ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মালয়েশিয়ার উপকূলে উদ্ধার ॥ এবার ১৪শ’

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ১২ মে ২০১৫

মালয়েশিয়ার উপকূলে উদ্ধার ॥ এবার ১৪শ’

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার থেকে ॥ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে কক্সবাজারে মানব পাচার থামাতে ও দালালদের গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযানে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পাশাপাশি মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশী ব্যক্তিদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করছে সরকার। এদিকে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার উপকূল থেকে সোমবার ভোরে ওই দু’দেশের প্রশাসন পাচার হওয়া এক হাজার ৪১৮ জনকে উদ্ধার করেছে। এদের মধ্যে রয়েছে নারী ও শিশু। অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বাত্মক অভিযানের মুখে মানব পাচারকারী ও দালালরা গা-ঢাকা দিয়ে কেউ সাগরে ও কেউ পাহাড়ী এলাকায় আত্মগোপন করেছে। থাইল্যান্ডে পাচার হয়ে যাওয়া যেসব বাংলাদেশীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। সূত্র আরও জানায়, পাচার হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের সঠিক পরিচয় নিশ্চিত করে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থাসহ মানব পাচার প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে সে বিষয়েও উচ্চপর্যায় থেকে দ্রুত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। থাইল্যান্ডে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশী যুবকদের স্থায়ী ঠিকানাসহ যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর স্ব-স্ব এলাকার পুলিশ স্টেশনের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়ার পরে সরকার ওইসব ব্যক্তিকে দেশে ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নেবে বলে জানা গেছে। সোমবার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও আইজিপির নির্দেশনা পেয়ে কক্সবাজারে সীমান্তবর্তী এলাকায় বিজিবি এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসমূহে বিশেষ টহল ও পুলিশ চৌকি বসিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে চালিয়ে যাচ্ছে সাঁড়াশি অভিযান। অভিযানের অংশ হিসেবে গত চার দিনে টেকনাফ-উখিয়া, দরিয়ানগর ও মহেশখালী থেকে পুলিশ ১৩ দালালকে আটক করেছে। শুক্র ও শনিবার পুলিশের সঙ্গে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে চার মানব পাচারকারী নিহত হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় তৈরি বন্দুক ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ জনকণ্ঠকে জানান, মানব পাচার শূন্যের কোটায় না আসা পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। মানব পাচার কাজে সহযোগীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে জেলার সব থানার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে কড়া নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার সমুদ্র উপকূল থেকে সোমবার ভোরে ১ হাজার ৪১৮ জনকে উদ্ধার করেছে সেদেশের প্রশাসন। এদের মধ্যে নারী এবং শিশুও