ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ইতিহাসে ফ্লয়েড মেওয়েদার

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ৪ মে ২০১৫

ইতিহাসে ফ্লয়েড মেওয়েদার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ফ্লয়েড মেওয়েদার নাকি ম্যানি প্যাকিয়াও? শতাব্দীর সেরা বক্সিং লড়াইয়ে কে জিতবেন। তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল জল্পনা-কল্পনা। অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। শেষ পর্যন্ত ফ্লয়েড মেওয়েদারই হাসলেন শেষের হাসি। ফিলিপাইনের আইকন বক্সার ম্যানি প্যাকিওয়াকে হারিয়ে খেতাব ধরে রাখলেন তিনি। এই নিয়ে টানা ৪৮টি ম্যাচে অপরাজিত থাকার অবিস্মরণীয় কীর্তি গড়লেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লয়েড মেওয়েদার। দীর্ঘদিন রিংয়ে নামেননি মেওয়েদার। কিন্তু রবিবার তা কিছুতেই বোঝা যায়নি। ম্যানি প্যাকিয়াওয়ের মতো তুখোড় প্রতিপক্ষকেও রীতিমতো গুঁড়িয়ে দেন তিনি। শতাব্দীর সেরা হেভিওয়েট খেতাব জেতার পর উচ্ছ্বসিত মেওয়েদার বলেন, ‘এই জয়ের পর আমি দারুণ আনন্দিত। আমার শেষ লড়াই সেপ্টেম্বরে। তারপর বক্সিং গ্লাভস তুলে রাখব।’ এদিকে পরাজয়ের পর হতাশ প্যাকিয়াও বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম লড়াইয়ে জয়ী হব। ও আমার কিছুই করতে পারবে না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেওয়েদারই চ্যাম্পিয়ন।’ ১৯৯৬ সাল থেকে ৪৮টি ম্যাচে হার না মানা মেওয়েদার বক্সিংয়ে নিজের ডব্লিউবিসি এবং ডব্লিউবিএ শিরোপা ধরে রাখার পাশাপাশি প্যাকিয়াওর কাছ থেকে ডব্লিউবিও বেল্ট কেড়ে নিলেন। প্রায় সতেরো হাজার দর্শক এমজিএম গ্র্যান্ড গার্ডেন এ্যারেনাতে এই লড়াই উপভোগ করেন। আর সারাবিশ্বের প্রায় ত্রিশ লাখ মানুষ এই বক্সিং যুদ্ধ দেখেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। টেলিভিশনে খেলা দেখতেও আমেরিকায় দর্শকদের একশো ডলার খরচ করতে হয়েছে। এ ম্যাচ দেখতে ধনী-সেলিব্রেটিদের ভিড় লেগে গিয়েছিল লাস ভেগাসে। লাস ভেগাস বিমানবন্দরে ব্যক্তিগত বিমানের কারণে ট্রাফিক জ্যাম পর্যন্ত লেগে গিয়েছিল। টিকেটের দামও ছিল আকাশছোঁয়া। সবচেয়ে কম মূল্যের টিকেট ছিল বাংলাদেশী টাকায় ৩ লাখ ৭৫ হাজারের কাছাকাছি। আর সবচেয়ে বেশি মূল্যের টিকেট প্রায় ২০ লাখ টাকা। ১৯৭৫ সালের পর সকল বক্সিং বিশ্লেষক এই ম্যাচটিকে বক্সিং ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। সপ্তাহখানেক আগে ম্যাচটির টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছিল। কিন্তু অনলাইনে টিকেট বিক্রির এক মিনিটের মধ্যেই ম্যাচের সব টিকেট বিক্রি হয়ে যায়। প্রায় দশ কোটি মানুষ অনেক আগেই দাবি জানিয়েছিলেন এই দুই বক্সারের রিংয়ে মুখোমুখি হওয়ার। ছয় বছর ধরে চেষ্টা করেও সেটা এতদিন করা যায়নি দু’পক্ষের কিছু বিষয়ে মতান্তর থাকায়। কিন্তু কিছু দিন আগে এনবিএ ম্যাচে দেখা হয়ে যায় এই দুই বক্সারের। তখনই দুই তারকা একে অন্যের মোবাইল নম্বর আদান-প্রদান করেন। নিশ্চিত করেন যে, রিংয়ে মুখোমুখি হবেন তাঁরা। লড়াইয়ের আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল বিজয়ীকে অনানুষ্ঠানিকভাবে এই যুগের নাম্বার ওয়ান বক্সার হিসেবে মর্যাদা দেয়া হবে। তাই ফ্লয়েড মেওয়েদারই এখন বিশ্বের নাম্বার ওয়ান বক্সার।
×