ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কচুয়ায় আশ্রয়ণ কেন্দ্রে চল্লিশ পরিবারের মানবেতর জীবন

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ১৬ মে ২০১৫

কচুয়ায় আশ্রয়ণ কেন্দ্রে চল্লিশ পরিবারের  মানবেতর জীবন

নিজস্ব সংবাদদাতা, কচুয়া, চাঁদপুর, ১৫ মে ॥ কচুয়া উপজেলার গোহাট উত্তর ইউনিয়নের আওতাধীন নাউলা আশ্রয়ণ কেন্দ্র। চারটি নির্মিত টিনশেডে ৪০টি পরিবারের বসবাস এ আশ্রয় কেন্দ্রে। এখানে ২৫০ লোকের বসবাস। সরকারী অর্থায়নে খাসজমিতে ছিন্নমূল, অসহায় ও দুস্থ ভূমিহীনদের জন্য ২০০০ সালে নির্মিত কেন্দ্রে এ পরিবারগুলোর মাথাগোঁজার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। যেখানে একটি মসজিদ, মিলনায়তন, খাবার পানির জন্য চাপকল, বিদ্যুত ও ল্যাট্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বর্তমানে বসবাসের অযোগ্য অসহায়দের এ আবাসন প্রকল্প। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কয়েক সারিতে নির্মিত আশ্রয় কেন্দ্র, পরিবেশ মোটামুটি সুন্দর। কিন্তু টিনের চালার দিকে তাকালেই দেখা যায়Ñ প্রায় ঘরের উপরে বাতাসের সঙ্গে পলিথিন উড়ছে। এর মধ্যে কেউ বাঁশের টুকরা ছালার উপর দিয়ে থাকলেও তা বাতাসের সঙ্গে পড়ে যাচ্ছে। ঘরের ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা যায় সূর্যের আলো পড়ে আছে শোয়ার বিছানার উপরে। উপরে দিকে তাকালেই চোখে পড়ে টিনের ছালার মাঝে বড় বড় ছিদ্র। টিনের উপরে মরিচা পড়ে টিনগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। একটুখানি বৃষ্টি এলেই পানিতে সয়লাভ হয়ে যায় পুরো ঘর। আশ্রয় কেন্দ্রে বসবাসরত অনেকেরই দু’বেলা দু’মুঠো ভাত খাওয়ার ভাগ্য জোটে না। অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করেই চলছে এ অসহায় পরিবারগুলোর অনেকেই। যারা এ অসহায়ত্ব জীবনযাপন করছে তাদের মাথাগোঁজার ঠাঁইটুকুর উপর দিয়ে নতুন টিন লাগানোর সামর্থ্য নেই। কিন্তু কালবৈশাখীর তা-ব আর বর্ষার আগমনের বার্তা তাদের শঙ্কিত করে তোলে। ঘরগুলো সংস্কার করা আবশ্যক। তাছাড়া ল্যাট্রিনগুলো সংস্কার না করায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অপরদিকে কেন্দ্রের লোকজনের সমাধির জন্য রাখা জায়গাটুকু প্রভাবশালী লোকের দখলে চলে যাওয়ার আশঙ্কা করেছে স্থানীয়রা। তাই বর্ষা শুরুর আগেই ছিন্নমূল ৪০টি পরিবারের ঠাঁই নাউলা আশ্রয় কেন্দ্র জরুরীভিত্তিতে সংস্কার করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে সেখানে বসবাসকারী নারী-পুরুষ।
×