কমিশনের হাতে এসেছে। তারা বলেছে, দু’একটি বিছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। সিটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বলা যায় না টিআইবির এমন রিপোর্ট প্রসঙ্গে বলেন, টিআইবির রিপোর্টের বিষয়ে সংবাদপত্রে দেখেছি। এছাড়া তাদের কাছে থেকে একটি রিপোর্ট বুধবার সন্ধ্যায় আমরা পেয়েছি। সেই রিপোর্ট এখনও দেখতে পারিনি। সেটা দেখে বিবেচনা করা। সেনাবাহিনী মোতায়েন নিয়ে ইসি দোদুল্যমান ছিল বলে টিআইবি তাদের রিপোর্টে যে অভিযোগ করেছে সে বিষয়ে বলেন, সেনা মোতায়েনের বিষয়ে ইসি দোদুল্যমান ছিল না। শুধু করণিক ভুল ছিল। সেটা শুদ্ধ করা হয়েছে। বাকি সব ঠিক ছিল। অন্যান্য বাহিনীর মতো সেনাবাহিনীর টহল দেয়ার কথা নয়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে তাদের ডাকলে আসত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় তাদের ডাকার প্রয়োজন পড়েনি।
×