ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

এপ্রিলে এ হার দাঁড়িয়েছে ৬.৩২ শতাংশে

পহেলা বৈশাখের প্রভাব মূল্যস্ফীতিতে

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ৭ মে ২০১৫

পহেলা বৈশাখের প্রভাব মূল্যস্ফীতিতে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাঙালীর অন্যতম উৎসব পহেলা বৈশাখের প্রভাব পড়েছে দেশের মূল্যস্ফীতিতে। এ কারণে এপ্রিলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্টে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩২ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ২৭ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৪৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ। অন্যদিকে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ১২ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব অনুযায়ী এসব তথ্য জানা গেছে। বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে মূল্যস্ফীতির এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখের কারণে মানুষ কেনাকাটা বেশি করেছে। বিশেষ করে ইলিশ মাছ, মিষ্টি নতুন কাপড় ইত্যাদি ফলে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। তবে চলতি অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৬ থেকে সাড়ে ৬ শতাংশের মধ্যেই থাকবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দাতা সংস্থাগুলো যে যাই বলুক চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫ শতাংশের উপরেই হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধসহ যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেসবের বিষয়ে তার ব্যাখ্যা দেয়া উচিত। তিনি একজন নোবেল বিজয়ী মানুষ, দেশের গর্ব। তার নিজের জন্যই উচিত এসব বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়া। বিবিএস জানায়, গ্রামে সার্র্র্র্র্র্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্টে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৯৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ১৩ শতাংশ। শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৮৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৬২ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ১১ শতাংশ। এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, বার বার দেশে অবরোধ চলতে থাকলে প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশে নেমে যেত। তাহলে ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে আমরা ঘর থেকে বের হতে পারতাম না। চলতি অর্থবছরে তিন মাস হরতাল অবরোধ না হলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের কাছাকাছি হতো। আমাদের কাছে তথ্য আছে, আর উন্নয়ন সহযোগীরা ধারণার উপর ভিত্তি করে প্রক্ষেপণ করে থাকে।
×