ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সীমান্ত চুক্তি বিল পাস ॥ সরকারের অনন্য কূটনৈতিক সাফল্য

প্রকাশিত: ০৩:৪১, ১৩ মে ২০১৫

সীমান্ত চুক্তি বিল পাস ॥ সরকারের অনন্য কূটনৈতিক সাফল্য

৭ মে ২০১৫ ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় ঐতিহাসিক বাংলাদেশ-ভারত স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিল পাস হওয়ায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রায় ৬৮ বছরের ছিটমহল সমস্যার সমাধান হলো, ভূমিবিরোধ জটিলতা নিরসনের সব বাধা দূর হলো, শুরু হলো ইতিহাসের এক নতুন যাত্রা, আজীবনের দুঃখ মোচন হলো ছিটমহলের হাজার হাজার মানুষের। লোকসভায় পাসের আগে ৬ মে প্রথমে ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় ঐতিহাসিক স্থলসীমান্ত চুক্তি বিল পাস হয়। রাজ্যসভা ও লোকসভার উভয় অধিবেশনেই বিলটি নিয়ে সকল দলের সদস্যদের মধ্যে ছিল নজিরবিহীন সৌহার্দ্য ও আবেগঘন আবহ। রাজ্যসভায় সিপিএমের ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বিলটি সমর্থন করে তাঁর বক্তব্য দেয়ার সময় নিজেকে উদ্বাস্তু পরিবারের সন্তান আখ্যা দিয়ে এই বিলের গুরুত্বের কথা বলে আক্ষরিক অর্থেই কেঁদে ফেলেন। আবেগরুদ্ধ কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘এই চুক্তির জোরে হয়ত ভারতের ১০ হাজার একর জমি বাংলাদেশে চলে যাবে। কিন্তু এই চুক্তির ফলে মানবতা জয়ী হবে’। এতই আবেগঘন ছিল রাজ্যসভা অধিবেশন যে, উড়িষ্যা থেকে নির্বাচিত এক নির্দলীয় সদস্য এভি স্বামী বিলটি পাস হওয়ার প্রাক্কালে বাংলায় মুক্তিযুদ্ধের সময়ের একটি গান গেয়ে উঠেন ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ তোমার আমার বাংলাদেশ।’ রাজ্যসভায় ১৮০ জন উপস্থিত সদস্যের মধ্যে ১৮০ জনই বিলের সপক্ষে ভোট দিয়ে ঐতিহাসিক স্থলসীমান্ত চুক্তি বিল সর্বসম্মতভাবে পাস করেন। লোকসভাতেও বিলটি নিয়ে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল, উচ্চারিত হয়েছিল মানবতার গান আর রূপসী বাংলার জয়বন্দনা। বিলটি আলোচনার সময় রবীন্দ্রনাথ থেকে অন্নদাশংকর রায় হয়ে ভুপেন হাজারিকার গানের কলি কিছুই বাদ ছিল না, বাদ ছিল না জীবনানন্দ দাশের কবিতার লাইনও, বাদ ছিল না বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ইন্দিরা গান্ধীর নাম উচ্চারণেরও। বিলের ওপর এদিন আবেগঘন বক্তব্য রাখেন তৃণমূলের সুগত বসু। বাংলার রূপের কথা বলতে গিয়ে জীবনানন্দ দাশের কবিতার লাইন উচ্চারণ করে তিনি বলেন, বাংলার মুখ দেখিয়াছি আমি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর। ঝরঝরে বাংলায় বক্তৃতা দিয়ে সবার মন কাড়েন দার্জিলিং থেকে নির্বাচিত বিজেপির সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। জ্যোতি বসুর প্রসঙ্গ তোলেন সিপিএম-এর মহম্মদ সেলিম। একমাত্র অসমের রাজনৈতিক দল ইউডিএফের এমপি সিরাজুদ্দিনের আপত্তি ছিল গোটা বিলটি নিয়ে। কিন্তু বিলটি পাসের সময় তিনি অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন না। ফলে লোকসভাতেও সর্বসম্মতিক্রমে অর্থাৎ উপস্থিত ৩৩১ জনের সবার সমর্থনে স্থলসীমা চুক্তি (খধহফ ইড়ঁহফধৎু অমৎববসবহঃ) সম্পর্কিত ১১৯তম সংবিধান সংশোধন বিলটি পাস হয়। এদিকে ভারতের লোকসভায় স্থলসীমান্ত চুক্তি বিল পাস হওয়ার ঘটনাকে সরকারের কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও সীমান্ত বিল প্রক্রিয়ায় যুক্ত সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। ভারতের লোকসভায় এই ঐতিহাসিক বিল পাস হওয়ার পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও ফোন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৭ মে বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী টুইট করে ফোনকলের কথা উল্লেখ করেন। এতে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করে বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে জানান। গত ৭ মে বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক স্থলসীমান্ত চুক্তি বিল পাসের মধ্য দিয়ে ছিটমহলের ৫২ হাজার মানুষের শাপমুক্তি ঘটল। এই চুক্তির উল্লেখযোগ্য দিক হলো, জনসংখ্যার কোন বিনিময় হচ্ছে না। অর্থাৎ ছিটমহলের বাসিন্দাদের স্বাধীনতা দেয়া হচ্ছে, তারা কোন রাষ্ট্রের সঙ্গে সংযুক্ত হতে চান সে বিষয়ে। চুক্তি বাস্তবায়নের পর বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতের ১১১টি ছিটমহল, যার জমির পরিমাণ ১৭,১৫৮ একর বাংলাদেশের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে। অনুরূপভাবে ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল ভারতে যুক্ত হবে, যার জমির পরিমাণ ৭,১১০ একর। এছাড়াও এই চুক্তির ফলে বাংলাদেশ পাচ্ছে ২২৬৭.৬৮২ একর অপদখলীয় জমি আর ভারত পাচ্ছে ২৭৭৭.০৩৮ একর অপদখলীয় জমি। সীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ যে বাড়তি ১০ হাজার একর জমি পাবে, তার জন্য ঢাকাকে কোন ক্ষতিপূরণ দিতে হবে না। ভারতের পার্লামেন্টে স্থলসীমান্ত চুক্তি বিল পাস হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের ছিটমহলগুলোতে এক আনন্দ উৎসব শুরু হয়েছে, যার উত্তাপ স্পর্শ করেছে আবালবৃদ্ধবনিতাকে। বছরের পর বছর ছিটমহলের মানুষের ইতিহাস বঞ্চনার ইতিহাস, রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা না পাওয়ার ইতিহাস, বিচারহীনতার ইতিহাস এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রীয় পরিচয়হীনতার ইতিহাস। আমি, যে এলাকা আমার জন্মস্থান পঞ্চগড়ে বেড়ে উঠেছি, তার ভেতরেই রয়েছে ভারতের প্রায় ১৮টি ছিটমহল। ছোটবেলা থেকেই শুনেছি ছিটমহলের মানুষের যন্ত্রণা ও বেদনার কথা, তাদের ভোটের অধিকার নেই, নেই শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের অধিকার। একবিংশ শতাব্দীতেও তাদের জীবন ছিল দাসের মতো। স্বীকৃতির লড়াইয়ে অবশেষে তাদের বিজয় হয়েছে। এখন তারা দেশ পাবে, পাবে নিজেদের রাষ্ট্রীয় পরিচয়। লোকসভায় বিলটি পাস হওয়ায় ছিটমহল বিনিময় সংক্রান্ত স্থলসীমান্ত চুক্তি এখন ভারতের সংবিধানের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হলো। কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, লোকসভায় বিলটি পাসের পর ১৯৭৪ সালে ১৬ মে স্বাক্ষরিত ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির আলোকে ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর হাসিনা-মনমোহন স্বাক্ষরিত প্রটোকলের পুরোটাই বাস্তবায়িত হবে। ছিটমহল হলো বাংলাদেশ ও ভারতের একদেশের সীমানার সম্পূর্ণ ভেতরে বিচ্ছিন্নভাবে থেকে যাওয়া অন্য দেশের ভূখ-। ভারত ভাগের পর থেকে ইতিহাস ও ভূগোলের