ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশে

ক্ষুদ্রঋণ মডেল সফল হচ্ছে না পৃথিবীর কোন দেশেই

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ১২ মে ২০১৫

ক্ষুদ্রঋণ মডেল সফল হচ্ছে না পৃথিবীর কোন দেশেই

কাওসার রহমান ॥ দারিদ্র্য দূরীকরণে ক্ষুদ্রঋণ একটি বিপ্লবের সম্ভাবনা তৈরি করলেও পৃথিবীর সবদেশেই এ মডেল সফল হচ্ছে না। বরং কোথাও কোথাও এ মডেল মুখ থুবড়ে পড়েছে। প্রথাগত ক্ষুদ্রঋণ শেষপর্যন্ত বাংলাদেশেও দারিদ্র্য বিমোচনে উল্লেখযোগ্য কোন সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। বরং এটি ঋণের কিস্তি পরিশোধের ক্ষেত্রে এক শক্ত ‘কোলেটারেল’ হয়ে দাঁড়ায়। মূলত ব্যক্তিস্বার্থ এবং পশ্চিমা পুঁজিবাদী ধারণাকরণের কারণেই শেষপর্যন্ত প্রথাগত ক্ষুদ্রঋণ দারিদ্র্য মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ব্যর্থ হয়। এ অভিজ্ঞতার আলোকে সংস্কারের মাধ্যমে প্রথাগত ক্ষুদ্রঋণ থেকে বেরিয়ে এসে এ ঋণের বৈচিত্র্যায়নের মাধ্যমে সাফল্য পেয়েছে দেশের ক্ষুদ্রঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান-সমূহের অর্থায়নকারী সংস্থা পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। আমাদের দেশের দারিদ্রতা বহুমাত্রিক। আর বহুমাত্রিক কর্মসূচী তথাÑ ঋণের সঙ্গে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত করে সমন্বিত কর্মসূচী গ্রহণের কারণেই আয় বৃদ্ধিতে এবং দারিদ্র্য বিমোচনে গরীব মানুষগুলোর সক্ষমতা বাড়ছে। তারা ক্ষুদ্রঋণে আবদ্ধ না থেকে আয়-উন্নতি বাড়িয়ে এগিয়ে চলার সক্ষমতা অর্জন করছে। নব্বইয়ের দশকে ক্ষুদ্রঋণ ভারতীয় উপমহাদেশে নিয়ে আসে এক ধরনের বিপ্লব? মূলত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির শিক্ষক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাত ধরেই এ ঋণের ব্যাপক প্রসার ঘটে। আর এ ঋণের প্রসারের কারণে মুহাম্মদ ইউনূস নোবেল শান্তি পুরস্কারও পেয়েছেন? তার উদ্ভাবিত এ ক্ষুদ্রঋণের মূলতত্ত্ব হচ্ছেÑ পকেটসাইজ ঋণ দিয়ে দেশ থেকে দারিদ্র্য দূরীকরণের চেষ্টা করা হয়? তবে ইদানিং ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পগুলো নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা? কেলেঙ্কারি আর বিতর্কের ঝড় উঠেছে ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প নিয়ে? বলা হচ্ছে, ঋণের আড়ালে লুকিয়ে আছে চড়া সুদ? অর্থাৎ বড় আকারের সুদ গ্রহণ করা হচ্ছে ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে? আর এ সুদ বা ঋণ কোনটাই ঠিকমতো পরিশোধ করতে পারছে না ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের অনেক গরীব কৃষক? ফলে তারা বেছে নিয়েছে আত্মহত্যার পথ? প্রায় ৮৮ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছে। এর মূল কারণ হলো তারা কেউই ঠিকমতো সুদ দিতে পারেনি, ঋণ ফেরত দেয়া তো দূরের কথা? আর ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের কর্মকর্তারা সারাক্ষণই এদের বাড়িতে হামলা করতো সুদ আদায়ের জন্য? ডয়েচ ভেলের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সাত বছর আগে বিমলা রাজন ভেবেছিলেন ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে তিনি আর্থিক সমস্যার হাত থেকে পরিবারকে রক্ষা করবেন? তিনি চেন্নাইয়ের