ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মিত্রদের আরও সামরিক সাহায্যের আশ্বাস

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ১৬ মে ২০১৫

মিত্রদের আরও সামরিক সাহায্যের আশ্বাস

ক্যাম্পডেডিডে উপসাগরীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ওবামার বৈঠক প্রেসিডেন্ট ওবামা বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রগুলোর ওপর সৌদি আরব ও ছোট আরব সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, সামুদ্রিক অবস্থান থেকে হুমকি এবং ইরানের সাইবার হামলা থেকে আত্মরক্ষার জন্য নতুন করে সাহায্যের প্রস্তাব করেছেন। একটি পরমাণু চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যে তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী তেহরানকে শক্তিশালী করে তুলবে এই আশঙ্কা লাঘবের প্রয়াসে তিনি তাদের নিরাপত্তার প্রতি তার অঙ্গীকারকে ‘লৌহকঠিন’ বলে আখ্যায়িত করেন। তবে মেরিল্যান্ডের ক্যাম্প ডেভিডে দিনব্যাপী বৈঠকে ওবামা একটি আনুষ্ঠানিক প্রতিরক্ষা চুক্তির প্রস্তাব করা থেকে বিরত থাকেন, দেশগুলোর ওপর হামলার ক্ষেত্রে যা তাদের সাহায্যে এগিয়ে যেতে যুক্তরাষ্ট্রকে বাধ্য করবে। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের। উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের নেতৃবৃন্দকে বিদায় জানানোর পর ওবামা তার বৃক্ষশোভিত অবকাশযাপন কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমি আমাদের উপসাগরীয় পার্টনারদের লৌহকঠিন অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছি।’ নেতৃবৃন্দ সেখানে দিনব্যাপী একান্ত বৈঠকগুলোতে যোগদান করেন। তবে তিনি যে অঙ্গীকারের কথা প্রকাশ করেন তা ছিল সতর্ক শব্দচয়ণে করা উপসাগরীয় দেশগুলোর চাওয়া পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তির চেয়ে অনেক কম বলিষ্ঠ। তিনি বলেন, তাদের দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন পাল্টা শক্তিপ্রয়োগসহ কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ যথোচিত হবে, তা জরুরীভাবে নির্ধারণের জন্য আমাদের জিসিসি শরিকদের সঙ্গেও একত্রে কাজ করার একটি প্রস্তুতি এনে দেবে। ওবামা সৌদি আরব ও অন্যান্য আরব দেশের এই ভীতিও দূর করার চেষ্টা করেন যে, একটি কাঠামো পরমাণু চুক্তিতে ইরানের ওপর থেকে তেল এবং অর্থনৈতিক অবরোধ তুলে নেয়ার যে কথা বলা হয়েছে, তা ইরানকে ইরাক থেকে সিরিয়া ও ইয়েমেন পর্যন্ত প্রভাব বিস্তারের সুযোগ করে দেবে। প্রেসিডেন্ট এই হুমকির গুরুত্বকে খর্ব করে বলেন, তেহরান চুক্তির কঠোর শর্তাবলী মেনে না হবে নাÑ যে অবরোধ ইতোমধ্যে ইরানের অর্থনীতিকে বিধ্বস্ত করে ফেলেছে। ওবামা বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বলেন, ‘অবরোধ হ্রাস করলে কী ঘটবে সে ব্যাপারে উদ্বেগের বিষয় আমরা অস্বীকার করছি না।’ তবে এটা জোর দিয়ে বলতে হবে যে, অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলোÑ ‘আমরা এখন এটা নিশ্চিত করার জন্য যা করতে পারছি তা হলো তাদের (ইরান) পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তোলার লক্ষ্যে কিছু তৎপরতা এখন আর ঘটছে না।’ বৃহস্পতিবার পর পর কার্য অধিবেশন এবং মধ্যাহ্নভোজে ওবামা ও ইরানের সঙ্গে প্রধান আলোচনাকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ও জ্বালানিমন্ত্রী অর্নেস্ট জে মোনিজসহ তার মন্ত্রিসভার সদস্যবর্গ, উপসাগরীয় পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও প্রতিনিধিদের পরমাণু আলোচনার আইনগত অবস্থান সম্পর্কে বিস্তারিত ব্রিফিং করেন। ওবামা প্রশাসন থেকে যুক্তি দেয়া হয় যে, ৩০ জুনে সময়সীমার মধ্যে চুক্তিটা সম্পূর্ণ করা গেলে চূড়ান্তভাবে পরবর্তী ১০ থেকে ১৫ বছর ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা থেকে নিবৃত্ত করে উপসাগরীয় দেশ ও আইনকে নিরাপদ রাখা যাবে। এরপর ইরানের ওপর অনেক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়া হবেÑ আরব নেতৃবৃন্দের চুক্তির ব্যাপারে আপত্তি করার যা অন্যতম প্রধান কারণ।
×