ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রফতানি আয়ে নামমাত্র প্রবৃদ্ধি

প্রকাশিত: ০৪:৫৯, ১৪ মে ২০১৫

রফতানি আয়ে নামমাত্র প্রবৃদ্ধি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ এপ্রিল মাসে দেশে ৩০৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার কম রফতানি আয় হয়েছে। এ মাসে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২৭০ কোটি ৫৮ লাখ মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে রফতানি আয় হয়েছে ২৩৯ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। বাংলাদেশ রপতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। এমনকি গত বছর এ সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও চলতি বছর থেকে বেশি রফতানি আয় হয়েছিল। গত বছর একই সময়ে রফতানি থেকে আয় হয় ২৪১ কোটি ১৭ লাখ ৩০ হাজার ডলার। সে হিসেবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এবার রফতানি আয় কমেছে দশমিক ৫৫ শতাংশ। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিকেও দেশের রফতানি প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক ধারায় প্রবাহিত হয়েছে। এ প্রান্তিকের দ্বিতীয় মাস অর্থাৎ এপ্রিলে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা কমেছে ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে কমেছে ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের (জুলাই-এপ্রিল) জন্য রফতানি আয়ের কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ হাজার ৬৮৩ কোটি ৫৫ লাখ ৬০ হাজার ডলারের। এ সময়ে রফতানি হয়েছে ২ হাজার ৫৩০ কোটি ৩২ লাখ ৫০ হাজার ডলারের পণ্য। গত অর্থবছরের একই সময়ে রফতানি ছিল ২ হাজার ৪৬৫ কোটি ৪৩ লাখ ৯০ হাজার ডলার। ইপিবির প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশের রফতানি আয়ের বেশিরভাগটা আসে এমন কয়েকটি পণ্যের বিক্রি এ সময়ে কমেছে। অর্থাৎ রফতানি আয়ের কয়েকটি প্রধান খাতের আয় কমে গেছে। ফলে রফতানি আয় কমেছে এ সময়ে। তবে অপ্রচলিত কিছু খাতে রফতানি আয় বেড়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, গত (জুলাই-এপ্রিল) পর্যন্ত সময়ে ওভেন পোশাকের রফতানি আয় কমেছে ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ১০৫ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ডলারের। রফতানি হয়েছে ১ হাজার ৫৫ কোটি ৭৯ লাখ ৪০ হাজার ডলারের পণ্য। এ সময়ে নিট পোশাকের রফতানি আয় কমেছে ৬ দশমিক ৩১ শতাংশ। এ সময়ে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৬৮ কোটি ২১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। তবে রফতানি হয়েছে ১ হাজার কোটি ৭৮ লাখ ২০ ডলারের পণ্য। আলোচ্য সময়ে রফতানি কমেছে হিমায়িত খাদ্যে ৮.০৫ শতাংশ, প্রক্রিয়াজাত চামড়াতে ২০.৫৮ শতাংশ, বিশেষায়িত টেক্সটাইল খাতে ৭.৪৫ শতাংশ, সিরামিক পণ্যে ৫.৬৭ শতাংশ ও পেট্রোলিয়াম বায়ো- প্রোডাক্টস ৬১.৬৯ শতাংশ। তবে রফতানি প্রবৃদ্ধি বেড়েছে কৃষিতে ৩.০০ শতাংশ, কেমিক্যাল খাতে ১৭.২৪ শতাংশ, প্লাস্টিকে ২৩.৯৯ শতাংশ, পাট খাতে ৬.৭১ শতাংশ ও ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যে ৩২.২০ শতাংশ।
×