ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সঙ্কট নিরসন হোক

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১০ মে ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

উত্তর জনপদের জনগণের অনেকদিনের দাবি হিসেবে ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। এটি রংপুর বিভাগের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় নামে যাত্রা শুরু করে ২০০৯ সালে। নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্মরণে নাম পরিবর্তিত হয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়। রংপুর বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষায় এই বিশ্ববিদ্যালয় অসামান্য অবদান রাখছে। বর্তমানে বিভিন্ন বিভাগে প্রায় ৩০০০ শিক্ষার্থী এখানে অধ্যয়ন করছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে চলতে থাকে বিশ্ববিদ্যালটি। বিগত প্রায় এক বছর বিভিন্ন সমস্যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়। শুধু তাই নয়, বিগত বছরগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হল অন্তর্ভুক্তির নতুন হল ফি বাড়ানো হয়। আভ্যন্তরীণ পরীক্ষার ফিও ৩৫ থেকে ৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে আন্দোলন হয়েছে। সত্যিই এটা একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা! রংপুর তথা উত্তরাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের আশা আকাক্সক্ষা, দাবি ও আন্দোলনের ফসল একটি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠার পর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের জন্য অনশন শুরু হয়েছে। উত্তরবঙ্গের মঙ্গাপীড়িত মানুষদের উচ্চশিক্ষায় এগিয়ে নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার নামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার ছিল। সরকার আমাদের স্বপ্ন পূরণ করেছে। এখন দ্রুত সঙ্কট নিরসন হবেÑ এ প্রত্যাশাই করি। ড. মুসতাক আহমেদ গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, রাবি। বাকৃবিতে বাস ট্রিপ বন্ধ কেন? দক্ষিণ এশিয়া তথা বাংলাদেশে কৃষি শিক্ষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আনা-নেয়া করা তথা ময়মনসিংহ শহরে যাতায়াতের জন্য দীর্ঘ তিন মাস আগেও বাস ট্রিপ চালু ছিল। বাস ট্রিপ বন্ধ থাকার কারণে ক্যাম্পাসের বাইরে থাকা অনেক শিক্ষার্থী সময়মতো ক্লাসে উপস্থিত হতে পারছে না। ফলে তাদের শিক্ষা জীবন ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে কেন বা কি কারণে বাসট্রিপ বন্ধ আছে তা জানা যায়নি। বাসট্রিপ নিয়ন্ত্রণকারী ইউনিটকে বিষয়টি জানানো হলেও তারা অপারগতার কথা জানিয়েছে। বাসট্রিপ বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনই বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে। যদি বাস ট্রিপ এভাবে বন্ধই থাকে, তবে বছরে ঘুরিয়ে আসলেই, কেনই বা বাসট্রিপ ফি নেয়া হচ্ছে, কিংবা বাস ট্রিপের জন্য ৫০ জনের অধিক কর্মী রাখা হয়েছে? বাসট্রিপ চালু করতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন দ্রুত বিশেষ পদক্ষেপ নেবে বলে, আমরা ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা আশা করছি। আবুল বাশার (মিরাজ) শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ
×