ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জুনে থিম্পুতে চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা

বাংলাদেশ ভারত ভুটান ও নেপালের মধ্যে সড়ক পরিবহন চালুর উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ১৯ মে ২০১৫

বাংলাদেশ ভারত ভুটান ও নেপালের মধ্যে সড়ক পরিবহন চালুর উদ্যোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপালের মধ্যে অচিরেই সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা চালু হতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে একটি সম্ভাব্য চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষ্যে চার দেশের সড়ক পরিবহন মন্ত্রীরা আগামী মাসে ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে মিলিত হতে যাচ্ছেন। সোমবার নয়াদিল্লীর পরিবহন ভবনে সফররত সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সড়ক পরিবহন, মহাসড়ক ও নৌ-পরিবহনমন্ত্রী নিতিন গড়কড়ির মধ্যে এক দি¦-পাক্ষিক বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি এ বিষয়টি প্রাধান্য পায়। বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান সড়ক নেটওয়ার্ক আরও জোরদারকরণে দু’দেশের মধ্যে প্রস্তাবিত বিবিধ চুক্তি ও প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। দ্বি-পাক্ষিক এ বৈঠকে ঢাকা-শিলং-গুয়াহাটি রুটে আগামী ২২ মে থেকে পরীক্ষামূলক বাস চলাচল শুরুর বিষয়ে আলোচনা হয়। এ লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য দ্রুত কার্যক্রম এগিয়ে নিতে উভয়পক্ষ সম্মত হয়। উল্লেখ্য, বাস চালু করার বিষয়ে ইতোমধ্যে দু’দেশের প্রতিনিধি দলের সফর শেষ হয়েছে। সড়ক পর্যবেক্ষণ, মেরামতসহ বাস সার্ভিস চালু করার বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরির হয়েছে। সোমবার সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ভারতের সম্ভাব্য ২য় ঋণ সহায়তা আওতায় বিআরটিসি’র জন্য ৫শ’ ট্রাক, ৩শ’ ডাবলডেকার বাস, ১শ’ আর্টিকুলেটেড বাস এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহের বিষয়ে বাংলাদেশের প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়। এছাড়া ভারতের সহায়তায় রামগড়-সাবরুম পয়েন্টে ফেনী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ, কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা বাস সার্ভিস চালু, আশুগঞ্জ-আখাউড়া সড়ক চারলেনে উন্নীতকরণসহ অন্যান্য বিষয় আলোচনায় স্থান পায়। এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। তিনি দীর্ঘ প্রত্যাশার স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে সংবিধান সংশোধন বিল ভারতের রাজ্যসভা ও লোকসভায় সর্বসম্মতিক্রমে পাস হওয়ায় নরেন্দ্রমোদির নেতৃত্বাধীন সরকার, বিরোধী দলসহ সকল রাজনৈতিক দল ও ভারতীয় জনগণকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও জনগণের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান। মন্ত্রী বলেন, আমরা দু’দেশের মধ্যে সন্দেহ ও অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙ্গে সৌহার্দ্যরে সেতুবন্ধ রচনা করতে চাই। বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভারত সরকারের সড়ক পরিবহনমন্ত্রী দু’দেশের মধ্যে সড়ক নেটওয়ার্ক জোরদার করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, এমপি সাত সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী এম. ফিরোজ ইকবাল, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব চন্দন কুমার দে, সওজর নির্বাহী প্রকৌশলী শিশির কান্তি রাউথ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মোঃ আবু নাছের। এসময় নয়াদিল্লীর বাংলাদেশ হাই-কমিশনের ডেপুটি হাইÑকমিশনার সালাহ উদ্দিন নোমান চৌধুরী, হাই-কমিশনের প্রথম সচিব শেখ শাহরিয়ার মোশাররফ প্রতিনিধি দলে ছিলেন। উল্লেখ্য, ভারতের সড়ক পরিবহনমন্ত্রীর আমন্ত্রণে বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী চারদিনের সফরে বর্তমানে দিল্লীতে অবস্থান করছেন।
×