ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ১২ মে ২০১৫

ঢাকার দিনরাত

রাজধানীর আকাশে-বাতাসে কোন্ অনুভূতি ধ্বনিত হয়ে চলে, তার রূপ ও রঙ অনুধাবন অবলোকনের সময় কি আছে ঢাকাবাসীর? মানুষ আগের তুলনায় শতগুণ বেশি ব্যস্ত; তার রয়েছে হাজারটা কাজ, নতুন নতুন উপলক্ষ। জীবিকার রসদ সংগ্রহ আর তথাকথিত জীবন উপভোগের দৌড়ে সত্যি সত্যি আমরা আমাদের সময় ও অস্তিত্বকে কতটুকু অনুভব ও উপলব্ধি করছি! রবিবার সকালে ঢাকার উত্তর-আকাশ ঢাকা পড়েছিল মেঘে। একটু অন্ধকার করে নেমে এসেছে চারদিকে। মনে হচ্ছিল আগাম বর্ষার রূপ ধারণ করেছে বুঝি রাজধানীর একটা পাশ। এক পরিচিতার টেলিফোনে আচ্ছন্নতা ভাঙ্গলো। তিনি আসলে শেয়ার করতে চাইছিলেন আগের রাত বারোটা এক মিনিটের আনন্দ-প্রাপ্তির প্রসঙ্গটি। দুই কন্যসন্তানের জননী তিনি। এক কন্যার বিয়েও দিয়ে দিয়েছেন। বলছিলেন মধ্যরাতে দুই কন্যা তাদের মাকে মা দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে কী কী কা- করেছে। ভদ্রমহিলার কণ্ঠ ছাপিয়ে উঠছিল আত্মতৃপ্তি ও সন্তানের জন্য গৌরব। মেয়েরা তাঁকে উপহার কিনে দিয়েছে এবং স্মরণ করে দিয়েছে মা যেন তাদের নানির খোঁজ নেয় দিনের শত সাংসারিক কাজের ব্যস্ততার মধ্যেও। মা জাতির প্রতি এই সৌজন্যবোধটুকু বেশ সুখকর হয়ে উঠেছে। যা হোক, তিনি গৃহিণী হলেও গৃহিণীর হাজারো ঝুট-ঝামেলার মধ্যে নিমজ্জিত থাকলেও প্রকৃতির দিকে তাকানোর সময় পান। অবশ্য এর জন্য সময়ের চেয়ে মন থাকাটাই বেশি জরুরী। বললেন, সক্কালবেলা আকাশ মেঘে ঢাকা থাকলে মনটাও যেন ভার হয়ে ওঠে। ইস্ বৃষ্টি যদি আসত ঝমঝমিয়ে। গানের কথাগুলো আওড়ালেন : মেঘের পরে মেঘ জমেছে, আঁধার করে আসে/ আমায় কেন বসিয়ে রাখো একা দ্বারের পাশে...। হ্যাঁ বৃষ্টি শুরু হলো কিছুক্ষণের মধ্যেই। তবে ঝমঝমিয়ে না হলেও ঢিমেতালে রিমঝিম রিমঝিম ছন্দে তো বটেই। কর্মস্থলে ছোটার এই সময়টায় কর্মজীবীদের বিরক্তির কারণ ঘটাতে পারে এমন বৃষ্টি। তবে যারা মোটরযানের ভেতর থাকেন তারা নিশ্চয়ই উপভোগ করেন এই প্রভাতী বর্ষণ। যদিও বৃষ্টি নির্দিষ্ট এলাকা আর নির্দিষ্ট সময় পর্যন্তই থাকেÑ এটা আমরা যেন ভুলেই থাকি। রোদ এসে রীতিমতো চোখের পর্দায় আঘাত না করা পর্যন্ত সেই বোধ আমাদের জন্মায় না। ঢাকার উত্তর থেকে দক্ষিণের দিকে যেতে যেতেই হারিয়ে গেল বৃষ্টি। বনানীতে যথেষ্ট রোদ, সেখানে বৃষ্টির নামগন্ধ নেই। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। শুধু গান শুধু আনন্দ গত সপ্তাহে ছিল কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী। এবারের পঁচিশে বৈশাখ পড়েছিল শুক্রবার। পঁচিশে বৈশাখে তো আর সরকারী ছুটি থাকে না। এবার ছুটির দিনে কবির জন্মদিন পড়ে যাওয়ায় ঢাকাবাসীর বিশেষ সুবিধা হয়েছিল কবিজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত নানান অনুষ্ঠান উপভোগের। বলাবাহুল্য, সেদিন ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রতিটি জাতীয় দৈনিকের সাহিত্য সাময়িকীর প্রচ্ছদ রচনা ছিল রবীন্দ্রনাথকে কেন্দ্র করেই। তাঁকে নিয়ে স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে