ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

বৈশাখী সন্ধ্যায় লোকসঙ্গীত পরিষদের সুরের আসর

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ১৩ মে ২০১৫

বৈশাখী সন্ধ্যায় লোকসঙ্গীত পরিষদের সুরের আসর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর কথা ও সুরে মঙ্গলবার বৈশাখী সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হলো সঙ্গীতসন্ধ্যা। বাংলাদেশ লোকসঙ্গীত পরিষদের আয়োজনে একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে বসে এ সঙ্গীতাসর। পরিষদের শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে গানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ আয়োজন। সুরের এ আসরে পরিষদের শিল্পীরা পরিবেশন করেন ‘আসল সাধু হইলিনা মন’, ‘টোনার মাগো তোমার লাইগা’, ‘ও তুই কারবা মায়ায়’, ‘রান্ধনীরা রান্ধে বাড়ে’, ‘ইতরপনা ছাড়রে ও মন’, ‘আইজ মরলে কাইল’, ‘ভরাপেট তবু কেন’সহ বেশকিছু গান। সবশেষে মঞ্চে গাইতে আসেন শিল্পী ইন্দ্র মোহন রাজবংশী। তিনি তার পরিবেশনা শুরু করেন ‘বরেচন্ডি দাশের ভাই, সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই’ গানটি দিয়ে। এরপর তিনি পরিবেশন করেন ‘ধন্য দেশের চাষারে ভাই’, ‘ও বিধিরে আমায় নিয়ে আর কতকাল’, ‘এই দুনিয়ায় মিছে সবি’ ও ‘কে কে যাবি আয়রে’ গানগুলো। শিল্পকলায় মঞ্চস্থ মৈত্রী থিয়েটারের নাটক পাখি ॥ মঙ্গলবার বৈশাখী সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হলো মৈত্রী থিয়েটারের নাটক ‘পাখি’। মনোজ মিত্র রচিত নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন হামিদুর রহমান পাপ্পু। এটি মৈত্রী থিয়েটারের ১৩তম প্রযোজনা। নাটকের গল্পে দেখা যায়, সাধের কাছে নিরুপায় হয়ে পড়ে সাধ্য। গল্পের অন্যতম চরিত্র নীতিশ যেন তেমনটাই প্রমাণ করে। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে নীতিশের জন্ম। একটা হারিকেনের কোম্পানিতে বিক্রয়-প্রতিনিধির চাকরি করেন। তার বন্ধু ননী ও ভুবন। অনেক ধনী, অনেক অর্থ সম্পদের মালিক। কোন না কোন অজুহাতেই তারা নানা ধরনের অনুষ্ঠান করে। খাবার-দাবার, আলোকসজ্জা, গান-বাজনার বিশাল আয়োজন। ননীর কুকুরের জন্মদিন পালন হচ্ছে। জন্মদিনের পার্টিতে যখন নীতিশ, ভুবন ননীসহ আরও অনেকে গল্প করছিলো, কে কখন নিমন্ত্রণ করবে? কে কবে খাওয়াবে? ঠিক তখনই নীতিশকে উদ্দেশ্য করে ভুবন বলেছিলো ‘যে দিন বৃষ্টি হবে আর যে দিন বৃষ্টি হবে না এই দু’দিন বাদ দিয়ে নীতিশ আমাদের খাওয়াবে।’ নীতিশের মন খারাপ হয়ে গেল কারণ তার আর্থিক অবস্থা ভাল না থাকায় তাকে নিয়ে এ রসিকতা করার সুযোগ পেল ভুবন। তবে নীতিশ একজন সাধারণ মানুষ হলেও তার একটা বিশাল মন ছিল, সেদিন পণ করলো যে করেই হোক সে তার বন্ধুদের খাওয়াবেই। সেই মনের জোরেই অসাধ্যকে সাধন করে ফেললো এবং সাতই ফাল্গুন তাদের বিবাহ বার্ষিকীতে স্ত্রী শ্যামাকে না জানিয়ে বন্ধুদের নিমন্ত্রণ করে ফেললো- তার সঙ্গে কলের গানও ভাড়া করলো। শ্যামা যখন তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। সেই ফাঁকেই কাজগুলো করলো কারণ তার ধারণা শ্যামা জানতে পারলে নিমন্ত্রণ করতে দেবে না- কিন্তু নিমন্ত্রণ করার পর নীতিশের মনে হলো শ্যামাকে ছাড়া এ আয়োজন সম্পন্ন করা