সঙ্গে মিশে আছে ছিটমহল সমস্যা। ৩ জুন ১৯৪৭-এর লর্ড মাউন্টব্যাটেনের পরিকল্পনামাফিক ভারত বিভক্ত হওয়ায় ঠিক পূর্বমুহূর্তে বাংলা ও পাঞ্জাবকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ভাগ করার জন্য একটি সীমানা কমিশন গঠন করা হয়। এ কমিশনের নেতা হিসেবে নিযুক্ত হন স্যার র‌্যাডক্লিফ। স্বাধীনতা ঘোষণার সময় তৎকালীন পরিস্থিতিতে জরুরী ভিত্তিতে এবং দ্রুততার সঙ্গে র‌্যাডক্লিফকে সীমানা চিহ্নিতকরণের মতো বিশাল একটি কঠিন কাজ সম্পন্ন করতে হয়েছিল। কার্যত মাত্র ছয় সপ্তাহের মধ্যে এ কাজ নিষ্পন্ন হয়। কাগজে সীমানা যেভাবেই দাগানো হোক, মৌজা ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক, এমনকি পারিবারিক বা গোষ্ঠীগত কারণে এবং জমিজমার মানচিত্রে অসঙ্গতির কারণে বহু স্থানেই র‌্যাডক্লিফ যেভাবে দাগিয়েছেন, বাস্তবে সীমানা সেভাবে নির্ধারিত হওয়া অসম্ভব ছিল। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পরে বৃহত্তর রংপুর-দিনাজপুর ও কোচবিহারের সীমানা নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায় ছিটমহলের উদ্ভব হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ৯ থেকে ১২ অক্টোবর কলকাতায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত সীমানা সম্মেলনে ছিটমহল সমস্যা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়। ঐ বছরই ২১ থেকে ২৪ নবেম্বর সরেজমিন পরিদর্শনে ভারতীয় ভূখ-ে মোট ১১১টি বিনিময়যোগ্য বাংলাদেশী ছিটমহল চিহ্নিত করা হয়, যার আয়তন ১৭,১৬০.৬৩ একর। ওই পরিদর্শনে বাংলাদেশ ভূখ-ে ৫১টি বিনিময়যোগ্য ভারতীয় ছিটমহল চিহ্নিত করা হয়, যার আয়তন প্রায় ৭,১১০.০২ একর। জমির সীমানা নির্ধারণ, পরিকাঠামো গড়ার দায়িত্ব, ভূমি বিনিময় নাকি জনসংখ্যা বিনিময় ইত্যাদি এক ঝাঁক বিষয়ে কোন মতৈক্য গড়ে না ওঠায়, শেষ পর্যন্ত ঐ ১৬২টি ছিটমহলের হাজার হাজার বাসিন্দা ভারত ও বাংলাদেশ উভয় রাষ্ট্রেরই সরকারী সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছেন। এতটাই মানবেতর যে, নিজ সন্তানকে সম্মানজনকভাবে বড় করতে পিতৃত্বের পরিচয় মুছে ফেলার ঝুঁকি নিয়েও চলতে হয়েছে ছিটমহলের হাজার হাজার মানুষকে। ঐ ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির ৩৭ বছর পর ২০১১ সালে ইউপিএ সরকারের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ঢাকায় এলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চুক্তিটি বাস্তবায়নের জন্য একটি প্রটোকল স্বাক্ষর করেন। বাংলাদেশের সঙ্গে ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তি এবং ২০১১ সালে স্বাক্ষরিত প্রটোকল বাস্তবায়নে ভারতের সংবিধান সংশোধনের বিকল্প ছিল না। তারপরও দু’বছর কেটে যায় এই চুক্তি বাস্তবায়ন করতে সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ নিতে। কারণ সে সময় বিজেপি অসম শাখা, তৃণমূল, অসম গণপরিষদ বিলের তুমুল বিরোধিতা করে। শেষ পর্যন্ত ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ভারতের পার্লামেন্টে ওঠে স্থলসীমান্ত চুক্তি বিল। বিলটি উত্থাপন করতে গিয়ে ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশীদ বিরোধিতার মুখে পড়েন। এর আগে সে বছরের মে ও আগস্ট মাসে আরও দুই দফা এই বিলটি উত্থাপনের চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হন