লাখো প্রবন্ধ রচিত হয়েছে। কবির জন্ম ও প্রয়াণ দিবসে তাঁকে নিয়ে রচিত প্রবন্ধের প্রকাশ এক সাধারণ নিয়মেই পরিণত হয়েছে। সেই সঙ্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। এবারে অবশ্য ঢাকা তার একটি চোখ মেলে রেখেছিল সিরাজগঞ্জের দিকে। সেখানে শাহজাদপুরে কবির স্মৃতিবিজড়িত এলাকায় কবির নামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। শুধু ঢাকা নয়, সমগ্র দেশের রবীন্দ্রপ্রেমীদের আকর্ষণ ছিল সেদিকেই। কবির এবারের জন্মবার্ষিকী ছিল এই বিশেষত্বে মহিমান্বিত। রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে দিবসের হিসাবে সবচেয়ে বড় আয়োজনটি ছিল বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার। শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরীর মূল মিলনায়তনে পাঁচ দিনব্যাপী এই আয়োজনে রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন শতাধিক শিল্পী। বাইরে স্থাপিত পর্দায় অনুষ্ঠানটির সচল সচিত্র পরিবেশনার ব্যবস্থা নেয়ায় প্রাঙ্গণের গাছতলায় বসে থাকা দর্শকদের সুবিধা হয়েছিল অনুষ্ঠান উপভোগের। দু’দিন বিকেলবেলায় গিয়েছিলাম সেখানে। আগের মতো উপচেপড়া ভিড় দেখলাম না। খোলা প্রাঙ্গণও অনেকটাই ফাঁকা ফাঁকা। তবে অংশগ্রহণকারী শিল্পী এবং তাঁদের নিকটজনদের ভেতর ছিল প্রাণচাঞ্চল্য। কবির জন্মদিনকে ঘিরে শিল্পীদের ভেতর দেখা-সাক্ষাতের রেওয়াজ তৈরি হয়েছে। এটাও বা কম কী! দলবেঁধে ছবি তোলাও চলেছে বেশ। একটা বিষয় লক্ষ্য করে দেখার মতোই। যে কোন সংগঠনের সীমাবদ্ধতাই বুঝি এটি। সব কুল রক্ষার একটা প্রচেষ্টা। সবাইকে খুশি করা আরকি। তা না হলে বাথরুম সিঙ্গাররাও কিভাবে মঞ্চে গান শোনানোর সুযোগ পান? রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার একক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল জাতীয় জাদুঘর। পাবলিক লাইব্রেরীর পাশেই এই অনুষ্ঠান। ভেবেছিলাম দুই মিনিটের রাস্তা, বন্যার গান শুরু হতে হতে চলে যাওয়া যাবে। তা যাওয়া গেল বটে, কিন্তু আমন্ত্রণপত্র থাকা সত্ত্বেও প্রবেশাধিকার পাওয়া গেল না। সবগুলো ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জানা গেল ভেতরে ‘তিল ঠাঁই আর নাহিরে’। মিলনায়তনের সবগুলো আসন পূর্ণ, সিঁড়িতে কার্পেটের ওপরও বসে পড়েছেন শ্রোতারা। পেছনেও তাঁরা দাঁড়িয়ে গেছেন। তাই নতুন আর একজন শ্রোতাও যদি ভেতরে যান তাহলে তাঁর জায়গাটি হবে না। সুতরাং গেট বন্ধ করে রাখা ছাড়া উপায় নেই। আসলে এ অনুষ্ঠানটি ছিল সবার জন্য উন্মুক্ত। মন্ত্রী-সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারী লোকজনের আগমন ছিল বিপুল। বন্ধ গেটের বাইরে দাঁড়ানো ভিড়ের ভেতর নানা মন্তব্য ভাসছিল। কান পেতে শোনা ও বোঝার চেষ্টা করলাম। দুটি বিষয় স্পষ্ট। এক. এ জাতীয় জনপ্রিয় শিল্পীদের অনুষ্ঠান খোলা জায়গায় হলে সাধারণ শ্রোতারা বঞ্চিত হবেন না। দুই. জাদুঘর প্রাঙ্গণে যদি আজ বড় বড় দুটি পর্দায় দু’দিকে ভেতরে চলা অনুষ্ঠানটি প্রদর্শিত হতো তাহলে এত মানুষের হতাশ হওয়া লাগত না। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী দুদিনব্যাপী রবীন্দ্রজয়ন্তীর আয়োজন করেছিল। মন্দ ছিল না ওই আয়োজন। পঁচিশে বৈশাখে ছায়ানট ভবনে গিয়ে দেখি সেখানেও প্রচ- ভিড়। মিলনায়তনের ভেতরে ঢোকার জো নেই। বাইরে অবশ্য পর্দায় অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ব্যবস্থা আছে। জায়গাটি খুব বেশি প্রশস্ত নয়। শিল্পীকে চোখে না দেখা গেলেও কানে তাঁর গান প্রবেশে তো কোনো বাধা নেই। ভবনে প্রবেশের মুখে বিশাল রবীন্দ্র প্রতিকৃতি স্থাপিত রয়েছে। প্রতিকৃতির পাশে দাঁড়িয়ে চলছে ফটোসেশন। ভেতরে প্রজ্বলিত প্রদীপ ও ফুলদলের পাশটিও ছবি তোলার জন্য উপযুক্ত স্থান। মানুষের ভেতর সঙ্গীতপ্রীতি বাড়ছে বা বলতে পারি শুধু গান শুনে আনন্দ করার লোকের সংখ্যা বাড়ছে। যদিও একটি পুরো গান মনপ্রাণ দিয়ে শোনা এবং তার অন্তর্নিহিত বক্তব্য বা অনুভূতিকে উপলব্ধি করার মতো মানুষের সংখ্যা কি বাড়ছে? এ তো আমাদের চোখের সামনে অহরই ঘটছে যে, মানুষ একটি গানের দুটি চরণ হয়ত কান পেতে শুনছে। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের রচনার ভেতর যে বোধ ও দর্শন রয়েছে তা নিয়ে দু-চার কথা বলার সময় মানুষের ধৈর্য আর থাকছে না সেসব শোনার। সে অমনোযোগী হয়ে উঠছে। সুর সহজে কানে পশে, তাতে মন ভোলে, মন ভরে ওঠে রসে। গভীর কথা ধারণ করতে হয় মস্তিষ্কে, তা আমাদের ভাবনার ভেতরবাড়িতে নিয়ে যায়। কিন্তু যেতে চাইলে তো! শুধু গান আর আনন্দকেও নিশ্চয়ই ইতিবাচকভাবেই দেখা সমীচীন। পাশাপাশি কাজের কথাগুলোও তো বলা চাই, শোনা চাই। আহা কত রঙ ঢাকার রাস্তার দু’পাশে এখন নজরে আসছে নানা রঙের বৈশাখী ফুল। রাধাচূড়া, স্বর্ণচাপা, কৃষ্ণচূড়া, জারুলÑ হলুদ, লাল, বেগুনী, সাদা মিলে কী অপরূপ সুন্দর চারিদিক! কিছু সোনাঝুরি মাঝে মাঝে। এসব দেখার মন আর চোখ কি আছে ঢাকাবাসীর? সবাই ছুটছে তো ছুটছেই। তবু এই ছোটার মাঝে ক্ষণিকের জন্য হলেও যদি একটুখানি অবসর বের করে নিয়ে বাইরে চোখ মেলে দিতে পারেন, তাহলে উদ্ভিদের এই অফুরান দান আপনাকে শান্তি আর আনন্দ দেবেই। ট্রাই করেই দেখুন। মা দিবসে মা বন্দনা এবারে এ লেখার ‘ফেসবুক থেকে’ অংশে তুলে দেব মা দিবসে ক’জন ঢাকাবাসীর পোস্ট। কিছু মিঠেকড়া মন্তব্য। ঝর্না রহমান লিখেছেন : ‘আমাদের ঘুম ভাঙতো মায়ের গুন গুন কোরান পড়া শুনে আর রাতে ঘুমিয়ে পড়ার আগে টের পেতাম মা আমাদের বুকে মুখে দোয়া পড়ে ফুঁ দিচ্ছেন। কেমন কোমল সোঁদা গন্ধ ছড়িয়ে পড়ত মায়ের মুখ থেকে। মা নেই। কিন্তু আমার বাতাসে আছে সেই কোরানের সুর আর দোয়ার সুরভি। মা নিশ্চয়ই আছেন সুরভিত আলোকিত অমরায়... মাকে আমার প্রতি নিঃশ্বাসের ভালবাসা।’ জুননু রাইন লিখেছেন : ‘মাকে কখনও আবেগপ্রবণ হতে দেখিনি। বাবা লক্ষ্মীসোনা ডেকে ছোটবেলায় আদর করেছেন বলেও মনে পড়ছে না। অথচ মা আমাকে ডাকলেই মনে হয় আমার একটা নাম আছে। সে নামের মহত্ত্ব আছে। আমি একটি মানুষের অর্থে স্নান করে পবিত্র হয়ে উঠি। এখন বড় হয়েছি, দূরে (ঢাকায়) থাকি চাকরির প্রয়োজনে। বছরে দুই-তিনবারের বেশি গ্রামের বাড়ি যেতে পারি না। মায়ের কাছেও থাকা হয় না, মায়ের সেই ডাকও শুনতে পাই না। গত ঈদের ঘটনা। দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় প্রায় হয়ে আসছে। আব্বা বাসায় নেই। ছোট বোন আর ভাইকে বললাম- ‘আমাকে ডাকবি না’। ওদের কী কেন’র উত্তর না দিয়ে আবারও সতর্ক করে বললাম- ‘কোনমতেই আমাকে তোরা ডাকবি না’। ঘর থেকে বেরোনোর সময় মাকে বললাম- ‘আমি কাচারি ঘরের পাশের বাগানটা দেখতে যাচ্ছি। রান্না শেষ হলে ডেকো। আমাদের খাবার ঘর থেকে কাচারিঘরের দূরত্ব যা তাতে কাউকে ডাকতে হলে উচ্চস্বরেই ডাকতে হয়। আমি কাচারিঘরের সামনে আসতেই মায়ের কণ্ঠে- জুননু জুননননননুউউউ... জুনননননননুরেএএএ। কমপক্ষে ১৫ বছর আগে মা ভরাট গলায় আমাকে এভাবে ডাকতেন; কাচারিঘরে আমি পড়ছি না খেলতে মাঠে চলে গেছি বোঝার জন্য। থাকলে চিৎকার করে বলতাম- ‘মা আমি পড়ছি...’। কেন যেন আজকের এই ডাকে আমার চোখ ভিজে আসলো। আমি আর ঘরে যেতে পারলাম না। হাঁটতে হাঁটতে বাগানের এক কোণে গভীর সবুজ ছায়ায় লুকিয়ে মায়ের মুখে আমার নাম শুনছি আর কাঁদছি...।’ কাবেরি গায়েনের মন্তব্য : ‘মা দিবসটা যেন কী? যে দেশে এখনও সন্তানের উপর মায়ের অভিভাবকত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়নি, সেই দেশে ঘটা করে মা দিবস পালন করার কর্পোরেট ভ-ামি দেখলে পিত্তি জ্বলে।’ কেকা অধিকারীর মন ছুঁয়ে যাওয়া কথামালা : ‘মায়ের সুন্দর ছবি খুঁজতে গিয়ে দেখি- হায়! হায়! সুন্দর মায়ের ছবি সুন্দর করে তোলাই হয়নি কখনও! আরেকবার প্রমাণিত হলো- সময়ের কাজ সময়ে করতে আমি আজীবনই ব্যর্থ, ঘর-সংসার-সন্তান কোনকিছুই সামলাতে পারি না ঠিকঠাক। তবুও ভালই চলছি, চালাতে পারছি সবকিছু। উতরে যাচ্ছি জীবনের ছোট-বড় পরীক্ষা। কিভাবে? মা আছে না পাশে? ভাল থেকো মা।’ ঢাকার অতিথি দুটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতা থেকে এসেছেন ‘আজ সকালের আমন্ত্রণে’ শীর্ষক টিভি অনুষ্ঠানের খ্যাতনামা সঞ্চালক রিনি বিশ্বাস। পর পর দু’দিন রবি ও সোমবার হলো ওই দুটি অনুষ্ঠান। রিনি একজন আবৃত্তিকার ও সঙ্গীতশিল্পীও বটে। এটা তাঁর অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় বিশেষ কাজে দিয়েছে। জাতীয় জাদুঘরে ‘জয়ধ্বনি’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে চার সঙ্গীতশিল্পী একগুচ্ছ করে গান পরিবেশন করলেন। সত্যি মুগ্ধ হয়ে শুনবার মতো। শিল্পীদের সঙ্গে রিনির আলাপচারিতার অংশটুকুই শুধু নয়, গানের ফাঁকে তাঁর প্রাসঙ্গিক মন্তব্য, গানের আনন্দধারা থেকে ভাব তুলে এনে কিছু সহজ ও গভীর কথা সামনে দর্শক-শ্রোতাদের মাঝে পরিবেশন এবং তাঁদের সঙ্গে শিল্পীর একটি যোগসূত্র স্থাপনÑ সব মিলিয়ে এককথায় হৃদয়কাড়া। রিনির একক আবৃত্তি ছিল অনুষ্ঠানের উপরি পাওনা। আবেগ ঢেলে কবিতার আবেদনটুকু শ্রোতার সামনে খুলেমেলে ধরেন। তাঁর সঙ্গে বাংলাদেশের আবৃত্তিকার তাহসিন রেজার একটি যৌথ আবৃত্তির সিডি প্রকাশনা অনুষ্ঠানটি হলো বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে। এখানেও আবৃত্তি করলেন ঢাকার এ বিশিষ্ট অতিথি। নিবিষ্টমনে শুনবার মতোই। ১১ মে ২০১৫ সধৎঁভৎধরযধহ৭১@মসধরষ.পড়স
×