ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদা ও তারেক ষড়যন্ত্রের শিকার ॥ সেলিমা রহমান

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ২২ মে ২০১৫

খালেদা ও তারেক ষড়যন্ত্রের শিকার ॥ সেলিমা রহমান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি ও দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে হেয় করতেই তাঁর গুলশান অফিস নিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সেলিমা রহমান বলেন, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান ক্ষমতাসীনদের ষড়যন্ত্রের শিকার। তাই মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের অভিযুক্ত করা হচ্ছে। এ ছাড়া সরকার বিএনপির সিনিয়র নেতাদের মামলায় জড়িয়ে কারাগারে আটক করে রেখেছে। মধ্যসারির ও তৃণমূলের নেতারাও মামলায় জর্জরিত। তারা ঘরে ফিরতে পারছে না। অনেকে আত্মগোপনে রয়েছেন। সেলিমা রহমান অভিযোগ করেন, সরকার বিভিন্ন এজেন্সি এবং নিজেদের লোক দিয়ে ঘটনা ঘটিয়ে তার দায় চাপাচ্ছে বিএনপির ওপর। এরই ধারাবাহিকতায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয় এবং এখানকার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে। কিন্তু সকল অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেই বিএনপি রাজনৈতিক কর্মকা- নিয়ে এগিয়ে যাবে। সেলিমা রহমান বলেন, বিএনপি কোনো ব্যক্তির ইচ্ছায় নয়, দলের গঠনতন্ত্রের ক্ষমতাবলে পদ, পদবী দিয়ে থাকে। সম্প্রতি দলীয় সিদ্ধান্তেই দলের সাংগঠনিক ও দাফতরিক কার্যক্রম চালানোর স্বার্থে দুজনকে নির্বাহী কমিটিতে নতুন দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। খালেদা জিয়াকে কেউ কোনভাবে বায়াস্ট করতে পারবে তা ভাবাটাও অবান্তর। তবে বড় দলে অনেক ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকে। তিনি বলেন, বিএনপির গঠনতন্ত্রে চেয়ারপার্সনকে যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, সেই ক্ষমতা বলে দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ ও সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুকে মনোনীত করা হয়েছে। এই নিয়ে বিভ্রান্তির সুযোগ নেই। গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, কার যদি বিএনপি ও তার সাংগঠনিক কাঠামো সম্পর্কে কোন কিছু জানা ও বলার থাকে তাহলে দলের মুখপাত্র এবং সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। কিন্তু অপপ্রচার করবেন না। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, মহিলা দলের সভাপতি নূরে আরা সাফা, সাধারণ সম্পাদক শিরীন সুলতানা প্রমুখ। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে গণমাধ্যমে প্রেরিত বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন স্বাক্ষরিত দলের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি কিছু মিডিয়ায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে কর্মরত বিশেষ সহকারী, প্রেস কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বিষয়ে কাল্পনিক বিদ্বেষমূলক মিথ্যাচার প্রচার করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, বিএনপির নির্বাহী কমিটির কোন পদে নিয়োগ দান বা বহির্বিশ্বের কোন দেশে বিএনপির প্রবাসী নেতাকর্মীদের সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত কমিটিকে অনুমোদনদান সম্পূর্ণরূপে দলগত সিদ্ধান্ত। এ ধরনের দলীয় সিদ্ধান্তের জন্য চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী বা তাঁর ব্যক্তিগত স্টাফদের কোন ভূমিকা রাখার সুযোগ নেই। তারা কেবল চেয়ারপার্সনের পক্ষ হতে তাঁর বক্তব্য বা সিদ্ধান্তটুকু মিডিয়া উইং এবং সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তদের মাধ্যমে প্রচার করে থাকেন। বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিএনপির নির্বাহী কমিটিতে যে দুটি নিয়োগ দেয়া হয়েছে তা দলীয় সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই হয়েছে। চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিএনপির বেশিরভাগ সিনিয়র নেতাদের মামলা দিয়ে কারারুদ্ধ করে রাখায় দলের কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধার্থেই এ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া যুক্তরাজ্য বিএনপির কমিটি গঠিত হয়েছে সেখানে প্রবাসী বিএনপির নেতাকর্মীদের সম্মেলনের মাধ্যমে। বিএনপির নির্বাহী কমিটি সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত সেই প্রবাসী কমিটিকে অনুমোদন দিয়েছে। অন্য দিকে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় সাংগঠনিক/দাফতরিক কাজের সংকটে এবং সেখানে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনতে দু’জন দক্ষ সংগঠককে সেখানে সাময়িকভাবে পদায়ন করা হয়েছে।
×