ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নেপাল সরকারের অস্বীকার

ত্রাণসামগ্রী আটকে দিচ্ছে কাস্টমস ॥ জাতিসংঘ

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ৪ মে ২০১৫

ত্রাণসামগ্রী আটকে দিচ্ছে কাস্টমস ॥ জাতিসংঘ

নেপাল সরকার ভূমিকম্প কবলিত দেশটির প্রত্যন্ত এলাকায় বেসরকারী উদ্যোগে জরুরী সাহায্য পাঠানোর পথে বাধা দেয়ার দায়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে। জাতিসংঘ শুল্ক নিয়ন্ত্রণ শিথিল করতে নেপালের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এ নিয়ন্ত্রণের ফলে দুর্গত মানুষের জন্য পাঠানো ত্রাণসামগ্রী আটকা পড়ছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। তবে সরকারের অর্থসচিব সুমন প্রসাদ শর্মা শনিবার এনজিও ও শীর্ষ আন্তর্জাতিক কর্মকর্তাদের অভিযোগের সত্যতা অস্বীকার করেছেন। সরকার ত্রাণ সামগ্রীর ওপর আমদানি কর আরোপ করছে এবং ত্রাণসামগ্রী আটকে দিয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেন। স্থানীয় খবরে বলা হয়, শত শত টন প্রয়োজনীয় পণ্য ভারতীয় সীমান্তে আটকে দেয়া হয়েছে। রাজধানী কাঠমান্ডুর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে বলে আভাস পাওয়া গেলেও দেশটি পুনর্গঠন এক দুরূহ কাজ হয়ে দাঁড়াবে। এবং সেজন্য লাগবে কয়েক বছর। গত সপ্তাহের ব্যাপক ভূমিকম্পে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে শনিবার ন্যাশনাল ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার জানায়। খবর বিবিসি, নিউইয়র্ক টাইমস ও গার্ডিয়ানের। জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি জ্যামি ম্যাক গোল্ডরিক ত্রাণ সামগ্রীর ক্রমবর্ধমান প্রবাহের ক্ষেত্রে শুল্ক সম্পর্কিত বাধানিষেধ শিথিল করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। নেপাল কেবল ত্রিপল ও তাঁবুকে আমদানি কর থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বলে শুক্রবার খবর বেরোয়। ওই প্রতিনিধি বলেন, সরকারের শান্তিকালীন শুল্ক প্রক্রিয়া এখন প্রয়োগ করা উচিত নয়। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক প্রধান ভ্যালেরি এ্যামস বলেন, ত্রাণসামগ্রীর দ্রুত শুল্ক ছাড়পত্র দেয়া নেপালের কর্তব্য। শুল্ক নিয়ন্ত্রণের কারণে ভূমিকম্প দুর্গত আরেক মানুষের কাছে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছতে পারছে না। ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের এক সপ্তাহ পরও ত্রাণ সহায়তা কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে স্তূপীকৃত হয়ে রয়েছে। শর্মা ওইসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমরা কোন কিছু ফেরত পাঠাইনি এবং কোন কিছুর ওপর কোন শুল্ক আরোপিত নেই। এসব অভিযোগ একেবারেই দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং আমি সেগুলো প্রত্যাখ্যান করছি। ওই দুর্যোগে মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে এবং ১৫ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছে। গৃহহীন হয়ে পড়া লাখ লাখ লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তবে ত্রাণ তৎপরতাকে কেন্দ্রীভূত করার চেষ্টার অংশ হিসেবে পুলিশ বেসরকারী শুভানুধ্যায়ীদের দুর্গত এলাকার উদ্দেশে পাঠানো ত্রাণসামগ্রী ভর্তি ট্রাকগুলো থামিয়ে দেয়। সিভিল সোসাইটির সদস্য আনন্দ মিত্র বলেন, দুর্যোগের পর খোলা এ্যাকাউন্টগুলোতে বিদেশ থেকে আসা সব অর্থ সরকারের নিজস্ব ত্রাণ তহবিলে জমা হবে বলে সরকারের নতুন নির্দেশ ত্রাণ সহায়তা বিতরণের পথে গুরুতর বাধার সৃষ্টি করবে।
×