একটি বস্তিতে বাস করেন? স্থানীয় একটি সমবায় সমিতির সদস্যা সে। সেই সমিতির সাহায্যে তিনি ৮৫ ইউরো অর্থাৎ পাঁচ হাজার একশ’ রুপি ঋণ নেন একটি ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী সংস্থার কাছ থেকে? যেহেতু ব্যবসার জন্য বিমলা ঋণ নিয়েছিলেন তাই তিনি সব্জি ব্যবসার কথা বলেন? তা না করে পুরো টাকা তিনি খরচ করেন পরিবারের বিভিন্ন কাজে? প্রতিসপ্তাহে ঋণের কিস্তি শোধ করছেন তার স্বামী? এরপর বিমলা আরও কিছু ঋণ নেন? ৮৫ ইউরো এবং পরের বার ৩৪৫ ইউরোর ঋণ? এর পাশাপাশি ব্যাংক থেকে নেন ২৬০ ইউরোর আরেকটি ঋণ? বিমলা রাজন বলেছেন, ‘প্রতিমাসে এতগুলো ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে আমাদের সত্যিই ভীষণ সমস্যা হচ্ছে? আমি ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী সংস্থা থেকে আরেকটি ঋণ নিয়েছি আগের ঋণটি শোধ করার জন্য? এখন সবগুলো ঋণের বোঝা সত্যিই অনেক বেশি মনে হচ্ছে?’ বিমলার বয়স ৫৫? সব মিলে তার কাঁধে ৭০০ ইউরোর ঋণের এক বিশাল বোঝা? অথচ গোটা পরিবার মাসে আয় করে মাত্র একশ’ ইউরো? শেষ পর্যন্ত তিনি সব্জির বাগানের দিকে ঝুঁকে পড়েন? কিন্তু সেখান থেকে লোকসান ছাড়া আর কিছুই আসেনি? এ ধরনের ঘটনায় বিমলা একা নয়? ভারতে হাজার হাজার মহিলা রয়েছেন যারা এ ধরনের সমস্যায় ভুগছেন? ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাগুলো ডানা মেলে রয়েছে গোটা দেশে? যে কোন অঙ্কের ঋণ দিতে তারা প্রস্তুত? যেহেতু খুব সহজেই এ ঋণ পাওয়া সম্ভব তাই অনেকেই ঝুঁকে পড়ে ঋণ নেয়ার জন্য? এ সংস্থাগুলো দরিদ্র মানুষের দ্বারে দ্বারে যায় ঋণের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা জানাতে? এত সহজে এত টাকা একসঙ্গে পাওয়া যাবে? এ লোভে তখন অনেকেই এগিয়ে যায় ঋণ নিতে? সবাই মনে করে হাতে টাকা আছে যে কোন ব্যবসা শুরু করা যাবে? বিমলা যেখানে থাকে সেখানে আরও অনেক মহিলা জানিয়েছে, তাদের ঋণ নিতে সবসময়ই উৎসাহিত করে সংস্থাগুলো? আমাদের দেশে ক্ষুদ্রঋণকে এখন প্রথাগত ঋণ বলা হয়। কারণ এ ঋণে দারিদ্র্য বিমোচেন সাফল্য খুব কম। কার্যত অনেক দেশেই এ প্রথাগত ক্ষুদ্রঋণ দারিদ্র্য মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে ব্যর্থ হয়েছে। এটি শুধু আমাদের দেশীয় গবেষণায় নয়, বিদেশী গবেষণাও বেরিয়ে এসেছে যে দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্রঋণ ব্যর্থ। ওয়াশিংটনভিত্তিক গ্লোবাল মাইক্রো ক্রেডিট ক্যাম্পেইনের এক গবেষণায় দেখা যায়, ১৯৯০ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত প্রথাগত ক্ষুদ্রঋণে মাত্র ৯ দশমিক ৪০ শতাংশ গরীব মানুষ দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অপর এক প্রতিষ্ঠান ও এমআইটি মিলে ৭টি দেশের ওপর দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্রঋণের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করে। দেশগুলো হলোÑ ভারত, ফিলিপিন্স, মঙ্গোলিয়া, বসনিয়া-হারজেগোবিনা, মেক্সিকো, ইথিওপিয়া এবং মরক্কো। ওই গবেষণায় দেখা যায়, দারিদ্র্য বিমোচনের চারটি ক্ষেত্রেই ক্ষুদ্রঋণে কোন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। ১. কোন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি পারিবারিক আয়ে, ২. অগ্রগতি হয়নি দারিদ্র্য