ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

পল্লবীতে দিনদুপুরে বাসায় ঢুকে মামা ভাগ্নিকে খুন

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ১৪ মে ২০১৫

পল্লবীতে দিনদুপুরে বাসায় ঢুকে মামা ভাগ্নিকে খুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দিনদুপুরে দরজায় নক করেই হুড়মুড়িয়ে ঘরে ঢুকে পড়ে দুই যুবক। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওরা কোপাতে থাকে গৃহকর্ত্রী সুইটিকে। এলোপাতাড়ি কোপেই তিনি কুপোকাত। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন তার এক মামা। তাকেও একই কায়দায় কোপানো হয়। তাতে ঘটনাস্থলেই দুজনের প্রাণহানি ঘটে। বুধবার রাজধানীর পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার একটি বাসায় ঢুকে এভাবেই হত্যা করা হয় গৃহবধূ ও তার মামাশ্বশুরকে। এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির দারোয়ানসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে ওই এলাকার ২০ নম্বর সড়কের ৯ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন-আমিনুল ইসলাম (৪০) এবং সুইটি ইসলাম (২৫)। সুইটি ডেসকোর রূপনগর অঞ্চলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী। তাদের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজীপাড়ায়। সুইটির স্বামী জাহিদুল ইসলাম জানান, আমিনুল ও জাহিদুল সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে। সকালে অন্যান্য দিনের মতো তাদের রেখে অফিসে যান তিনি। কিন্তু দুপুরে বাসায় ফিরে দরজায় কলিং বেল চাপলেও কোন সাড়াশব্দ পাচ্ছিলেন না। পরে দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে তার স্ত্রী ও মামার মরদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। এদের মরদেহ দেখে তিনিও মূর্ছা যান। পরে তাকেই আগে স্বাভাবিক করার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে ওঠেন প্রতিবেশীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে মোটরসাইকেলে দুই যুবক জাহিদের আত্মীয় পরিচয়ে বাসায় প্রবেশ করেন। তারা দরজা নক করতেই সুইটি দরজা খুলে দেন। তিনি তাদের কিছু জিজ্ঞাসা করার আগেই দুই যুবক হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। এ সময় ভেতরের রুম থেকে ছুটে আসেন তার মামা আমিরুল ইসলাম। তিনি সুইটিকে রক্ষা করার জন্য ওদের বাধা দেন। এ সময় তাকেও কোপানো হয়। মাত্র মিনিট পাঁচেকের এই হামলা চালিয়েই ঘাতকরা কেটে পড়ে নির্বিঘেœ। তাদের কেউ বাধাও দেয়নি। নিরাপত্তাকর্মীরাও কেন আঁচ করতে পারেনি জানতে চাইলে পুলিশ জানায়, সেটা রহস্যজনক। সে জন্যই এ ঘটনায় এক দারোয়ানকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ হত্যার মোটিভ সম্পর্কে নিহতদের পারিবারিক সূত্র সুস্পষ্ট কিছু জানাতে না পারলেও তাদের সন্দেহ স্থানীয় চাঁদাবাজদের ওপর। সম্প্রতি মহল্লার কয়েক চিহ্নিত সন্ত্রাসী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলামের কাছে চাঁদা দাবি করেন। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন। তারাই এ হত্যাকা- ঘটিয়ে থাকতে পারে। পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জিয়াউজ্জামান জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনও বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
×