নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি, ১০ মে ॥ ফুটবলের দেশ ব্রাজিলের একজন মিস্ত্রি আলফ্রেদো মোসা। তিনি তাঁর মেধা-প্রচেষ্টা আর সাধনায় ‘বোতল বাতি’ প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন। ‘বোতল বাতি’ নামক এ আবিষ্কারটি কখনও কোন গুণী বিজ্ঞানীও কল্পনা করেননি, অথচ মিস্ত্রি আলফ্রেদো মোসা এ আবিষ্কার করে নিজ দেশে যেমন নন্দিত হয়েছেন, ঠিক তেমনি বহির্বিশ্বেও দারুণ সম্মান অর্জন করেছেন। তাঁর এ আবিষ্কার আজ পৃথিবীর বহু দেশের হাজারো অন্ধকার পল্লী আলোকিত করার একমাত্র অবলম্বন। এ ‘বোতল বাতি’টি পাহাড়ী জনপদেও বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। অন্ধকারে বন্দী থাকা লাখো মানুষের চোখের সামনে এখন আলোয় আলোকিত হওয়ার হাতছানি। ব্রাজিলের মিস্ত্রি আলফ্রেদো মোসার আবি®কৃত এ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েক জন ছাত্র। এসব মেধাবী ছাত্র এ বোতল বাতি মানুষের ঘরে পৌঁছে দিতে পেরে রীতিমতো খুশি। তাঁরা যথেষ্ট উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে এ বোতল বাতি মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন। অল্প খরচে এ বোতল বাতি যে কেউ নিজের ঘরে স্থাপন করতে পারবেন। গত ৮ মে শুক্রবার ফটিকছড়ি উপজেলার রোসাংগিরী ইউনিয়নের শীলেরহাট এলাকার মজুমদার বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়দ্বয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘লাইটস্ ফাউন্ডেশন’র উদ্যোগে বেশ কয়েকটি ঘরে স্থাপন করা হয় বোতল বাতি।
লাইটস্ ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, বোতল বাতি তৈরিতে প্রয়োজন হয় ২ লিটার আকৃতির বোতল এবং পরিষ্কার পানির সঙ্গে একটি কেমিক্যালের সংমিশ্রণে সৃষ্টি হয় ৫০-৬০ ওয়াটের আলো। যেকোন টিনের ছাউনি আছে এমন ঘরে এ বাতি স্থাপন করা যায়। এ বাতি সঠিক সময়ে ঘর আলোকিত করার পাশাপাশি কমপক্ষে ১০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২০০ টাকার বিদ্যুত সাশ্রয় করবে। প্রাথমিকভাবে রোসাংগিরী ইউনিয়নের শীলের হাট সংলগ্ন মজুমদার বাড়িতে স্থাপিত বোতল বাতিগুলো সম্পর্ণ বিনামূল্যে স্থাপন করা হয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং লাইটস্ ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী রবিউল হোসেন রাহাতের নেতৃত্বে তানজিদুল আলম সিবন, সালমান খান ইয়াছিন, আহম্মদ সাকিব আল রাফি বোতল বাতি সংযোজন করে সৃষ্ট সৌর বিদ্যুত দিয়ে অন্ধকার পল্লী আলোকিত করছেন।