কোনভাবেই সম্ভব না। তাই নীতিশ শ্যামাকে চিঠি লিখে জানালো সে অসুস্থ ও শয্যাশায়ী। অসুস্থতার কথা শুনে শ্যামা দ্রুতই চলে এলো এবং এসে যখন দেখলো নীতিশ মিথ্যে বলেছে। তাকে না জানিয়ে বন্ধুদের বাড়িতে নিমন্ত্রণ করেছে। শ্যামা ফিরে যেতে চাইলো কিন্তু নীতিশের অনুরোধ ও ভালবাসার কাছে শ্যামা ফিরে যেতে পারলো না। অবশেষে দু’জনে মিলে নেমে পড়লো অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য আর মনে পড়তে লাগলো তাদের ফেলে আসা মধুর স্মৃতির সেই সব দিনগুলোর কথা। এরই মাঝে একের পর এক ঘটনা ঘটতে থাকলো। সব আয়োজন ভ-ুল হওয়ার অবস্থা। কিন্তু সবকিছুর পরেও তাদের চেষ্টার শেষ নেই আয়োজনকে সফল করার। কারণ সাতই ফাল্গুন যে তাদের বিবাহ বার্ষিকী। এমনি ঘটনাপ্রবাহে গড়ে উঠেছে প্রযোজনাটির কাহিনী। প্রযোজনাটির বিভিন্ন চরিত্রে রূপ দিয়েছেন মোঃ অনিক হক, মোঃ আনাস হোসেন, আল-আমিন সিরাজী, আসাদুজ্জামান আসাদ, সূচনা জাহান তিসা, কামরুন নাহার কান্ত, মিজানুর রহমান, আনাস হোসেন প্রমুখ। ভাস্কর নভেরা আহমেদের স্মরণসভা আজ ॥ আজ বুধবার বিকেল ৫টায় বাংলা একাডেমির নবনির্মিত ড. মুহম্মদ এনামুল হক ভবনে দেশের আধুনিক ভাস্কর্যের পথিকৃৎ ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অন্যতম নক্শাকার নভেরা আহমেদের নাগরিক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও ভাস্কর নভেরা প্রদর্শনী কক্ষেরও উদ্বোধন করা হবে এ আয়োজন করেছে। স্মরণসভায় বক্তব্য রাখবেন শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্টজনেরা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির ফেলো বরেণ্য চিত্রশিল্পী হাশেম খান। জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আলাকচিত্র প্রদর্শনী ॥ ফরাসী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আঁলিয়স ফ্রঁসেজে আগামী ১৬ মে থেকে শুরু হচ্ছে ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও উন্নয়নের সেতুবন্ধন’ শীর্ষক আয়োজন। ওইদিন বেলা ১টায় ফরাসী রাষ্ট্রদূত সাফি ওবের সূচনা আসরে সভাপতিত্ব করবেন। ২৩মে পর্যন্ত চলমান আয়োজনের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হবে দুটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী। প্রখ্যাত ফরাসী আলোকচিত্র শিল্পী ইয়ান আরথাস-বারট্রান্ড জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছেন। তার সিরিজের নাম ‘ওপর থেকে পৃথিবী’। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব দেখেছেন সারা পৃথিবী ঘুরে। খুঁজেছেন সমাধান। তার ছবি দেখে উপকার পেতে পারে সব মানুষ-সব নাগরিক বা কর্মকর্তা। গরীব বাড়ি সৌরচুলায় সাজাও বা একটি বড় বাঁধের চেয়ে কয়েকটি ছোট বাঁধ ভালো- এমন বিষয়কে উপজীব্য করে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের সমাধান দেয়ার চেষ্টা করেছেন। আলোকচিত্রের পাশাপাশি আয়োজনের অংশ হিসেবে ‘মানবকুল বনাম জলবায়ু পরিবর্তন’ শিরোনামে কয়েকটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে আঁলিয়স ফ্রঁসেজ মিলনায়তনে। এর মধ্যে থাকবে কামার আহমদ সাইমন ও সারা আফরিন নির্মিত তথ্যচিত্র শুনতে কি পাও। ছবিটি প্রদর্শনের পরপর একটি উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।
×