ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার ভারতের প্রস্তাব বিবেচনা করবে

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ৫ মে ২০১৫

সরকার ভারতের প্রস্তাব বিবেচনা করবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভারত-বাংলাদেশ স্থল সীমান্ত চুক্তিতে ভারতীয় প্রস্তাব বিবেচনা করবে সরকার। নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সোমবার বিকেলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কিছু অংশের খ-িত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোন প্রস্তাব থাকলে তা আমরা বিবেচনা করতে পারি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৪০ বছর আগে মুজিব-ইন্দিরা এবং ২০১১ সালে হাসিনা-মনমোহন যে চুক্তি হয়েছে সেটি এখনও বহাল আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। এখন শুধু তা বাস্তবায়নের অপেক্ষা। শাহরিয়ার আলম বলেন, ভারতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে স্থল সীমান্ত চুক্তির বিষয়ে যেসব কথা বলা হচ্ছে এটা সম্পূর্ণ তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের কোন মতামত নেই। এ চুক্তির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কিছু অংশের খ-িত বাস্তবায়নে ভারতের পক্ষ থেকে যদি কোন প্রস্তাব আসে তাহলে আমরা বিবেচনা করে দেখতে পারি, যোগ করেন তিনি। বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তি ভারতীয় লোকসভায় উঠতে যাচ্ছে, যা অত্যন্ত আশার ও খুশির খবর, বলেন শাহরিয়ার আলম। দকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটি রাষ্ট্রের সঙ্গে একই বিষয়ে দুইবার চুক্তি হয়েছে। তবে অসমকে বাদ দিয়ে চুক্তির বিষয়ে যদি কোন প্রস্তাবনা আসে তাও আমরা বিবেচনা করে দেখতে পারি।’ চুক্তির বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে প্রতি মন্ত্রীবলেন, যে কোন চুক্তির বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেই কিছু সময় লাগে। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, লক্ষ্য করবেন বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা বিজয়ের পর তা বাস্তবায়ন বা গেজেট আকারে বের হতে প্রায় ৭/৮ মাস লেগে গিয়েছিল। আমরা এটুকু বলতে পারি। স্থল সীমান্ত চুক্তি অচিরেই বাস্তবায়ন হবে, প্রত্যয়ের সঙ্গে বলেন শাহরিয়ার আলম। ১৯৭৪ সালের ১৬ মে নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি হয়। যাতে বাংলাদেশের পক্ষে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভারতের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সই করেন। ওই চুক্তির অন্যতম বিষয় ছিল সমঝোতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যকার স্থল সীমানা নির্ধারণ সম্পন্ন করা। এরপর ২০১১ সালেও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয়। চুক্তিটি বাস্তবায়নের বিষয়ে বিভিন্ন সময় ভারতের পক্ষ থেকে আশ্বাসও দেয়া হয়েছে। স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়িত হলে দুই দেশের মধ্যে ছিটমহল, বেদখল হওয়া জমি ও অচিহ্নিত সীমানা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হবে।
×