ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বহিঃনিরীক্ষক নিয়োগে নীতিমালা ঘোষণা

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ৫ মে ২০১৫

বহিঃনিরীক্ষক নিয়োগে নীতিমালা ঘোষণা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠাগুলোতে বহিঃনিরীক্ষক নিয়োগে নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নীতিমালায় বহিঃনিরীক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ‘এ’ গ্রেডপ্রাপ্ত নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বহিঃনীরিক্ষক নির্বাচনের পূর্বে সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। সার্কুলারে বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন ১৯৯৩ এর ২৪ নং ধারায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক কার্যক্রম নিরীক্ষার জন্য বার্ষিকভিত্তিতে একজন নিরীক্ষক নিয়োগের নির্দেশনা রয়েছে। নিরীক্ষকের কার্যক্রমে অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বহিঃনীরিক্ষক নিয়োগকালে এ সংক্রান্ত নীতিমালা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুসরণ ও পরিপালন করতে হবে। বহিঃনীরিক্ষক নিয়োগের পর নিয়োগপত্রের সঙ্গে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নীতিমালার একটি কপি সরবরাহ করতে হবে। বহিঃনীরিক্ষক কর্তৃক প্রণীত প্রতিবেদন পর্ষদ সভায় উপস্থাপনে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। বহিঃনীরিক্ষকের যোগ্যতা ঃ নির্বাচিত বহিঃনীরিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন্তত একজন যোগ্যতাসম্পন্ন চার্টার্ড এ্যাকান্টন্ট্যান্ট থাকতে হবে। যারা দেশে-বিদেশে চার্টার্ড এ্যাকাউন্টট্যান্ট হিসেবে নীরিক্ষা কাজে কমপক্ষে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। কোন নীরিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে একই আর্থিক প্রতিষ্ঠানে একাদিক্রমে তিন বছর নিয়োগের অব্যবহিত পরবর্তী দুই বছর ওই আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেয়া যাবে না। নির্বাচিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত সংখ্যক আর্টিকেল ক্লার্ক থাকতে হবে। আর্টিকেল ক্লার্কের মধ্যে অন্তত ৩ জনের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিরীক্ষার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তি বা তাদের কোন এজেন্ট বা প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমানত ব্যতীত অন্য কোন স্বার্থ রয়েছে এমন কোন ব্যক্তি ওই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষা দলের সদস্য হতে পারবেন না। নিরীক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ‘এ’ গ্রডপ্রাপ্ত নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কোন নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা কর্তৃক দ-প্রাপ্ত নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান পরবর্তী দুই বছরের জন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিরীক্ষার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না। নীতিমালায় বহিঃনিরীক্ষকের কার্যাবলীর একটি রূপরেখাও দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিরীক্ষাকালে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জাল জালিয়াতি, প্রতারণা ও অসততার দরুন ফৌজদারি অপরাধ সংঘটিত হওয়াসহ ৫টি গুরুতর বিষয় বাংলাদেশ ব্যাংকে অবহিত করতে বলা হয়েছে। অন্যগুলো হলো- আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন ১৯৯৩ ও বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার কোন বিধি-বিধান গুরুতরভাবে লঘিœত হওয়া, লোকসানের দরুন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নির্ধারিত সংরক্ষিতব্য ২৫ শতাংশ হ্রাস পেলে, পাওনাদারের পাওনা পরিশোধে নিশ্চয়তা বিঘিœত হওয়া ও পাওনাদারের পাওনা মেটানোর জন্য সংশ্লিøষ্ট প্রতিষ্ঠানের সম্পদ যথেষ্ট নয় মর্মে প্রতীয়মান হলে। এছাড়া নিরীক্ষা কাজ শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে নিরীক্ষিত প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রস্তুতকৃত ব্যবস্থাপনা প্রতিবেদনের অনুলিপি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরাসরি বাংলাদেশকে প্রেরণ করতে হবে বলেও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
×