রয়েছে। এরা সকলে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের অভিবাসী বলে সূত্রে জানা গেছে। চারটি কাঠের নৌযানে করে ওই নারী-পুরুষ এবং শিশু দালালদের খপ্পরে পড়ে মালয়েশিয়ায় পাচার হচ্ছিল। জানা গেছে, থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে শংখলা প্রদেশের জঙ্গল থেকে শনিবার উদ্ধার হওয়া ১২৩ বাংলাদেশীর মধ্যে কক্সবাজারের দুই কিশোর রয়েছে। উদ্ধার হওয়া দুই কিশোর কক্সবাজার সদর ইসলামপুর নতুন অফিসপাড়ার ফরিদুল আলমের পুত্র দেলোয়ার হোসাইন ও নাজমুল হক নজুর পুত্র সেলিমুল হক রিফাত। থাইল্যান্ডের শংখলা প্রদেশের রাত্তাফুম জেলা ও হাত ইয়াই পাহাড়ী এলাকা থেকে শনিবার তাদের উদ্ধার করা হয়। সোমবার সকালে ইসলামপুর গিয়ে পাচারের শিকার দেলোয়ার হোসেনের মা দিলফিরোজ বেগমের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, আমার ছেলে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর হঠাৎ উধাও। সম্ভাব্য সব জায়গাতে তার সন্ধান চালিয়েছি। কোথাও খোঁজ নেই। অবশেষে পত্রিকার পাতায় ছবিতে আমার ছেলে দেলোয়ারকে দেখে চমকে উঠি। আল্লাহ আমার বুকের ধনকে জীবিত দেখিয়েছে। ছেলেকে ফেরত পাওয়া ছাড়া এখন সরকারের কাছে আমার কোন চাওয়া নেই। অশ্রুসজল ভাষায় সোমবার জনকণ্ঠকে কথাগুলো বলছিলেন থাইল্যান্ডে জীবিত উদ্ধার হওয়া কিশোর দেলোয়ারের মা। তিনি আরও বলেন, দেলোয়ারের বয়স মাত্র সতেরো পার হয়েছে। মালয়েশিয়া গিয়ে পরিবারের জন্য আয়ের চিন্তা তার হয়নি এখনও। মিথ্যা আশ্বাস ও প্রলোভনে ফেলে যারা আমার ছেলেকে পাচার করেছে আমি তাদের বিচার চাই। আঞ্চলিক ভাষায় দেলোয়ারের মা কেঁদে কেঁদে বলেন, ‘ও-বাপ তুই তাড়াতাড়ি আমার বুকে চলে আই। তোর জন্য আমার খানা বন্ধ। তুই আইলে বে¹ুন এক পোয়ারে খাইব। আরে আর ন কাঁদাইছ।’ প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার কাছে আমার আবেদন, আমি আমার ছেলেকে ফেরত চাই।’ এ ছাড়াও হাউমাউ করে কেঁদে লবণ মাঠে কর্মরত অবস্থায় ছেলের খবর পেয়ে সারা শরীরে ঘাম নিয়ে বাড়িতে ছুটে আসেন দেলোয়ারের পিতা ফরিদুল আলম। ওই সময় তিনি একটিই আকুতি করেন, ‘যে কোন মূল্যে আমার ছেলেকে ফেরত চাই।’ উদ্ধার হওয়া অপর কিশোর সেলিমুল হক রিফাতের পিতা নাজমুল হক বলেন, এমন কোন জায়গা নেই, যেখানে আমার ছেলেকে খোঁজা হয়নি। সঠিক হদিস দিতে পারে এমন লোকেরও সন্ধান পায়নি। অবশেষে গণমাধ্যমে আমার ছেলে উদ্ধার হয়েছে জেনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা কমে এসেছে। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে ফিরে পাওয়া ছাড়া আর কোন দাবি নেই। মিথ্যা প্রলোভনের ফেলে অবুঝ শিশু-কিশোরদের পাচারকারী দালালদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান তৈরি করার দাবি জানাচ্ছি। স্থানীয়রা জানায়, নিজ ও পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তনের বুকভরা আশা নিয়ে শ’ শ’ যুবক মানবপাচারের গডফাদার সোনারপাড়ার নুরুল কবির, রেজিয়া আক্তার রেবি, প্রকাশ ম্যাডাম, সোনাইছড়ির শামসুল আলম, চেপটখালীর ফয়েজ সিকদার, লিঙ্ক রোডের মোঃ আলী পাখি ও জাফর মাঝি (বন্দুকযুদ্ধে নিহত) সহ মানব পাচারকারীদের ফাঁদে পড়ে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় যাত্রা করেছে। এদের মধ্যে ট্রলারে, মালয়েশিয়ার কথিত রিসিভ রুমে ও থাইল্যান্ডের বন্দীশিবিরে দালাল চক্রের নির্যাতনে প্রাণ হারানো বহু মৃতদেহ স্বজনরা ফিরে পায়নি এখনও। দুই বছরে কক্সবাজারের ৮টি উপজেলা থেকে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছে ভাগ্য বিড়ম্বিত অন্তত ৪০ হাজার মানুষ। তার মধ্যে সহস্রাধিক নিখোঁজদের সন্ধানে তাদের আত্মীয়স্বজনরা নতুন করে উৎকণ্ঠায় পড়ছে। কক্সবাজারে আটটি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে কেউ স্বামী, কেউ ভাই, আবার অনেকে পুত্র হারিয়ে এখন প্রায় উন্মাদ বনে গেছে। তাদের সন্ধানে অনেকে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর মোবাইল নম্বরে কল করতে করতে বহু টাকা শেষ করেছে। থাইল্যান্ডের জঙ্গলে গণকবর ও বন্দীশিবিরের সন্ধান লাভের সংবাদ জেনে স্বজনহারানো ওইসব পরিবারে এখন চলছে শোকের মাতম। আমাদের স্টাফ রিপোর্টার জানান, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার উপকূলে চারটি নৌযান থেকে সোমবার প্রায় দেড় হাজার বাংলাদেশ-মিয়ানমারের নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে। সাগরে ভাসতে থাকা দুটি নৌকা থেকেই উদ্ধার করা ৬শ’ নাগরিককে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি ও বার্তা সংস্থা এএফপি। খবরে বলা হয়, রবিবার ইন্দোনেশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় আচেহ প্রদেশের সমুদ্র উপকূলে নৌযান থেকে প্রায় ৬০০ জন বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর সোমবার আরও বিপুলসংখ্যক নাগরিককে উদ্ধার করা হলো। সোমবার চারটি নৌযান থেকে এক হাজারের মতো অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয় বলে জানানো হয়েছে। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র উপকূল থেকে পৃথকভাবে এই এক হাজার ৪০০ অভিবাসী উদ্ধার করা হয়। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের এক হাজারের বেশি অভিবাসী মালয়েশিয়ার উপকূলে আসেন। মানব পাচারকারীরা এই অভিবাসীদের পর্যটন দ্বীপ লাংকাবির উপকূলের অগভীর জলে ফেলে চলে যায়। লাংকাবির উপপুলিশ প্রধান জামিল আহমেদ জানান, আমাদের ধারণা তিনটি নৌযানে এক হাজার ১৮ জন অভিবাসী ছিলেন। অভিবাসীদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। গভীর সাগরে আরও কয়েকটি নৌকায় পাচার হওয়া ব্যক্তিরা থাকতে পারে। আট ইন্দোনেশিয়ায় উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের সম্পর্কে আচেহর প্রাদেশিক উদ্ধার ও অনুসন্ধান বিভাগের প্রধান বুদিওয়ান বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, সোমবার খুব ভোরে উত্তর আচেহর উপকূলে অভিবাসীবাহী একটি ভাসমান নৌযান আবিষ্কার করে ইন্দোনেশিয়ারর অনুসন্ধান ও উদ্ধার দল। নৌযানটিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নারী, পুরুষ ও শিশু মিলিয়ে ৪০০ অভিবাসী ছিলেন। অন্যদিকে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মালয়েশিয়া উপকূলে সোমবার উদ্ধার হওয়া এক হাজারের বেশি অভিবাসীর মধ্যে ৫৫৫ জনই বাংলাদেশী। বাকিদের মধ্যে ৪৬৩ জন রোহিঙ্গা বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। সোমবার সকালে দেশটির লাংকাবি দ্বীপের সমুদ্র সৈকতের কাছ থেকে তিনটি বড় নৌকা থেকে ওই অভিবাসীদের আটক করে স্থানীয় কোস্টগার্ড ও পুলিশ। নৌকা তিনটিতে মোট এক হাজার ১৮ অভিবাসী ছিলেন। লাংকাবি পুলিশ প্রধান হারিথ কম আবদুল্লাহ বলেন, তিনটি নৌকা থেকে উদ্ধার হওয়া এই ১০১৮ অবৈধ অভিবাসীর মধ্যে ৫৫৫ জনই বাংলাদেশী। আর ৪৬৩ জন রোহিঙ্গা এবং বাকিরা এ অঞ্চলেরই কোন দেশের বাসিন্দা। এদের মধ্যে আবার ৯৯ জন নারী ও ৫৪ জন শিশু। অবৈধভাবে মালয়েশিয়ার মাটিতে পা রাখা এই লোকদের দ্রুত অভিবাসন অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করা হবে। জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা আইওএম জানিয়েছে মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের কয়েক হাজার অবৈধ অভিবাসী থাইল্যান্ড উপকূলের কাছে সাগরে অপেক্ষা করছে। থাই নিরাপত্তা রক্ষীদের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় পাচারকারীরা নৌকাগুলো তীরে ভেড়াতে চাইছে না। গভীর জঙ্গলে গোপন শিবিরে না এনে পাচারকারীরা এখন অভিবাসীদের সাগরের বুকে রাখছে। সাগরে আটকেপড়া অভিবাসীদের সংখ্যা আট হাজারের মত হতে পারে। এরই মধ্যে মালয়েশিয়ায় নেমেছে এক হাজার বেশি অভিবাসী। সূত্রে জানা যায়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাঁড়াশী অভিযানে গ্রেফতার এড়াতে মানব পাচারকারীদের অনেকে বর্তমানে রাত কাটাচ্ছে সাগরে। খাবার-দাবারের নিত্য প্রয়োজনীয় রসদপাতি সহকারে উখিয়া সোনাইছড়ির মানবপাচারের গডফাদার যুবদল নেতা শামসুল আলমসহ বহু দালাল ইনানী বরাবর সাগরে অবস্থান করছে। দালালরা তাদের আগেকার মোবাইল সিম পাল্টিয়ে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে প্রশাসনের গতিবিধি জেনে নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। শীর্ষ মহিলা দালাল রেবি প্রকাশ ম্যাডাম ও তার স্বামী মরিচ্যার পূর্ব দিকে পার্বত্য এলাকার পাহাড়ে একটি বাড়িতে আত্মগোপন করে রয়েছে বলে তথ্য মিলেছে। পুলিশ বলছে যেখানে থাকুক মানব পাচারকারীরা অচিরেই ধরা পড়বে। শুক্রবার টেকনাফ থানা পুলিশের সঙ্গে মানব পাচারকারীর বন্দুকযুদ্ধে দালাল ধলু হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, জাফর আলম ও শনিবার উখিয়ায় জাফর মাঝি নিহত হওয়ার খবর চার দিকে ছড়িয়ে পড়লে মানব পাচারকারী দালালরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এক গ্রামের ২৫ ব্যক্তি নিখোঁজ ॥ টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় মালয়েশিয়ায় যারা পাড়ি জমান তাদের মধ্যে ২২ ব্যক্তি নিখোঁজ ও ৩ জন নিহত হওয়ার সত্যতা মিলেছে। নিখোঁজ ব্যক্তিরা হচ্ছে হোয়াইক্যং লম্বাবিলের জসিম উদ্দিন, লালু, আজিজুল হক, জাফর আলম, নুরুল কবির, মোহাম্মদ হেলাল, মোহাম্মদ ছৈয়দ আলম, মোহাম্মদ আলী, ইসমাঈল, নয়াপাড়ার ফয়জে উদ্দিন, মোহাম্মদ হেলাল, মোহাম্মদ শফিক, বটতলীর মোঃ এরশাদ, সিরাজ, খারাইংগ্যাঘোনার আবদুল মন্নান, মোস্তাক আহমদ, বালুখালীর জোবাইর, মোহাম্মদ হোছন, উনছপ্রিাং এলাকার নুরুল কবির, কোনারপাড়ার হাজী ফেরদৌসরে ২ পুত্রসহ ২২ জন। দালাল চক্রের নৃশংসতায় মৃত্যু হয়েছে হোয়াইক্যং উলুবনয়িার মোহাম্মদ ছৈয়দ, আমতলীর অংকিউ চাকমা, কানজরপাড়ার মোহাম্মদ বদি আলম। মানবপাচারকারী আটক ॥ টেকনাফ ও মহেশখালী পুলিশ রবিবার রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে টেকনাফ সাবরাং এর খাইর হোসেন, আব্দুর রহমান, আলী হোসাইন ও কুতুবজুমের মমতাজ মিয়াসহ ১৩ জন দালালকে আটক করেছে।
×