তিনি। সে সময় বিরোধীরা শোরগোল বাধায়। বিগত কংগ্রেস আমলে বিরোধী দল বিজেপি ও অসম গণপরিষদ এই বিলের বিরোধিতা করে বলেছিল, ছিটমহল বিনিময় হলে যে পরিমাণ জমি হাতবদল হবে, তাতে ভারত প্রায় দশ হাজার একর জমি হারাবে। এরপর নানা তৎপরতায় বিজেপি শেষ পর্যন্ত নরম হলেও অসম গণপরিষদের সঙ্গে যোগ দেয় পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন মমতা ব্যানার্জীর তৃণমূল কংগ্রেস। এর ফলে বিগত কংগ্রেস সরকার চুক্তি ও প্রটোকল কোনটিতেই অনুস্বাক্ষর করতে পারেনি। মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ঢাকায় এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করলে শেখ হাসিনা স্থলসীমান্ত চুক্তিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আহ্বান জানান। এদিকে সীমান্ত বিল পাসের বিরুদ্ধে প্রথমে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বিরোধিতা করলেও মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পরে তিনি তাঁর আগের অবস্থান থেকে সরে গিয়ে সীমান্ত বিলের পক্ষে অবস্থান নেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ভারত সফরের সময় সেদেশের সরকারী দল বিজেপি এবং বিরোধী দল কংগ্রেসের একাধিক নেতার সঙ্গে সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য আলোচনা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় শেষ পর্যন্ত ২০১৫ সালের ৭ মে ভারতের লোকসভায় স্থলসীমান্ত চুক্তি কার্যকর সংক্রান্ত ১১৯তম সংবিধান সংশোধনী বিল পাস হলো। ১৯৭৪ সালে ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি সম্পাদিত হলেও, ৪১ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে ছিটমহলের হাজার হাজার মানুষকে মুক্তির স্বাদ পেতে। ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক কারণে ছিটমহলে বসবাসকারী মানুষের প্রশাসনিক মর্যাদা ও শান্তি নিশ্চিত করা দু’দেশের সরকারের জন্যই লাভজনক। সীমান্ত নিরাপত্তা, অবৈধ চলাচল এবং জনসাধারণের জন্য উন্নয়ন কর্মকা- পরিচালনার বৃহত্তর স্বার্থে ছিটমহলগুলোর রাজনৈতিক অবস্থান নির্ধারণ জরুরী ছিল। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের অব্যাহত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে এক অসাধ্য কাজ সম্পাদিত হয়েছে। কূটনৈতিক জোরে ভারতের পার্লামেন্টে ১৯৭৪ সালের ঐতিহাসিক স্থলসীমান্ত চুক্তি কার্যকর সংক্রান্ত সংশোধনী বিল পাস করার মধ্য দিয়ে ভারতের মতো বৃহৎ একটি রাষ্ট্রের কাছ থেকে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা আদায় হয়েছে, জয় হয়েছে মানবতার। এর মধ্য দিয়ে সকল বাধা দূর করে ছিটমহলবাসীর জন্য শুরু হলো নতুন দিনের যাত্রা, নতুন দিনের গান। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৭ সালে সম্পাদিত শান্তিচুক্তির মাধ্যমে যেমন দেশের রক্তাক্ত পাহাড়ী উপত্যকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে, তেমনি আওয়ামী লীগ সরকারের অব্যাহত কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় স্থলসীমান্ত চুক্তি কার্যকর করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ দূর করে জয় হলো শান্তির। লেখক : শিক্ষক, আইন বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় [email protected]
×