ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ছয় মাসের জন্য ছিটকে গেলেন শাহাদাত

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ৮ মে ২০১৫

ছয় মাসের জন্য ছিটকে গেলেন শাহাদাত

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টেস্ট ম্যাচ পাঁচদিনের। কিন্তু প্রথম দিনই বাংলাদেশ দল পরিণত হয়েছে দশজনে। এই দশজনের মধ্যেই ব্যাটিং-বোলিংটা করতে হবে। দুইজন পেসার নিয়ে খেলতে নেমে অভিজ্ঞ শাহাদাত হোসেন রাজিবকে হারিয়েছে মুশফিকুর রহীমের দল। হাঁটুর ইনজুরির কারণে তাঁর আর চলতি টেস্টে বোলিং করা হবে না বুধবার সন্ধ্যায়ই জানানো হয়েছিল। কিন্তু এমআরআই স্ক্যান করানোর পর নিশ্চিত হয়েছে ডান পায়ের হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে এবং মিনিসকাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে কারণে অস্ত্রোপচার করাতে হবে। সেরে উঠে মাঠে ফিরতে তাঁর সময় লাগবে প্রায় ৬ মাস। এর অর্থ মিরপুর টেস্টে একজন পেসার নিয়েই খেলতে হবে টাইগারদের। ব্যাটিং করার সম্ভাবনাও শেষ হয়ে গেছে শাহাদাতের। ‘গোড়াতেই গলদ’ দিয়ে মিরপুর টেস্ট শুরু করেছে বাংলাদেশ। সফরের শেষ ম্যাচে প্রথম জয়ের সন্ধানে মরিয়া পাকিস্তান দল। আর এ ম্যাচটি জিততে পারলে অন্যরকম এক গৌরবময় অর্জন হবে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে। এ ম্যাচে বাংলাদেশ দলকে নির্ভরযোগ্য পেসার রুবেল হোসেনকে ছাড়াই নামতে হয়েছে ইনজুরিতে পড়ায়। শাহাদাত তাই মূল স্ট্রাইক বোলার। কিন্তু মাত্র দুটি বল করতেই ইনজুরিতে পড়েন টেস্টের প্রথম দিনেই। পরে, ১৭তম ওভারে ফিরে মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত মাঠে ফিরে ফিল্ডিং করলেও আর বোলিং করেননি। এর মধ্যে মিডউইকেটে দুর্দান্ত একটি ক্যাচ নিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সামি আসলামকে। বিরতির সময় বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিকের সঙ্গে প্র্যাকটিস উইকেটে বোলিংয়ের সময় আবার হাঁটুর সমস্যায় উইকেটে পড়ে যান। স্ট্রেচারে করে মাঠ ত্যাগের পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তখন পর্যন্ত বিসিবি থেকে জানানো হয়েছিল, ‘বোলিং করতে না পারলেও এ টেস্টে ব্যাটিং করতে পারবেন শাহাদাত।’ নবাগত মোহাম্মদ শহীদ গতির ঝড় তুলেছিলেন। প্রথম দিনে বাংলাদেশের পক্ষে দুর্দান্ত বোলিং একমাত্র তিনিই করেছেন। কিন্তু শাহাদাত না থাকায় বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ কিছুটা ধারহীন হয়েছে এবং পাকরাও দারুণ সংগ্রহ পেয়েছে এতে কোন সন্দেহ নেই। এ বিষয়ে শহীদ বলেছিলেন,‘বলে ভাল মুভমেন্ট হচ্ছিল। উইকেটে ঘাস ছিল। আসলে একজন বাড়তি বোলার থাকলে সুবিধা হতো। শাহাদাত ভাই থাকলে ভাল হতো। পেস বোলারদের জন্য এ উইকেট খুবই ভাল বলে মনে হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশতঃ রাজীব ভাই ইনজুরিতে পড়েছেন। তাঁকে খুব মিস করেছি।’ শুধু শহীদ নয়, পুরো বাংলাদেশই এখন শাহাদাতকে মিস করছেন। তিনি বোলিং করতে পারলে হয়তো এত বেশি রান করলেও অন্তত দুয়েকটি উইকেট বেশি হারাতো। দ্বিতীয় ইনিংসেও তাঁকে ছাড়াই বোলিং আক্রমণ চালাতে হবে বাংলাদেশ দলকে। হাঁটুতে অস্ত্রোপচার যত দ্রুত সম্ভব করাতে হবে, ফলে ব্যাটিং করাও হবে না শাহাদাতের। সবমিলিয়ে তিনি মাঠের বাইরে থাকবেন দীর্ঘ ৬ মাস।
×