ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সাখাওয়াতের সহযোগী ১১ রাজাকারের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ১৩ মে ২০১৫

সাখাওয়াতের সহযোগী ১১ রাজাকারের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি মাওলানা সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে জড়িত আরও ১১ রাজাকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মঙ্গলবার এ আদেশ প্রদান করেছেন। ট্রাইব্যুনালে অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক। এ সময় ট্রাইব্যুনালে গ্রেফতারি পরোয়ানার জন্য শুনানি করেন প্রসিকিউটর ব্যরিস্টার তাপস কান্তি বল ও প্রসিকিউটর রিজিয়া সুলতানা বেগম চমন। যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়না জারি করা হয়েছে তারা হলেন- মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, মোঃ বিল্লাল হোসেন, শেখ মোঃ মজিবুর রহমান, মোঃ আব্দুল আজিম সরদার, মোঃ আজিম সরদার, কাজী ওয়াহেদুল ইসলাম, মোঃ লুৎফর মোড়ল, মোঃ আব্দুল খালেক মোড়ল, মোঃ আকরাম হোসেন, ওজিয়ার মোড়ল এবং মশিয়ার রহমান। শুনানিতে প্রসিকিউটর রিজিয়া সুলতানা বেগম চমন বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের সাবেক নেতা এবং এমপি যশোরের সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে একই অপরাধে আরও ১১ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তাই আরও সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের গ্রেফতার করা প্রয়োজন। আসামিপক্ষে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী আসগর আলী। গত ২২ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনালের আদেশে ধানম-ির সেফহোমে সাখাওয়াতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্ত সংস্থা। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক খানসহ আরও দুই কর্মকর্তা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। রাজধানীর উত্তরখান থেকে গত বছরের ২৯ নবেম্বর মুক্তিযুদ্ধের সময় শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে যশোরে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। পরে ওইসব মামলা ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ২০১২ সালের ১ এপ্রিল সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে মামলা তদন্ত করার জন্য নথিভুক্ত হয়। ২০১৩ সালের ১৩ নবেম্বর থেকে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করছেন আবদুর রাজ্জাক খান। সাখাওয়াত হোসেন যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার হিজলডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম মৃত ওমর আলী। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় দখলদার পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর দোসর হিসেবে কেশবপুর থানা রাজাকার বাহিনীর কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন। উপজেলার চিংড়া, বগা, ভা-ারখোলা ও গৌরীঘোনা এলাকায় অপরাধ সংঘটিত করেন তিনি। তার অত্যাচারে এ এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন দেশত্যাগে বাধ্য হন। একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১০ সালে যশোরে সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে চারটি মামলা হয়। ওই বছরের জুন মাসে তাকে কেশবপুর থেকে গ্রেফতারও করা হয়। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পেয়ে যান।
×