বিমোচনে, ৩. কোন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি নারীর ক্ষমতায়নে এবং ৪. কোন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি শিশু শিক্ষার বিনিয়োগে। প্রথাগত ক্ষুদ্রঋণের এ ব্যর্থতার অন্যতম কারণ হচ্ছে ব্যক্তি কেন্দ্রিকতা। ড. ইউনূস এ ক্ষুদ্রঋণকে ব্যক্তিকেন্দ্রিক করতে চেয়েছিলেন। ঋণের চেয়ে নিজেকেই অনেক বড় করে তুলতে চেয়েছেন। ফলে ঋণকে যুগপোযোগী করা হয়নি। দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য ঋণের সঙ্গে শিক্ষা-স্বাস্থ্যের মতো অন্যান্য যেসব অনুসঙ্গ যুক্ত করার প্রয়োজন ছিল তা না করার কারণেই দারিদ্র্য বিমোচেনর মহাষৌধ হিসেবে ক্ষুদ্রঋণ ব্যর্থ হয়েছে। যে কারণে ঋণগ্রহীতা বা তার পরিবারের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে কিংবা দুর্যোগের সম্মুখীন হলে সর্বশান্ত হয়ে গেছে। মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন গবেষণা থেকে দেখা যায়, প্রথাগত ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে বছরের পর বছর ধরে ঋণগ্রহীতাদের একটি ক্ষুদ্র অংশই কেবল আয় বৃদ্ধির দিকে দিয়ে যুক্তিসঙ্গতভাবে উপকৃত হয়েছে। কিন্তু বড় অংশেরই আয় বা উপার্জন একেবারে বাড়েনি, বা তেমন বাড়েনি। দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ঋণ কোন ভূমিকা রাখতে পারেনি। ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহণের পর গ্রহীতাদের স্বাস্থ্য সেবার যতটুকু উন্নতি হয়েছে তা হয়েছে মূলত সরকারী-বেসরকারী জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম ও স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার সুবিধার কারণে। ক্ষুদ্রঋণ গ্রহণের কারণে নয়। বড় আকারের জনগোষ্ঠীই তাদের জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র্রঋণ গ্রহণের পরও আগের মতো প্রান্তিক রয়ে গেছে। সার্বিকভাবে বলা যায়, ক্ষুদ্রঋণের আর্থ-সামাজিক ইতিবাচক প্রভাব খুব সীমিত। স্বল্পসংখ্যক ঋণগ্রহীতাই কেবল লাভবান হয়েছেন। বেশির ভাগই কোন সুফল পায়নি, বরং ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে তারা আরও কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। চাপে রয়েছেন একটি কিস্তি পরিশোধের পর আবার এক সপ্তাহের মাথায় আর একটি কিস্তি পরিশোধে। অনেকেই নিজের সম্পদ-সম্পত্তির বিনিময়ে কিস্তির অর্থ নিশ্চিত করেন, যা তাদের অর্থনৈতিক অবস্থাকে আরও নাজুক করে তোলে। গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর আশির দশকে ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে নতুন নতুন প্রকল্প বা প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টি হয়। শুরু হয় নতুন নতুন চিন্তা-ভাবনার। এরই ধারাবাহিকতায় একটি তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। যার ফলশ্রুতিতেই প্রতিষ্ঠা পায় ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের অর্থায়নের জন্য পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ)। পিকেএসএফ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সরকার সেটি থেকে ক্ষুদ্রঋণকে বের করে আনে। ২০১০ সালে এসে ক্ষুদ্রঋণের বৈচিত্র্যায়ন করে পিকেএসএফ। সংস্থাটির নতুন চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ প্রথাগত ক্ষুদ্রঋণের সংস্কার করে এর সঙ্গে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশিক্ষণ ইত্যাদি যুক্ত করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগে অতি দরিদ্রদের ক্ষুদ্রঋণ থেকে বাদ দেয়া হতো। কারণ মনে করা হতো, অতি দরিদ্ররা ঋণ ফেরত দিতে পারবে না। পিকেএসএফ এই অতি দারিদ্র্যদের ঋণের আওতায় নিয়ে এসেছে। সপ্তাহের পরিবর্তে মাসে কিংবা কৃষকদের ক্ষেত্রে ফসল উঠার পর ঋণ পরিশোধের সুযোগ করে দিয়েছে।’ ড. খলীকুজ্জামান বলেন, ‘ক্ষুদ্রঋণ হচ্ছে দারিদ্র্য বিমোচনের একটি অনুসঙ্গ মাত্র। এই একটি অনুসঙ্গ দিয়ে গরীব মানুষেরা দরিদ্র সীমার ওপরে উঠতে পারে না। তাদের দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য সমন্বিত প্যাকেজ কর্মসূচী প্রয়োজন। গবেষণায় দেখা গেছে, দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য ক্ষুদ্রঋণ নয়, উপযুক্ত অর্থায়ন প্রয়োজন। অর্থাৎ যার যেমন ঋণ প্রয়োজন, তেমন ঋণ দিতে হবে। অতি দরিদ্ররা যে যেমন অর্থ ব্যবহার করতে পারবে তাকে সেই পরিমাণ অর্থ দিতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা অতি দারিদ্র্যদের ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ দিচ্ছি। আর ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়া হচ্ছে। ‘সেই সঙ্গে আমরা শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, বাজারমুখীকরণ, প্রযুক্তির উন্নয়ন, অবকাঠামো, সাংস্কৃতি বিকাশ প্রভৃতির প্রতি জোর দিচ্ছি। অর্থাৎ সমন্বিত উন্নয়নের প্রতি জোর দেয়া হচ্ছে। এতে গরীব মানুষের দারিদ্র্যের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসছে,’ বললেন খলীকুজ্জমান। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন ক্ষুদ্রঋণকে ‘উপযুক্তঋণ’ বলছি। কারণ আগের ক্ষুদ্রঋণ হচ্ছে প্রথাগত ঋণ। ওই ঋণে দেখা গেছে, দারিদ্র্য বিমোচন কিংবা নারীর ক্ষমতায়ন হয় না। কেবল উপযুক্তঋণই দারিদ্র্যদের টেকসই উন্নয়নে সফল হচ্ছে।’ ড. আহমদ বলেন, ‘প্রথাগত ক্ষুদ্রঋণে ঋণগ্রহীতা সঞ্চয় করে ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানে। আর আমাদের ব্যবস্থায় ঋণগ্রহীতা সঞ্চয় করছে ব্যাংকে তার নিজস্ব হিসাবে। শুধু তাই নয়, গ্রহীতা যত বেশি সঞ্চয় করবে তাকে তার সমপরিমাণ বা সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত অনুদান দেয়া হচ্ছে। এটা করা হচ্ছে যাতে ঋণগ্রহীতরা সঞ্চয়ে উৎসাহিত হয়। তবে এ অনুদানের ক্ষেত্রে শর্ত রয়েছে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘শর্ত হচ্ছে অনুদানের টাকা দিয়ে গ্রহীতাকে সম্পদ করতে হবে। অন্য কোন কাজে ব্যয় করতে পাবে না। তবে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া বা উন্নত প্রশিক্ষণে ব্যয় করতে পারবে। কারণ এটাও এক ধরনের সম্পদ।’ ড. খলীকুজ্জামান বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য দরিদ্রদের স্বাস্থ্য সেবা একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ। ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতাদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিধান রয়েছে পিকেএসএফের প্যাকেজ কর্মসূচীতে। দেশের ১৪৩টি ইউনিয়নে সমৃদ্ধি কর্মসূচীর মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের এ সংস্কারমূলক কর্মসূচী বাস্তবায়িত হচ্ছে।
×