ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মানিলন্ডারিং রোধে এনবিআরকে বিশেষ ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ৬ মে ২০১৫

মানিলন্ডারিং রোধে এনবিআরকে বিশেষ ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মানিল্ডারিং রোধে এনবিআরকে বিশেষ ক্ষমতা দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোঃ নজিবুর রহমান। তিনি বলেন, এই প্রক্রিয়ায় আইনী কাঠামো জোরদারের পাশাপাশি সম্পদ পুনরুদ্ধারের পথ সৃষ্টি হবে। মঙ্গলবার রাজস্ব বোর্ডের নিজস্ব কার্যালয়ে অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইআরএফের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়িয়ে চার লাখ টাকা করা, আয়কর বিবরণী (রিটার্ন) দাখিল পদ্ধতি সহজ করা, ব্যাংকের গ্রাহকদের ই-টিআইএন ব্যাংক থেকে করানোর ব্যবস্থা করা, দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দেয়ার প্রস্তাব করেন ইআরএফের সদস্যরা। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআর কার্যালয়ে এ আলোচনা সভায় সংস্থার চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। সভা পরিচালনা করেন ইআরএফ সভাপতি সুলতান মাহমুদ। অনুষ্ঠানে এনবিআরের শুল্ক, আয়কর ও মুসক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যরা এবং ইআরএফের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, মানিলন্ডারিং রোধে এনবিআরকে বিশেষ ক্ষমতা দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় আইনী কাঠামো জোরদারের পাশাপাশি সম্পদ পুনরুদ্ধারের পথ সৃষ্টি হবে বলে তিনি মনে করেন। এছাড়া শিক্ষা খাতে ভ্যাট কমিয়ে আনার বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করবেন বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। উল্লেখ্য, বর্তমানে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে। ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান বলেন, দেশের মানুষের তুলনায় সরাসরি কর প্রদানকারীর হার অনেক কম। বর্তমানে কর প্রদানকারীর যে হার রয়েছে, তা তিনগুণ বাড়ানো সম্ভব। শহরে যারা ২২শ’ বর্গফুটের বাসায় থাকে, এসি ব্যবহার করে ও অভিজাত ক্লাবের সদস্য তাদের সবাই করের আওতায় আসতে পারে। করফাঁকি রোধ করার বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক কোম্পানিরই একাধিক এ্যাকাউন্ট থাকে। তবে তারা একটি এ্যাকাউন্টেই কর দেন। বাকি এ্যাকাউন্ট হিসাবের বাইরে থাকে। আবার আন্ডার ও ওভার ইন ভয়েসিংয়ের মাধ্যমে কর ফাঁকি দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে অনেক সময়ই এনবিআরের কর্মকর্তাদের সহায়তায় তা সংগঠিত হয়। এর মাধ্যমে বিদেশেও পাচার হচ্ছে অনেক টাকা। ইআরএফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু কাওসার বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ বাড়লে রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার কথা। কিন্তু সে অনুযায়ী রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি হচ্ছে না। কর আদায় বাড়াতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের তাগিদ দেন তিনি। এছাড়া উৎসে কর হার পুনর্বিন্যাস, কর্পোরেট করহার ২ স্তরে সীমাবদ্ধ রাখা, সেবা খাতের তদারকি বাড়ানো, এনবিআরের প্রশাসনিক সংস্কার ও মনিটরিং সেল গঠনের প্রস্তাব দেন তিনি। কর দেয়া ব্যক্তিদের কার্ড প্রদান, সিনিয়র সিটিজেনদের কর সুবিধা এবং ব্যাংক, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোকে ই-টিআইএন খোলার ক্ষমতা দেয়ার সুপারিশ করেন ইআরএফের জ্যেষ্ঠ সদস্য এরশাদ মজুমদার।
×